কাঁচামাটির ইটে লাইসেন্স আবশ্যক না করার দাবি

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ইট, সিমেন্ট ও বালুর তৈরি ব্লকের উত্পাদন ও বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কাঁচামাটি দিয়ে তৈরি ইট এই লাইসেন্স গ্রহণের বাইরে রাখার দাবি জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সমিতির নেতারা শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তবে মন্ত্রী বলেছেন, দেশের অবকাঠামো তৈরির অন্যতম উপাদান হওয়ায় ইট প্রস্তুত করার সময় গুণগত মান বজায় রাখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে তিনি সঠিক আকারের ইট প্রস্তুত করারও পরামর্শ দিয়েছেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বৈঠকে সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান, মহাসচিব মাইজউদ্দিন আহমেদসহ সমিতির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বাড়িঘর, রাস্তা, সেতুসহ দেশের অবকাঠামো তৈরির অন্যতম উপাদান হলো ইট। সুতরাং ইট তৈরির ক্ষেত্রে গুণগত মান ও আকার ঠিক রাখার বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। তবে কাঁচা ইট পোড়ানোর পর আকার ছোট হয়ে যায়।
মিজানুর রহমান বলেন, ইট প্রস্তুত করার সময় কারখানার মালিকেরা আকার সঠিক রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু কাদামাটি দিয়ে তৈরি ইট পোড়ানোর পর অনেক সময় আকারে কিছুটা তারতম্য হয়। কারণ মাটিভেদে সংকোচনের পরিমাণ নির্ভর করে। তবে ইটের আকার ছোট হলে ক্রেতারা এর দাম কমিয়ে দেন। ফলে ক্রেতার অগোচরে তাঁকে ছোট ইট দিয়ে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, সিরামিক ইট ও সিমেন্ট-বালুর তৈরি ব্লকের ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্স গ্রহণ প্রযোজ্য হতে পারে। কিন্তু কাঁচামাটির তৈরি ইটের ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সমিতির নেতারা জানান, দেশে ইটের বার্ষিক চাহিদা পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি।

No comments

Powered by Blogger.