সব পাওয়া হয়ে গেছে শ্যুটিংয়ে

শ্যুটিং থেকে সম্ভবত আর কিছু পাওয়ার নেই বাংলাদেশের। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের ছেলে ও মেয়েদের বিভাগে তিনটি সোনা আসার পরদিন গুলশান শ্যুটিং কমপ্লেক্সে থেমে গেছে সব উদ্দীপনা। তবে বিষন্নতায়ও ঢেকে যায়নি সবকিছু, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বড় কিছু যে আর চাওয়ার সাহসই নেই!
১০ মিটার এয়ার পিস্তলে দলীয় ব্রোঞ্জ, ফ্রি পিস্তলে কিছুই না পাওয়া—শ্যুটিং দলের কালকের এই ফল বলে দিচ্ছে, ওই ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ছাড়া অন্য ইভেন্টগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ খারাপ। এগুলোতে স্কোরও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাতে তোলার মতো হয়নি।
এয়ার পিস্তলে আরমিন আশাকে নিয়ে আশা ছিল। কিন্তু আগের রাতে জ্বর আর জলবসন্তে আক্রান্ত হওয়ায় আশাভঙ্গ। নিজের সেরা ৩৭০-ঊর্ধ্ব স্কোরের জায়গায় আরমিন করেছেন মাত্র ৩৫৭। সিনথিয়া নাজনীনও ৩৭০-এর বেশি স্কোর করতেন এতদিন, এদিন করলেন ৩৬২। ফারজানা কাওসার করেছেন ৩৫৯। সব মিলিয়ে দিনটা খুবই খারাপ কেটেছে মহিলা পিস্তল দলের।
আজ পুরুষ দলের প্রোন, কাল মেয়েদের থ্রি পজিশন এবং পরশু ছেলেদের থ্রি পজিশনে ‘যদি কেউ ভালো মেরে দেয়’ এমন প্রত্যাশাতেই সময় কাটছে। তবে সাবেক এক শ্যুটার বললেন, ‘আমরা চাইব, নিশ্চয়ই ভালো কিছু হোক। প্রতিযোগিতার দিন কেউ খুব ভালো করে ফেললে সেটি অসম্ভবও হবে না। তবে সেই সম্ভাবনা কম। ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া খুবই কঠিন।’
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ অত হিসাবনিকাশে না গিয়ে বলে দিচ্ছেন, ‘ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখছি না এই ইভেন্টগুলোতে।’ তাহলে তিনটি সোনাই এবারের গেমস থেকে প্রাপ্তি শ্যুটিং দলের? ‘আমরা চারটি সোনা চেয়েছিলাম, পেয়েছি তিনটি। আরেকটি পেলে ভালো হতো। তবে যা হয়েছে, তাতে আমরা অখুশি হতে পারি না

No comments

Powered by Blogger.