পর্যটন খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক যা করতে পারে -পর্যটনশিল্প by সিরাজুলইসলাম
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদ্যুত্ ও গ্যাসের ঘাটতি মোকাবিলা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণের স্বার্থে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য সহজ শর্তে সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস ও বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ২০০ কোটি টাকার আবর্তনশীল তহবিল গঠন করেছে। গৃহস্থালি বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সৌরশক্তি প্যানেল স্থাপনের পাশাপাশি সৌরশিল্প স্থাপন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট স্থাপনে ব্যাংকগুলোর অর্থায়নের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত পুনরর্থায়ন-সুবিধা দেবে।
পরিবেশ-সহায়ক বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগটি ব্যাংকিং সেক্টরে ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে এবং যথেষ্ট প্রশংসাও কুড়িয়েছে। গভর্নর হিসেবে এটি আতিউর রহমানের বিশেষ উদ্যোগ হলেও তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কৃষি বিনিয়োগের দিকে। দেশের আর্থিক সেক্টরের প্রধান হয়েও কৃষি খাতের স্বনির্ভরতা বাড়াতে কৃষিঋণ নিয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে চলেছেন। বলা বাহুল্য, তাঁর এই প্রচেষ্টার কারণে প্রবল অনীহা থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো বেশ সাড়া দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক ঢাকঢোল পিটিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এনে কৃষকদের হাতে ঋণসুবিধা তুলে দিয়েছে।
পুঁজি বিনিয়োগের নানাবিধ ধারাবাহিকতায় আতিউর রহমান ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন। অনেক আগ থেকে পণ্য বহুমুখীকরণের কথা বলা হলেও তিনিই প্রথম তা করে দেখালেন। এখন নতুন করে এগ্রিকালচার মডার্নাইজেশনের কথা ভাবা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসার দাবি রাখে।
দেশের আরেক সম্ভাবনাময় খাত পর্যটনশিল্পের জন্যও এমন কিছু যায়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিকাশের জন্য পর্যটনশিল্পকে সরকারের উন্নয়ন-সহযোগী খাত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তা বাস্তরে রূপ নিতে পারে। সৌরশক্তির মতো বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে স্বল্প মুনাফায় একটি আবর্তনশীল পুনরর্থায়ন তহবিল গঠন করতে পারে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক যা করতে পারে: ১. তফসিলি ব্যাংকগুলোকে সম্মিলিতভাবে অথবা এককভাবে তাদের বিনিয়োগের পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। ২. তফসিলি ব্যাংকগুলোকে তাদের অলস তহবিল পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বারবার উত্পাদনশীল খাতে অলস অর্থ বিনিয়োগের কথা বলা হলেও ব্যাংকগুলো তা করে না। বরং পারসোনাল লোন, কনজ্যুমার লোন, ফেস্টিভ্যাল লোন, কার লোন ইত্যাদি খাতে অলস অর্থের বেশি বিনিয়োগ হয়। ব্যাংকগুলো যদি পর্যটনশিল্পে অলস অর্থের বিনিয়োগ নিয়ে আসে, তাহলে একদিকে যেমন অর্থ বিনিয়োগের যথার্থতা পাবে, অন্যদিকে দেশের উন্নয়নও ঘটবে।
বর্তমান বিশ্বে পর্যটনশিল্প বিশাল আয়ের উত্স। প্রাচীন যুগে আমাদের দেশেও পর্যটনশিল্প উন্নত ও আয়ের উত্স ছিল। ইবনে বতুতা পর্যটক হিসেবে আমাদের দেশে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। বর্তমানে আরব দেশগুলো থেকে শুরু করে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, ভারতসহ এশিয়ার সব দেশই পর্যটনশিল্পকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম উত্স হিসেবে নিয়েছে।
জাতীয় বাজেটে এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। যারা হোটেল-মোটেল ও সাফারি পার্ক নির্মাণ করবে, তাদের ট্যাক্স হলিডে দিয়ে এ খাতে বেসরকারি উদ্যোগকে উত্সাহিত করা যায়। এই খাতে বিদেশি পুঁজি আকর্ষণ করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া যায়: ১. যেসব বিদেশি উদ্যোক্তা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে, তাদের নাগরিকত্বসহ আবাসন সুবিধা দেওয়া; ২. ট্যাক্স হলিডে দেওয়া; ৩. তাদের বিনিয়োগ তদারকির জন্য গ্রহণযোগ্য লোক নিয়োগের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।
আর বাংলাদেশকে বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে এসব দিকে নজর দেওয়া জরুরি: ১. পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত করার জন্য স্যানিটেশন-ব্যবস্থার উন্নয়ন; ২. যাতায়াতব্যবস্থা ও যানবাহনব্যবস্থার উন্নয়ন করা; ৩. হাটহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ; ৪. বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন; ৫. কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা; ৬. কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ রোডটির উন্নয়ন; ৭. খুলনায় প্রস্তাবিত বিমানবন্দর দ্রুত নির্মাণ; ৮. পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
এসব অবকাঠামোর উন্নয়ন করা গেলে আমাদের দেশেও বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসবে। আর বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য এসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন: ১. বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর এ বিষয়ে তত্পরতা বাড়ানো; ২. দেশের দর্শনীয় স্থান ও থাকার ব্যবস্থার স্থানের ভিডিও চিত্রে ধারণ করে অন্যান্য দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন সেমিনারে উপস্থাপন করা। ৩. মালয়েশিয়ার পেনাং ও কাশ্মীরের মতো নদী ভ্রমণের জন্য সুন্দর সুন্দর নৌকার ব্যবস্থা করা; ৪. খুলনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের মতো স্থানে তিন থেকে পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ করা। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস ও চীন পর্যটক আকর্ষণের জন্য ব্যাপকভাবে হোটেল-মোটেল তৈরি করছে। আমরা যদি পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন সাধন করতে পারি, তাহলে আমাদের দেশের বেকার সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বিদেশি পর্যটক ও অন্যান্য ভ্রমণকারীর কাছ থেকে গত বছর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০০৭ সালে এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল ৫২৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত এক বছরে পর্যটন খাতে আয় বেড়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
সার্ক ও আসিয়ানের অনেক দেশেই পর্যটন খাত থেকে হাজার কোটি ডলারের বেশি আয় করে। ২০০৫ সালে থাইল্যান্ড আয় করে এক হাজার ২৬২ কোটি ডলার, সিঙ্গাপুর ৫৭৩ কোটি ডলার, ভারতের আয় প্রায় ৪০০ কোটি ডলার, পাকিস্তানের আয় ৮৩ কোটি ডলার, নেপালের আয় ১৬ কোটি ডলার। আর গত ২০০৫ সালে বাংলাদেশের আয় ছিল মাত্র সাত কোটি ডলার। আমাদের আয় অবশ্যই বাড়বে, যদি আমরা পর্যটনশিল্পের আরও উন্নয়ন ঘটাতে পারি।
সিরাজুল ইসলাম: ব্যাংকার, বনানী।
পরিবেশ-সহায়ক বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগটি ব্যাংকিং সেক্টরে ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে এবং যথেষ্ট প্রশংসাও কুড়িয়েছে। গভর্নর হিসেবে এটি আতিউর রহমানের বিশেষ উদ্যোগ হলেও তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কৃষি বিনিয়োগের দিকে। দেশের আর্থিক সেক্টরের প্রধান হয়েও কৃষি খাতের স্বনির্ভরতা বাড়াতে কৃষিঋণ নিয়ে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে চলেছেন। বলা বাহুল্য, তাঁর এই প্রচেষ্টার কারণে প্রবল অনীহা থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো বেশ সাড়া দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক ঢাকঢোল পিটিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এনে কৃষকদের হাতে ঋণসুবিধা তুলে দিয়েছে।
পুঁজি বিনিয়োগের নানাবিধ ধারাবাহিকতায় আতিউর রহমান ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন। অনেক আগ থেকে পণ্য বহুমুখীকরণের কথা বলা হলেও তিনিই প্রথম তা করে দেখালেন। এখন নতুন করে এগ্রিকালচার মডার্নাইজেশনের কথা ভাবা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসার দাবি রাখে।
দেশের আরেক সম্ভাবনাময় খাত পর্যটনশিল্পের জন্যও এমন কিছু যায়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিকাশের জন্য পর্যটনশিল্পকে সরকারের উন্নয়ন-সহযোগী খাত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তা বাস্তরে রূপ নিতে পারে। সৌরশক্তির মতো বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে স্বল্প মুনাফায় একটি আবর্তনশীল পুনরর্থায়ন তহবিল গঠন করতে পারে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক যা করতে পারে: ১. তফসিলি ব্যাংকগুলোকে সম্মিলিতভাবে অথবা এককভাবে তাদের বিনিয়োগের পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা। ২. তফসিলি ব্যাংকগুলোকে তাদের অলস তহবিল পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বারবার উত্পাদনশীল খাতে অলস অর্থ বিনিয়োগের কথা বলা হলেও ব্যাংকগুলো তা করে না। বরং পারসোনাল লোন, কনজ্যুমার লোন, ফেস্টিভ্যাল লোন, কার লোন ইত্যাদি খাতে অলস অর্থের বেশি বিনিয়োগ হয়। ব্যাংকগুলো যদি পর্যটনশিল্পে অলস অর্থের বিনিয়োগ নিয়ে আসে, তাহলে একদিকে যেমন অর্থ বিনিয়োগের যথার্থতা পাবে, অন্যদিকে দেশের উন্নয়নও ঘটবে।
বর্তমান বিশ্বে পর্যটনশিল্প বিশাল আয়ের উত্স। প্রাচীন যুগে আমাদের দেশেও পর্যটনশিল্প উন্নত ও আয়ের উত্স ছিল। ইবনে বতুতা পর্যটক হিসেবে আমাদের দেশে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। বর্তমানে আরব দেশগুলো থেকে শুরু করে ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, ভারতসহ এশিয়ার সব দেশই পর্যটনশিল্পকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম উত্স হিসেবে নিয়েছে।
জাতীয় বাজেটে এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। যারা হোটেল-মোটেল ও সাফারি পার্ক নির্মাণ করবে, তাদের ট্যাক্স হলিডে দিয়ে এ খাতে বেসরকারি উদ্যোগকে উত্সাহিত করা যায়। এই খাতে বিদেশি পুঁজি আকর্ষণ করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া যায়: ১. যেসব বিদেশি উদ্যোক্তা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে, তাদের নাগরিকত্বসহ আবাসন সুবিধা দেওয়া; ২. ট্যাক্স হলিডে দেওয়া; ৩. তাদের বিনিয়োগ তদারকির জন্য গ্রহণযোগ্য লোক নিয়োগের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।
আর বাংলাদেশকে বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে এসব দিকে নজর দেওয়া জরুরি: ১. পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত করার জন্য স্যানিটেশন-ব্যবস্থার উন্নয়ন; ২. যাতায়াতব্যবস্থা ও যানবাহনব্যবস্থার উন্নয়ন করা; ৩. হাটহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ; ৪. বরিশাল থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন; ৫. কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা; ৬. কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ রোডটির উন্নয়ন; ৭. খুলনায় প্রস্তাবিত বিমানবন্দর দ্রুত নির্মাণ; ৮. পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
এসব অবকাঠামোর উন্নয়ন করা গেলে আমাদের দেশেও বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসবে। আর বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য এসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন: ১. বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর এ বিষয়ে তত্পরতা বাড়ানো; ২. দেশের দর্শনীয় স্থান ও থাকার ব্যবস্থার স্থানের ভিডিও চিত্রে ধারণ করে অন্যান্য দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন সেমিনারে উপস্থাপন করা। ৩. মালয়েশিয়ার পেনাং ও কাশ্মীরের মতো নদী ভ্রমণের জন্য সুন্দর সুন্দর নৌকার ব্যবস্থা করা; ৪. খুলনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের মতো স্থানে তিন থেকে পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ করা। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস ও চীন পর্যটক আকর্ষণের জন্য ব্যাপকভাবে হোটেল-মোটেল তৈরি করছে। আমরা যদি পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন সাধন করতে পারি, তাহলে আমাদের দেশের বেকার সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বিদেশি পর্যটক ও অন্যান্য ভ্রমণকারীর কাছ থেকে গত বছর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৬১২ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০০৭ সালে এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল ৫২৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। গত এক বছরে পর্যটন খাতে আয় বেড়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
সার্ক ও আসিয়ানের অনেক দেশেই পর্যটন খাত থেকে হাজার কোটি ডলারের বেশি আয় করে। ২০০৫ সালে থাইল্যান্ড আয় করে এক হাজার ২৬২ কোটি ডলার, সিঙ্গাপুর ৫৭৩ কোটি ডলার, ভারতের আয় প্রায় ৪০০ কোটি ডলার, পাকিস্তানের আয় ৮৩ কোটি ডলার, নেপালের আয় ১৬ কোটি ডলার। আর গত ২০০৫ সালে বাংলাদেশের আয় ছিল মাত্র সাত কোটি ডলার। আমাদের আয় অবশ্যই বাড়বে, যদি আমরা পর্যটনশিল্পের আরও উন্নয়ন ঘটাতে পারি।
সিরাজুল ইসলাম: ব্যাংকার, বনানী।
No comments