অধরা পদকের আশায় ব্যাডমিন্টন-বাস্কেটবল
দক্ষিণ এশীয় গেমসে (এসএ) এই প্রথম ব্যাডমিন্টনে খেলবে মেয়েদের দলটি। ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ক্যাম্পে থাকা কণিকা, এলিনা, শাপলা, দুলালীদের মধ্যে তাই আনন্দ। মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজের ডরমিটরিতে থাকা পরশ, রইচ, তুষার, এনায়েতরাও প্রস্তুত। দুই দলেরই লক্ষ্য একটাই—পদক জিততে হবে।
মজার ব্যাপার হলো, মাত্র তিন দিনের ক্যাম্প করেও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন মেয়েদের কেউ কেউ। আবার ১০-১২ দিনের ক্যাম্পও করেছেন রোজিনা-শাপলারা। তবে এমন লম্বা সময় ধরে ক্যাম্পে থাকার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। সেই মার্চে শুরু হওয়া ক্যাম্প এখনো চলছে।
এত দিন ধরে ক্যাম্প চললেও ব্যাডমিন্টনে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বলতে বড়জোর রুপা। সোনার আশা তারা করছেও না। কিন্তু রুপা জিততে হলেও ভারত বা পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হবে। এ জন্য প্রতিদিন দুবেলা জোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। মালয়েশিয়ান কোচ আলভিন সিও বয়সে একেবারেই তরুণ। মাত্র ২৮ বছর বয়সী এই কোচ পরম যত্নে হাতে ধরে শেখাচ্ছেন ছেলেমেয়েদের। কখনো কখনো নিজেও খেলতে নেমে যান শিষ্যদের সঙ্গে। এমন কোচকে পেয়ে দারুণ খুশি ওরা।
এর আগে এসএ গেমসে দুবার অংশ নিলেও কোনো পদকই আসেনি ব্যাডমিন্টনে। তবে এবার যেহেতু দেশের মাটিতে খেলা এবং অনেক আগে থেকেই অনুশীলন শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে বাড়তি পাওয়া বিদেশি কোচ। রুপার জন্যই লড়াই করবেন দেশের শীর্ষ খেলোয়াড় পরশ, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালোই হচ্ছে। অবশ্যই আমাদের সোনার জন্য লড়াই করা উচিত। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভারত আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। তবে আমরা আশা করছি অন্তত একটা পদক পাবই এবার। সেটা রুপাও হতে পারে।’ কোচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি, ‘কোচ খুবই আন্তরিক। আমরা ওনার কাছ থেকে যে টেকনিকগুলো শিখছি সেটা কাজে দেবে আমাদের। আমাদের ফিজিক্যাল ট্রেনিংটাও ভালো হচ্ছে। তা ছাড়া অনেক লম্বা সময় ধরে ক্যাম্প করছি, এটাও আমাদের জন্য বিরাট পাওয়া।’ ব্যাডমিন্টন দল গত ১৪ ডিসেম্বর উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিল। সেখানে তারা বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে এসেছে। ফিরেছে গত ২২ ডিসেম্বর। ওখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলেই মনে করেন তিনি, ‘মালয়েশিয়াতে ওদের জাতীয় দলের সঙ্গে খেলিনি। তবে দ্বিতীয় সারির যে দলের সঙ্গে খেলেছি সেটাও কম শক্তিশালী ছিল না। ওদের সঙ্গেও ভালো খেলেছি।’ ব্যাডমিন্টনে ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়ে দলগত সাফল্যের দিকেই বেশি নজর তাদের। দলের একেবারেই তরুণ খেলোয়াড় তুষার বললেন সেটাই, ‘ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে আমরা এখন দলগত সাফল্যের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছি।’ ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের দলেও একই লক্ষ্য। দুবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শাপলারও ভাবনা তেমনই, ‘যেভাবে আমরা প্র্যাকটিস করে যাচ্ছি তাতে আমরা সবাই আশাবাদী।’
ব্যাডমিন্টনের মতো একই সমীকরণে দাঁড়িয়ে বাস্কেটবলও। চতুর্থবারের মতো দক্ষিণ এশীয় গেমসে খেলবে তারা। যদিও এর আগে কোনো পদকই পায়নি বাস্কেটবল। তবে এবার দেশের মাটিতে অন্তত একটা পদক জেতার আশা করছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক রাশেদ, ‘আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই একটা পদক জেতা। যদিও ভারতের মতো দলকে হারানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে অন্তুত একটা পদক জিতবই।’ ক্যাম্প শুরুর পর গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিল বাস্কেটবল দল। সেখানে ক্লাব পর্যায়ের দলগুলোর সঙ্গে খেলেছে তারা। এর বাইরে আর কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি। তবে কোচ ওয়াসিফ এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে সরকারের তত্ত্বাবধানে ভালোই প্রস্তুতি চলছে। সকাল-সন্ধ্যা দুবেলা অনুশীলন করছেন ধানমন্ডি বাস্কেটবল জিমনেসিয়ামে। দলের সবচেয়ে ভালো শ্যুটার মিঠুন, মিঠু ও রাশেদ। এঁদের দিকেই এখন তাকিয়ে কোচ। এঁরা ভালো করলে হয়তো অধরা পদকটা এবার হাতে এসে যেতে পারে।
মজার ব্যাপার হলো, মাত্র তিন দিনের ক্যাম্প করেও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন মেয়েদের কেউ কেউ। আবার ১০-১২ দিনের ক্যাম্পও করেছেন রোজিনা-শাপলারা। তবে এমন লম্বা সময় ধরে ক্যাম্পে থাকার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। সেই মার্চে শুরু হওয়া ক্যাম্প এখনো চলছে।
এত দিন ধরে ক্যাম্প চললেও ব্যাডমিন্টনে বাংলাদেশের সম্ভাবনা বলতে বড়জোর রুপা। সোনার আশা তারা করছেও না। কিন্তু রুপা জিততে হলেও ভারত বা পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে হবে। এ জন্য প্রতিদিন দুবেলা জোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। মালয়েশিয়ান কোচ আলভিন সিও বয়সে একেবারেই তরুণ। মাত্র ২৮ বছর বয়সী এই কোচ পরম যত্নে হাতে ধরে শেখাচ্ছেন ছেলেমেয়েদের। কখনো কখনো নিজেও খেলতে নেমে যান শিষ্যদের সঙ্গে। এমন কোচকে পেয়ে দারুণ খুশি ওরা।
এর আগে এসএ গেমসে দুবার অংশ নিলেও কোনো পদকই আসেনি ব্যাডমিন্টনে। তবে এবার যেহেতু দেশের মাটিতে খেলা এবং অনেক আগে থেকেই অনুশীলন শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে বাড়তি পাওয়া বিদেশি কোচ। রুপার জন্যই লড়াই করবেন দেশের শীর্ষ খেলোয়াড় পরশ, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালোই হচ্ছে। অবশ্যই আমাদের সোনার জন্য লড়াই করা উচিত। কিন্তু বাস্তবতা হলো ভারত আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। তবে আমরা আশা করছি অন্তত একটা পদক পাবই এবার। সেটা রুপাও হতে পারে।’ কোচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি, ‘কোচ খুবই আন্তরিক। আমরা ওনার কাছ থেকে যে টেকনিকগুলো শিখছি সেটা কাজে দেবে আমাদের। আমাদের ফিজিক্যাল ট্রেনিংটাও ভালো হচ্ছে। তা ছাড়া অনেক লম্বা সময় ধরে ক্যাম্প করছি, এটাও আমাদের জন্য বিরাট পাওয়া।’ ব্যাডমিন্টন দল গত ১৪ ডিসেম্বর উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিল। সেখানে তারা বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে এসেছে। ফিরেছে গত ২২ ডিসেম্বর। ওখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলেই মনে করেন তিনি, ‘মালয়েশিয়াতে ওদের জাতীয় দলের সঙ্গে খেলিনি। তবে দ্বিতীয় সারির যে দলের সঙ্গে খেলেছি সেটাও কম শক্তিশালী ছিল না। ওদের সঙ্গেও ভালো খেলেছি।’ ব্যাডমিন্টনে ব্যক্তিগত সাফল্যের চেয়ে দলগত সাফল্যের দিকেই বেশি নজর তাদের। দলের একেবারেই তরুণ খেলোয়াড় তুষার বললেন সেটাই, ‘ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে আমরা এখন দলগত সাফল্যের দিকেই বেশি নজর দিচ্ছি।’ ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের দলেও একই লক্ষ্য। দুবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শাপলারও ভাবনা তেমনই, ‘যেভাবে আমরা প্র্যাকটিস করে যাচ্ছি তাতে আমরা সবাই আশাবাদী।’
ব্যাডমিন্টনের মতো একই সমীকরণে দাঁড়িয়ে বাস্কেটবলও। চতুর্থবারের মতো দক্ষিণ এশীয় গেমসে খেলবে তারা। যদিও এর আগে কোনো পদকই পায়নি বাস্কেটবল। তবে এবার দেশের মাটিতে অন্তত একটা পদক জেতার আশা করছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক রাশেদ, ‘আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই একটা পদক জেতা। যদিও ভারতের মতো দলকে হারানো আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে অন্তুত একটা পদক জিতবই।’ ক্যাম্প শুরুর পর গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিল বাস্কেটবল দল। সেখানে ক্লাব পর্যায়ের দলগুলোর সঙ্গে খেলেছে তারা। এর বাইরে আর কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি। তবে কোচ ওয়াসিফ এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে সরকারের তত্ত্বাবধানে ভালোই প্রস্তুতি চলছে। সকাল-সন্ধ্যা দুবেলা অনুশীলন করছেন ধানমন্ডি বাস্কেটবল জিমনেসিয়ামে। দলের সবচেয়ে ভালো শ্যুটার মিঠুন, মিঠু ও রাশেদ। এঁদের দিকেই এখন তাকিয়ে কোচ। এঁরা ভালো করলে হয়তো অধরা পদকটা এবার হাতে এসে যেতে পারে।
No comments