হাইতিতে মৃতের সংখ্যা দুই লাখে দাঁড়িয়েছে
হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দুই লাখে দাঁড়িয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ-ম্যাক্স বিল্লেরিভ গত বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাস্তাঘাট খারাপ হওয়ার কারণে ত্রাণ কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে। ফলে ত্রাণ না পেয়ে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ-ম্যাক্স বলেন, গত ১২ জানুয়ারি সাত মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় তিন লাখ মানুষ আহত হয়েছে। বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে অন্তত আড়াই লাখ। এর মধ্যে কমপক্ষে চার হাজার আহত ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট এ দেশটির এই ক্ষতি কীভাবে পোষানো যাবে তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। এ জন্য তিনি দেশে একটি ‘জরুরি সরকার’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যারা বর্তমান সংকটের বিষয়টি সার্বিকভাবে তুলে ধরতে পারবে।
হাইতিতে ব্যাপক বিদেশি সাহায্য এলেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে তা বিতরণ করা যাচ্ছে না। এমনকি পানি ও খাদ্যের অভাবে দুর্গত লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন গত বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন হাইতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের সমন্বয়ে ‘নেতৃত্বের ভূমিকা’ পালনে সম্মত হয়েছেন।
বান সাংবাদিকদের বলেন, গত মে মাস থেকে হাইতিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োজিত ক্লিনটন দেশটিতে দ্রুত দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা এবং দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন কাজের জন্য কৌশলগত দিক-নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সমর্থন ও দাতাদের অর্থসহায়তা পাওয়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।
বান আরও বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রধান হেলেন ক্লার্ক এবং হাইতিতে জাতিসংঘ মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান এডমন্ড মুলেটও সেখানে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করবেন।
সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ-ম্যাক্স বলেন, গত ১২ জানুয়ারি সাত মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় তিন লাখ মানুষ আহত হয়েছে। বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে অন্তত আড়াই লাখ। এর মধ্যে কমপক্ষে চার হাজার আহত ব্যক্তির অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট এ দেশটির এই ক্ষতি কীভাবে পোষানো যাবে তা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। এ জন্য তিনি দেশে একটি ‘জরুরি সরকার’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যারা বর্তমান সংকটের বিষয়টি সার্বিকভাবে তুলে ধরতে পারবে।
হাইতিতে ব্যাপক বিদেশি সাহায্য এলেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে তা বিতরণ করা যাচ্ছে না। এমনকি পানি ও খাদ্যের অভাবে দুর্গত লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন গত বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন হাইতিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের সমন্বয়ে ‘নেতৃত্বের ভূমিকা’ পালনে সম্মত হয়েছেন।
বান সাংবাদিকদের বলেন, গত মে মাস থেকে হাইতিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োজিত ক্লিনটন দেশটিতে দ্রুত দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা এবং দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠন কাজের জন্য কৌশলগত দিক-নির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সমর্থন ও দাতাদের অর্থসহায়তা পাওয়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।
বান আরও বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রধান হেলেন ক্লার্ক এবং হাইতিতে জাতিসংঘ মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান এডমন্ড মুলেটও সেখানে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করবেন।
No comments