ফিরে আসছে কাঠমান্ডুর স্মৃতি by মাসুদ আলম |
ভারতকে সামনে পেয়ে আবার বাংলাদেশ দল ভেঙে পড়বে? এসএ গেমস ফুটবলে আজ আমিনুলদের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের আগে প্রশ্নটা থাকছেই।
মাসখানেক আগে এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাফ ফুটবলের সেমিফাইনাল ম্যাচটা তো একেবারে তরতাজা স্মৃতি। শুধু স্মৃতি কেন দুঃস্মৃতি! ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় দল শুধু হারেইনি, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলেছিল। গ্যালারি-ভর্তি দর্শক দেখেছিল ছন্নছাড়া এক বাংলাদেশকে। এক মাস পর দক্ষিণ এশীয় গেমস ফুটবলের এই সেমিফাইনাল ম্যাচটা নিশ্চয়ই আর ফিরে যেতে চাইবে না সেই রাতের দুঃস্বপ্নে!
বাংলাদেশের এই অনূর্ধ্ব-২৩ দল যেটি প্রায় জাতীয় দলেরই প্রতিচ্ছবি। যেখানে পোস্টের নিচে আছেন দেশের সেরা গোলরক্ষক আমিনুল, সেখানে ভারতীয় দলটা একবারেই তরুণ—অনূর্ধ্ব-১৯! এই দলকে হারাতে না পারলে বাংলাদেশ আর কাকে হারাবে?
দাঁড়ান, দাঁড়ান ভারতের এ দলটি মোটেও অনভিজ্ঞ নয়। দলটিকে গড়ে তুলতে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অনেক শ্রম রয়েছে। ২০০৭ সালে দলটির যাত্রা শুরু, তখন ছিল অনূর্ধ্ব-১৬। এখন অনূর্ধ্ব-১৯। গত তিন বছরে দলটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ৩১টি!
দলটির ম্যানেজারের ভূমিকায় থাকা কলকাতার সাবেক আন্তর্জাতিক গোলরক্ষক তনুময় বোসের কথাগুলো মুগ্ধ হয়েই শুনতে হলো, ‘এটা আমাদের যুব ফুটবল উন্নয়নের অংশ। তিন বছর ধরে একসঙ্গে আছে দলটি। এরা এখন পর্যন্ত ৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে মাত্র ৫টা ম্যাচ হেরেছে—ইরাক, সৌদি আরব, লিভারপুল, ওমান, আফগানিস্তান...। দেশে এখন পযন্ত হারেনি দলটি।’
তনুময় বলে যান, ‘এই দল নিয়ে ইংল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা, সৌদি আরব, ইরাক, আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশ সফর করেছি। জার্মানি, ইংল্যান্ড, আমেরিকায় ছিল শুভেচ্ছা সফর।’
ভারত কি তবে এই সফরকেও শুভেচ্ছা সফর হিসেবেই দেখছে? এবার তনুময়ের মুখে প্রতিবাদ, ‘যে দলই নিয়ে আসি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই আসি। বিশেষ করে সাফ দেশে চ্যাম্পিয়নশিপই একমাত্র টার্গেট থাকে আমাদের।’ জানালেন দলটা সম্পর্কেও, ‘সাফ দলের মাত্র তিনজন খেলোয়াড় আছে (স্ট্রাইকার জাগতার সিং, সুবোধ কুমার এবং জেজে লাল টেকো) এই দলে। ব্যক্তি নয়, টিমওয়ার্কেই গুরুত্ব দিই বেশি।’
দলটির সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত আছেন ব্রিটিশ কোচ পম জোসেফ টোল, যিনি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টরও। (মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে জোসেফ দেশে গেছেন চট্টগ্রামে গ্রুপ ম্যাচ খেলার সময়। কাল রাতেই তাঁর ঢাকা আসার কথা ছিল)। তাঁর হাত ধরে আগামী দিনের শক্তিশালী একটা দল হিসেবে গড়ে উঠছে ভারতীয় যুব দল। এই গেমসে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারলেও সেমিফাইনালে উঠে আসা তো তারই প্রমাণ।
এই তিন বছরে যুব ফুটবল উন্নয়নে বাংলাদেশ ফলপ্রসূ উদ্যোগ নিতে পারেনি। এখানেই ভারতের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশের ফুটবল। তবে সাফ ফুটবলে ব্যর্থতার পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ এশীয় গেমস ফুটবলে সোনা জিততে মরিয়া দেখাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।
ভারতকে হারানো সম্ভব? প্রশ্নটা যে অবান্তর, কাল বিকেলে অনুশীলনে যাওয়ার সময় অধিনায়ক আমিনুলের কথায় তেমন একটা ভঙ্গিই প্রকাশ পেল, ‘কেন সম্ভব নয়। তবে ভারতকে নিয়ে চিন্তা করছি না। আমরা শুধু আমাদের খেলাটাই খেলতে চাই।’
কোচ জোরান জর্জেভিচের মুখে তালা। ‘আফটার টুর্নামেন্ট...আফটার টুর্নামেন্ট’ বলতে বলতে উঠে গেলেন টিম বাসে।
নেপালকে ৩-০, ভুটানকে ৪-০, মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু সাফ গেমসের পর এই প্রথম সেমিফাইনালের চৌকাঠে উঠল বাংলাদেশ। কাকতালীয় ব্যাপার, ১৯৯৯ সাফে এই ভারতকেই সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ‘সুপার সাব’ টিপুর গোলে, এর পর তো ইতিহাস—গেমস ফুটবলে প্রথম এবং একমাত্র সোনা জয়।
ভারতের বিপক্ষে সুখস্মৃতি আছে, দুঃস্মৃতিটাই বেশি তাজা হওয়ায় আজ আমিনুলরা ভেঙে পড়েন কি না সেই সংশয়ও সমান্তরালে হাঁটছে!
মাসখানেক আগে এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাফ ফুটবলের সেমিফাইনাল ম্যাচটা তো একেবারে তরতাজা স্মৃতি। শুধু স্মৃতি কেন দুঃস্মৃতি! ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় দল শুধু হারেইনি, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলেছিল। গ্যালারি-ভর্তি দর্শক দেখেছিল ছন্নছাড়া এক বাংলাদেশকে। এক মাস পর দক্ষিণ এশীয় গেমস ফুটবলের এই সেমিফাইনাল ম্যাচটা নিশ্চয়ই আর ফিরে যেতে চাইবে না সেই রাতের দুঃস্বপ্নে!
বাংলাদেশের এই অনূর্ধ্ব-২৩ দল যেটি প্রায় জাতীয় দলেরই প্রতিচ্ছবি। যেখানে পোস্টের নিচে আছেন দেশের সেরা গোলরক্ষক আমিনুল, সেখানে ভারতীয় দলটা একবারেই তরুণ—অনূর্ধ্ব-১৯! এই দলকে হারাতে না পারলে বাংলাদেশ আর কাকে হারাবে?
দাঁড়ান, দাঁড়ান ভারতের এ দলটি মোটেও অনভিজ্ঞ নয়। দলটিকে গড়ে তুলতে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অনেক শ্রম রয়েছে। ২০০৭ সালে দলটির যাত্রা শুরু, তখন ছিল অনূর্ধ্ব-১৬। এখন অনূর্ধ্ব-১৯। গত তিন বছরে দলটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ৩১টি!
দলটির ম্যানেজারের ভূমিকায় থাকা কলকাতার সাবেক আন্তর্জাতিক গোলরক্ষক তনুময় বোসের কথাগুলো মুগ্ধ হয়েই শুনতে হলো, ‘এটা আমাদের যুব ফুটবল উন্নয়নের অংশ। তিন বছর ধরে একসঙ্গে আছে দলটি। এরা এখন পর্যন্ত ৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে মাত্র ৫টা ম্যাচ হেরেছে—ইরাক, সৌদি আরব, লিভারপুল, ওমান, আফগানিস্তান...। দেশে এখন পযন্ত হারেনি দলটি।’
তনুময় বলে যান, ‘এই দল নিয়ে ইংল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা, সৌদি আরব, ইরাক, আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশ সফর করেছি। জার্মানি, ইংল্যান্ড, আমেরিকায় ছিল শুভেচ্ছা সফর।’
ভারত কি তবে এই সফরকেও শুভেচ্ছা সফর হিসেবেই দেখছে? এবার তনুময়ের মুখে প্রতিবাদ, ‘যে দলই নিয়ে আসি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই আসি। বিশেষ করে সাফ দেশে চ্যাম্পিয়নশিপই একমাত্র টার্গেট থাকে আমাদের।’ জানালেন দলটা সম্পর্কেও, ‘সাফ দলের মাত্র তিনজন খেলোয়াড় আছে (স্ট্রাইকার জাগতার সিং, সুবোধ কুমার এবং জেজে লাল টেকো) এই দলে। ব্যক্তি নয়, টিমওয়ার্কেই গুরুত্ব দিই বেশি।’
দলটির সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত আছেন ব্রিটিশ কোচ পম জোসেফ টোল, যিনি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টরও। (মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে জোসেফ দেশে গেছেন চট্টগ্রামে গ্রুপ ম্যাচ খেলার সময়। কাল রাতেই তাঁর ঢাকা আসার কথা ছিল)। তাঁর হাত ধরে আগামী দিনের শক্তিশালী একটা দল হিসেবে গড়ে উঠছে ভারতীয় যুব দল। এই গেমসে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারলেও সেমিফাইনালে উঠে আসা তো তারই প্রমাণ।
এই তিন বছরে যুব ফুটবল উন্নয়নে বাংলাদেশ ফলপ্রসূ উদ্যোগ নিতে পারেনি। এখানেই ভারতের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশের ফুটবল। তবে সাফ ফুটবলে ব্যর্থতার পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ এশীয় গেমস ফুটবলে সোনা জিততে মরিয়া দেখাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে।
ভারতকে হারানো সম্ভব? প্রশ্নটা যে অবান্তর, কাল বিকেলে অনুশীলনে যাওয়ার সময় অধিনায়ক আমিনুলের কথায় তেমন একটা ভঙ্গিই প্রকাশ পেল, ‘কেন সম্ভব নয়। তবে ভারতকে নিয়ে চিন্তা করছি না। আমরা শুধু আমাদের খেলাটাই খেলতে চাই।’
কোচ জোরান জর্জেভিচের মুখে তালা। ‘আফটার টুর্নামেন্ট...আফটার টুর্নামেন্ট’ বলতে বলতে উঠে গেলেন টিম বাসে।
নেপালকে ৩-০, ভুটানকে ৪-০, মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। ১৯৯৯ কাঠমান্ডু সাফ গেমসের পর এই প্রথম সেমিফাইনালের চৌকাঠে উঠল বাংলাদেশ। কাকতালীয় ব্যাপার, ১৯৯৯ সাফে এই ভারতকেই সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ‘সুপার সাব’ টিপুর গোলে, এর পর তো ইতিহাস—গেমস ফুটবলে প্রথম এবং একমাত্র সোনা জয়।
ভারতের বিপক্ষে সুখস্মৃতি আছে, দুঃস্মৃতিটাই বেশি তাজা হওয়ায় আজ আমিনুলরা ভেঙে পড়েন কি না সেই সংশয়ও সমান্তরালে হাঁটছে!
No comments