বাংলাদেশের মানুষই বিশ্বে সবচেয়ে কম আয়কর দেয়
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষই সবচেয়ে কম আয়কর দিয়ে থাকে। সে জন্য দেশে করের ভিত্তি আরও বাড়ানো দরকার। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
মুন্সিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘করভিত্তি সম্প্রসারণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
সভায় কর অঞ্চল-৭ ঢাকার কর কমিশনার সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআরের সদস্য সৈয়দ মো. আমিনুল করিম ও শম্ভুনাথ দাস, স্থানীয় জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের সাবেক সাংসদ আবদুল করিম ব্যাপারী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিস, অতিরিক্ত কর কমিশনার আবদুল মালেক, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও মিরকাদিমের পৌর মেয়র মোহাম্মদ হোসেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর আদায়ের ক্ষেত্রে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা ভালো ব্যবহার করে জনগণের কাছ থেকে কর আদায় করতে চাই।’ তিনি জানান, জনগণ যাতে সহজে আয়কর দিতে পারে সে জন্য শিগগিরই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব যাতে কমে সে জন্য আমরা মানুষের দোরগোড়ায় যাচ্ছি। সরকারি কর্মকর্তারা শুধু অফিসে বসে থাকবেন, এটা হবে না। তাঁদের মানুষের কাছে যেতে হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন ব্যত্যয়কারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনবলের সমস্যার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু করতে পারছি না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন নীতিমালা ও আইনের পরিবর্তনের কাজে আমরা হাত দিয়েছি।’
এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, দেশে স্কুল-কলেজ ও সড়ক-কালভার্টসহ সার্বিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সবার কর দেওয়া উচিত।
নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলায় সাত হাজার ৩০০ টিআইএনধারীর মধ্যে মাত্র দুই হাজার লোক আয়কর দেন। এক বছরে এ জেলা থেকে সাড়ে সাত কোটি টাকার আয়কর আদায় হয়েছে। যাঁরা করের আওতায় পড়েন কিন্তু কর দিচ্ছেন না, তাঁদের সবাইকে করের আওতায় আসার আহ্বান জানান তিনি।
শম্ভুনাথ দাস জানান, দেশের সব জেলায় নতুন করদাতা শনাক্ত করার জন্য পর্যায়ক্রমে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সৈয়দ মো. আমিনুল করিম বলেন, করভিত্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পরিচালিত জরিপ কার্যক্রম একদিকে দেশে করদাতাদের আয়কর সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবার অংশীদারি নিশ্চিত করবে।
সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান দেশে যেন একটি শিশুও অনাহারে আর একটি মানুষও বিনা চিকিত্সায় মারা না যায়, সে জন্য সব দেশপ্রেমিক নাগরিককে যথাযথভাবে আয়কর দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ অনুষ্ঠানে জেলার সেরা করদাতা হিসেবে আবদুল করিম ব্যাপারী, আবুল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে পুরস্কৃত করা হয়
মুন্সিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘করভিত্তি সম্প্রসারণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধকরণ’ শীর্ষক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআরের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
সভায় কর অঞ্চল-৭ ঢাকার কর কমিশনার সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআরের সদস্য সৈয়দ মো. আমিনুল করিম ও শম্ভুনাথ দাস, স্থানীয় জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জের সাবেক সাংসদ আবদুল করিম ব্যাপারী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিস, অতিরিক্ত কর কমিশনার আবদুল মালেক, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও মিরকাদিমের পৌর মেয়র মোহাম্মদ হোসেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর আদায়ের ক্ষেত্রে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা ভালো ব্যবহার করে জনগণের কাছ থেকে কর আদায় করতে চাই।’ তিনি জানান, জনগণ যাতে সহজে আয়কর দিতে পারে সে জন্য শিগগিরই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব যাতে কমে সে জন্য আমরা মানুষের দোরগোড়ায় যাচ্ছি। সরকারি কর্মকর্তারা শুধু অফিসে বসে থাকবেন, এটা হবে না। তাঁদের মানুষের কাছে যেতে হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন ব্যত্যয়কারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনবলের সমস্যার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু করতে পারছি না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন নীতিমালা ও আইনের পরিবর্তনের কাজে আমরা হাত দিয়েছি।’
এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, দেশে স্কুল-কলেজ ও সড়ক-কালভার্টসহ সার্বিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সবার কর দেওয়া উচিত।
নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলায় সাত হাজার ৩০০ টিআইএনধারীর মধ্যে মাত্র দুই হাজার লোক আয়কর দেন। এক বছরে এ জেলা থেকে সাড়ে সাত কোটি টাকার আয়কর আদায় হয়েছে। যাঁরা করের আওতায় পড়েন কিন্তু কর দিচ্ছেন না, তাঁদের সবাইকে করের আওতায় আসার আহ্বান জানান তিনি।
শম্ভুনাথ দাস জানান, দেশের সব জেলায় নতুন করদাতা শনাক্ত করার জন্য পর্যায়ক্রমে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সৈয়দ মো. আমিনুল করিম বলেন, করভিত্তি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পরিচালিত জরিপ কার্যক্রম একদিকে দেশে করদাতাদের আয়কর সম্পর্কে সচেতন করে তুলবে, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবার অংশীদারি নিশ্চিত করবে।
সৈয়দ মো. মাহবুবুর রহমান দেশে যেন একটি শিশুও অনাহারে আর একটি মানুষও বিনা চিকিত্সায় মারা না যায়, সে জন্য সব দেশপ্রেমিক নাগরিককে যথাযথভাবে আয়কর দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে করদাতাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এ অনুষ্ঠানে জেলার সেরা করদাতা হিসেবে আবদুল করিম ব্যাপারী, আবুল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে পুরস্কৃত করা হয়
No comments