বৈরুতে জমে উঠছে হোটেল ব্যবসা
একসময়ের প্রাচ্যের মুক্তা হিসেবে পরিচিত লেবাননের রাজধানী বৈরুত আবারও তার হারানো জৌলুস ফিরে পেতে শুরু করেছে। গত বছর পর্যটন খাতে একটি সফল বছর পার করার পর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হোটেলগুলো এখন সেখানে ব্যবসা করার ব্যাপারে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অথচ কয়েক বছর আগেও বৈরুত আর বিপদ অনেকটাই সমার্থক ছিল।
বৈরুতে অভিজাত হোটেলগুলোর তালিকায় এখন লন্ডনভিত্তিক ক্যাম্পবেল গ্রে হোটেলস গোষ্ঠীর নতুন সদস্য লে গ্রের মতো আধুনিক শৈলীর হোটেলের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে ফোর সিজনস আর গ্র্যান্ড হায়াতের মতো ধ্রুপদি শৈলীর হোটেলগুলো।
ফোর সিজনসের মহাব্যবস্থাপক স্টেফান সিমকোভিকস বলেন, ‘প্রতিটি বড় কোম্পানিই বৈরুতে আসতে চাইছে। এটি এমন একটি গন্তব্য, যেখানে প্রত্যেকেই থাকতে চায়।’ কোম্পানিটি চলতি মাসেই ১৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার ব্যয়ে নির্মিত হোটেলের উদ্বোধন করেছে। বৈরুতের ফোর সিজনসে ২৩০টি কক্ষ রয়েছে। এর ছাদ এখন শহরের সবচেয়ে বড় ‘ছাদে বসানো সুইমিং পুল’ ধারণ করে আছে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে সিমকোভিকস বলেন, ‘যুদ্ধের আগে বৈরুত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের প্রবেশদ্বার। সত্তরের দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বৈরুতকে বলা হতো মধ্যপ্রাচ্যের প্যারিস, প্রাচ্যের মুক্তা। আর এখন শহরটি আবার সেই অবস্থানে ফিরে যেতে শুরু করেছে। এটি এমন একটি স্থান, যেখানে সবাই যেতে চায়।’
সম্ভবত বিক্ষুব্ধ অতীতের পাতা উল্টে সামনে এগোতে শুরু করেছে শহরটি। ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ, ২০০৭ সালে সরকারি সেনাদের সঙ্গে আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর লড়াই আর ২০০৮ সালে সাম্প্রদায়িক হানাহানির পর এখন অনেকটাই শান্ত ৪০ লাখ বাসিন্দার এ দেশটি।
লেবাননের হোটেল মালিক সমিতির প্রধান পিয়েরে আশকার বলেন, ‘২০০৪ সালে বেশ কয়েকটি হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু করা হলেও ২০০৫ সালে দেশটির তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যার পর তা থমকে যায়।’ এখন হোটেলপাড়ায় একটি মূর্তি ওই হামলার স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বৈরুতেই গৃহযুদ্ধের সাক্ষী হয়ে থাকা বুলেটে ঝাঁঝরা পরিত্যক্ত হলিডে ইন হোটেলের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে হোটেল রামাদা। ২০০৮ সালে হোটেলটি উদ্বোধন করা হয়।
বৈরুতের সাগরতীরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে হোটেল হিলটন। কাছাকাছি এলাকায় নির্মাণকাজ চলছে গ্র্যান্ড হায়াত ও কেম্পিনস্কি সামারল্যান্ড হোটেলের। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এসব হোটেল পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে।
২০০৯ সালে ২০ লাখ পর্যটক লেবানন ভ্রমণ করেছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও লেবাননকে এখন বিশ্বের অন্য রকম শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রচার করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস-এর ২০০৯ সালের জানুয়ারির শীর্ষ অবসরকালীন গন্তব্যের তালিকার শীর্ষস্থানটি ছিল বৈরুতের। এ ছাড়া ওই বছর পর্যটন-বিষয়ক সাময়িকী লোনলি প্লানেট-এর শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায়ও স্থান পেয়েছে শহরটি। চলতি মাসে প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান ঘোষণা করে, ‘বৈরুত ফিরে এসেছে...এবং শহরটি সুন্দর।’
সিমকোভিকস বলেন, জীবনযাত্রার মান, সৌন্দর্য, উত্তেজনা—সব মিলিয়ে এ অঞ্চলে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি আদর্শ স্থান বৈরুত। তিনি জানান, বেশির ভাগ পর্যটক প্রবাসী লেবানিজ এবং আরব। তবে ইউরোপের দেশগুলো থেকেও পর্যটকেরা আসছেন। লেবাননের হোটেলগুলোর ৬০ শতাংশ বাসিন্দা উপসাগরীয় এলাকার দেশগুলোর পর্যটক।
লে গ্রে হোটেলের মহাব্যবস্থাপক হেক্টর ডি জ্যালার্ড বলেন, এটা মাত্র সূচনা। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে আসার ব্যাপারে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে। তিনি জানান, গত বড়দিন ও ঈদের সময় তাঁর হোটেলের সব কামরাই অতিথিদের দিয়ে ভর্তি ছিল।
হোটেল মালিক সমিতির প্রধান আসকার জানান, ‘বৈরুতের হোটেলগুলোতে এখন সাত হাজার কামরা রয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী তিন বছরে এ সংখ্যা আরও তিন হাজার বাড়বে।’ লে গ্রে হোটেলের জ্যালার্ড বলেন, ‘আমরা জানি, লেবানন (ব্যবসা করার জন্য) সহজ কোনো দেশ নয়। তবে আমরা এও জানি, ভবিষ্যতে খারাপ কিছু হলেও দেশটির আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রয়েছে।
বৈরুতে অভিজাত হোটেলগুলোর তালিকায় এখন লন্ডনভিত্তিক ক্যাম্পবেল গ্রে হোটেলস গোষ্ঠীর নতুন সদস্য লে গ্রের মতো আধুনিক শৈলীর হোটেলের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে ফোর সিজনস আর গ্র্যান্ড হায়াতের মতো ধ্রুপদি শৈলীর হোটেলগুলো।
ফোর সিজনসের মহাব্যবস্থাপক স্টেফান সিমকোভিকস বলেন, ‘প্রতিটি বড় কোম্পানিই বৈরুতে আসতে চাইছে। এটি এমন একটি গন্তব্য, যেখানে প্রত্যেকেই থাকতে চায়।’ কোম্পানিটি চলতি মাসেই ১৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার ব্যয়ে নির্মিত হোটেলের উদ্বোধন করেছে। বৈরুতের ফোর সিজনসে ২৩০টি কক্ষ রয়েছে। এর ছাদ এখন শহরের সবচেয়ে বড় ‘ছাদে বসানো সুইমিং পুল’ ধারণ করে আছে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত চলা গৃহযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে সিমকোভিকস বলেন, ‘যুদ্ধের আগে বৈরুত ছিল মধ্যপ্রাচ্যের প্রবেশদ্বার। সত্তরের দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বৈরুতকে বলা হতো মধ্যপ্রাচ্যের প্যারিস, প্রাচ্যের মুক্তা। আর এখন শহরটি আবার সেই অবস্থানে ফিরে যেতে শুরু করেছে। এটি এমন একটি স্থান, যেখানে সবাই যেতে চায়।’
সম্ভবত বিক্ষুব্ধ অতীতের পাতা উল্টে সামনে এগোতে শুরু করেছে শহরটি। ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ, ২০০৭ সালে সরকারি সেনাদের সঙ্গে আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর লড়াই আর ২০০৮ সালে সাম্প্রদায়িক হানাহানির পর এখন অনেকটাই শান্ত ৪০ লাখ বাসিন্দার এ দেশটি।
লেবাননের হোটেল মালিক সমিতির প্রধান পিয়েরে আশকার বলেন, ‘২০০৪ সালে বেশ কয়েকটি হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু করা হলেও ২০০৫ সালে দেশটির তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যার পর তা থমকে যায়।’ এখন হোটেলপাড়ায় একটি মূর্তি ওই হামলার স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বৈরুতেই গৃহযুদ্ধের সাক্ষী হয়ে থাকা বুলেটে ঝাঁঝরা পরিত্যক্ত হলিডে ইন হোটেলের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে হোটেল রামাদা। ২০০৮ সালে হোটেলটি উদ্বোধন করা হয়।
বৈরুতের সাগরতীরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে হোটেল হিলটন। কাছাকাছি এলাকায় নির্মাণকাজ চলছে গ্র্যান্ড হায়াত ও কেম্পিনস্কি সামারল্যান্ড হোটেলের। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এসব হোটেল পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে।
২০০৯ সালে ২০ লাখ পর্যটক লেবানন ভ্রমণ করেছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও লেবাননকে এখন বিশ্বের অন্য রকম শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রচার করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস-এর ২০০৯ সালের জানুয়ারির শীর্ষ অবসরকালীন গন্তব্যের তালিকার শীর্ষস্থানটি ছিল বৈরুতের। এ ছাড়া ওই বছর পর্যটন-বিষয়ক সাময়িকী লোনলি প্লানেট-এর শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায়ও স্থান পেয়েছে শহরটি। চলতি মাসে প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান ঘোষণা করে, ‘বৈরুত ফিরে এসেছে...এবং শহরটি সুন্দর।’
সিমকোভিকস বলেন, জীবনযাত্রার মান, সৌন্দর্য, উত্তেজনা—সব মিলিয়ে এ অঞ্চলে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য একটি আদর্শ স্থান বৈরুত। তিনি জানান, বেশির ভাগ পর্যটক প্রবাসী লেবানিজ এবং আরব। তবে ইউরোপের দেশগুলো থেকেও পর্যটকেরা আসছেন। লেবাননের হোটেলগুলোর ৬০ শতাংশ বাসিন্দা উপসাগরীয় এলাকার দেশগুলোর পর্যটক।
লে গ্রে হোটেলের মহাব্যবস্থাপক হেক্টর ডি জ্যালার্ড বলেন, এটা মাত্র সূচনা। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে আসার ব্যাপারে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে। তিনি জানান, গত বড়দিন ও ঈদের সময় তাঁর হোটেলের সব কামরাই অতিথিদের দিয়ে ভর্তি ছিল।
হোটেল মালিক সমিতির প্রধান আসকার জানান, ‘বৈরুতের হোটেলগুলোতে এখন সাত হাজার কামরা রয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী তিন বছরে এ সংখ্যা আরও তিন হাজার বাড়বে।’ লে গ্রে হোটেলের জ্যালার্ড বলেন, ‘আমরা জানি, লেবানন (ব্যবসা করার জন্য) সহজ কোনো দেশ নয়। তবে আমরা এও জানি, ভবিষ্যতে খারাপ কিছু হলেও দেশটির আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রয়েছে।
No comments