মার্কিন সেনাসদস্য হত্যাচেষ্টার দায়ে দোষী সাব্যস্ত পাকিস্তানি নারী বিজ্ঞানী by ইব্রাহীম চৌধুরী
মার্কিন সেনাসদস্যকে হত্যাচেষ্টার দায়ে পাকিস্তানি বিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকীকে (৩৭) দোষী সাব্যস্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। ১৪ দিনের বিচার-পর্ব শেষে জুরি বোর্ড গত বুধবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায়ে বলা হয়েছে, আফিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আগামী মে মাসে মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। আফিয়া সিদ্দিকীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ আফিয়া সিদ্দিকী চিত্কার করে বলেন, বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল থেকে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নয়।
বিখ্যাত মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন আফিয়া সিদ্দিকী। মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনে। মার্কিন গণমাধ্যমে তাঁর নাম ‘নারী আল-কায়েদা’ হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় ২০০৮ সালের জুলাইয়ে আফগান পুলিশ আফিয়া সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাঁর কাছে রাসায়নিক বোমা তৈরির উপকরণ ও জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার বেশ কিছু আলামত পাওয়া যায়। আল-কায়েদার নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
মার্কিন সরকারি কৌঁসুলিরা বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় সেনাসদস্যদের ওপর হামলা চালান আফিয়া সিদ্দিকী। রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে মার্কিন সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালান তিনি। ওই সময় সেনাসদস্যদের পাল্টা গুলিতে তিনি আহত হন।
আফিয়া সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার ও বিচার নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে পরস্পরবিরোধী নানা খবর প্রচারিত হতে থাকে। ২০০৪ সালে তত্কালীন এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার আফিয়া সিদ্দিকীকে আল-কায়েদার সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
আফিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল মহল এবং তাঁর আইনজীবীরা বলেছেন, ২০০৪ সালে তাঁকে পাকিস্তান থেকে অপহরণ করা হয়। আফিয়া সিদ্দিকী আদালতে বলেন, মার্কিন বাহিনী বন্দুকের মুখে তাঁকে পাকিস্তান থেকে অপহরণ করেছে। আটক অবস্থায় তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বন্দুক ছিনতাই ও মার্কিন সেনাসদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আদালতে আফিয়া সিদ্দিকী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ডাহা মিথ্যা এবং বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে।
প্রথম দিকে আদালতে হাজির হতে অস্বীকার করেন আফিয়া সিদ্দিকী। তিনি বলেন, যেখানে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না, যেখানে মিথ্যার জয়-জয়কার, ওই ধরনের বিচারে তাঁর কোনো উত্সাহ নেই।
সরকার আফিয়া সিদ্দিকীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করলেও বিচারপ্রক্রিয়ায় তিনি আইনজীবীদের সহযোগিতা করেননি। বিচার চলাকালীন সময়ে আফিয়া সিদ্দিকীকে প্রতিদিনই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদালতে হাজির করা হতো। মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি-না, এ সম্পর্কে আফিয়ার আইনজীবীরা তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি।
আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে আন্দোলন হচ্ছে। গতকালও সেখানে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। এসব সমাবেশে আফিয়ার আট বছরের ছেলে মায়ের মুক্তির দাবি করেছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আদালতে উপস্থিত পাকিস্তানি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আফিয়া বলেন, ‘আমি চাই না, আদালতের এ রায় নিয়ে পাকিস্তানে কোনো সহিংস আন্দোলন হোক। আমার বার্তাটি আমি সবাইকে জানাতে চাই।’
চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায়ে বলা হয়েছে, আফিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আগামী মে মাসে মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। আফিয়া সিদ্দিকীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ আফিয়া সিদ্দিকী চিত্কার করে বলেন, বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল থেকে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নয়।
বিখ্যাত মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন আফিয়া সিদ্দিকী। মার্কিন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনে। মার্কিন গণমাধ্যমে তাঁর নাম ‘নারী আল-কায়েদা’ হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছে।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় ২০০৮ সালের জুলাইয়ে আফগান পুলিশ আফিয়া সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাঁর কাছে রাসায়নিক বোমা তৈরির উপকরণ ও জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার বেশ কিছু আলামত পাওয়া যায়। আল-কায়েদার নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতারও অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
মার্কিন সরকারি কৌঁসুলিরা বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় সেনাসদস্যদের ওপর হামলা চালান আফিয়া সিদ্দিকী। রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে মার্কিন সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালান তিনি। ওই সময় সেনাসদস্যদের পাল্টা গুলিতে তিনি আহত হন।
আফিয়া সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার ও বিচার নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে পরস্পরবিরোধী নানা খবর প্রচারিত হতে থাকে। ২০০৪ সালে তত্কালীন এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার আফিয়া সিদ্দিকীকে আল-কায়েদার সদস্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
আফিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল মহল এবং তাঁর আইনজীবীরা বলেছেন, ২০০৪ সালে তাঁকে পাকিস্তান থেকে অপহরণ করা হয়। আফিয়া সিদ্দিকী আদালতে বলেন, মার্কিন বাহিনী বন্দুকের মুখে তাঁকে পাকিস্তান থেকে অপহরণ করেছে। আটক অবস্থায় তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বন্দুক ছিনতাই ও মার্কিন সেনাসদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আদালতে আফিয়া সিদ্দিকী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ডাহা মিথ্যা এবং বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে।
প্রথম দিকে আদালতে হাজির হতে অস্বীকার করেন আফিয়া সিদ্দিকী। তিনি বলেন, যেখানে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না, যেখানে মিথ্যার জয়-জয়কার, ওই ধরনের বিচারে তাঁর কোনো উত্সাহ নেই।
সরকার আফিয়া সিদ্দিকীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করলেও বিচারপ্রক্রিয়ায় তিনি আইনজীবীদের সহযোগিতা করেননি। বিচার চলাকালীন সময়ে আফিয়া সিদ্দিকীকে প্রতিদিনই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদালতে হাজির করা হতো। মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি-না, এ সম্পর্কে আফিয়ার আইনজীবীরা তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি।
আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে আন্দোলন হচ্ছে। গতকালও সেখানে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। এসব সমাবেশে আফিয়ার আট বছরের ছেলে মায়ের মুক্তির দাবি করেছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আদালতে উপস্থিত পাকিস্তানি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আফিয়া বলেন, ‘আমি চাই না, আদালতের এ রায় নিয়ে পাকিস্তানে কোনো সহিংস আন্দোলন হোক। আমার বার্তাটি আমি সবাইকে জানাতে চাই।’
No comments