শান্তি আলোচনায় বসতে পারে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল ইঙ্গিত দিয়েছে, শিগগিরই তারা শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। তবে ওই আলোচনা হবে পরোক্ষভাবে। আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার ফিলিস্তিনের হামাসের নেতারা বলেন, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
ইসরায়েলও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, তৃতীয় কোনো মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে তারা মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে শান্তি আলোচনায় বসতে পারে। ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্য গিলাদ এরদান বার্তা সংস্থাকে এ কথা বলেন।
গাজার ক্ষমতাসীন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো দেশের সঙ্গে ওই আলোচনা হতে পারে।
ফাতাহ অনুসারীদের সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী রাজপথের ভয়াবহ সংঘর্ষের পর ২০০৭ সালের জুন মাসে গাজার দখল নেয় হামাস। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনে করে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরাসরি তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে রাজি হয় না।
এক বছর বন্ধ থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ফের শান্তি আলোচনা শুরু করবে কি না—এমন প্রশ্নে ইসরায়েলি মন্ত্রী গিলাদ এরদান ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, কখনো কখনো কোনো কাজ করতে দুজনের বেশি মানুষের প্রয়োজন পড়ে। কখনো কখনো পরস্পরের কাছাকাছি আসতে তৃতীয় পক্ষের দরকার পড়ে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অবশ্য এরদানের মন্তব্যের ব্যাপারে কিছু বলেনি। এরই মধ্যে ফাতাহর শীর্ষস্থানীয় নেতা নাবিল শাথ বুধবার এক বিরল সফরে গাজা যান। ফাতাহ-হামাস বিরোধ নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে তিনি ওই দিন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হাইয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।

No comments

Powered by Blogger.