বিরল সম্মান -ফজলে হাসান আবেদকে অভিনন্দন
দারিদ্র্য
বিমোচন ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে অসামান্য অবদানের জন্য ব্র্যাকের
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন ফজলে হাসান আবেদের নাইট উপাধিতে ভূষিত হওয়া শুধু
তাঁর নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্যই আনন্দ ও গৌরবের বিষয়। বৃহস্পতিবার
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নববর্ষের সম্মাননার তালিকায় তাঁর নাম
ঘোষণা করে বলা হয়, ফজলে হাসান আবেদ হবেন ‘নাইট কমান্ডার অব দ্য মোস্ট
ডিসটিংগুইস্ড অর্ডার অব সেন্ট মাইকেল অ্যান্ড সেন্ট জর্জ’। এই বিরল
সম্মানের জন্য আমরা তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
১৯৪৭ সালের পর ফজলে হাসান আবেদই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি এই উপাধি পেলেন। তাঁর কর্মক্ষেত্র বাংলাদেশ ছাড়িয়ে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বহু দেশে বিস্তৃত। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ফজলে হাসান আবেদের প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক চার দশক ধরে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। নাইট উপাধি তাঁর কাজের আরেকটি স্বীকৃতি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, ১৯১৩ সালে ফজলে হাসান আবেদের বাবা সিদ্দিক হাসানের মামা বিচারপতি নবাব স্যার সৈয়দ শামসুল হুদাও নাইট উপাধি পেয়েছিলেন। নাইট উপাধি পেয়েছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও, যিনি জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তা বর্জন করেন।
এর আগে ফজলে হাসান আবেদ র্যামন ম্যাগসেসাই অ্যাওয়ার্ড অব কমিউনিটি লিডারশিপ (১৯৮০), ইউনিসেফ মেরিট পেট অ্যাওয়ার্ডসহ (১৯৯২) বেশ কয়টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার বা সম্মাননা মানুষকে অধিকতর দায়িত্বশীল করে, তা অনুধাবন করা যায় নাইট উপাধি পাওয়ার পর ফজলে হাসান আবেদের নিরহংকার প্রতিক্রিয়ায়। তিনি বলেছেন, ‘এই সম্মান আমি বিনম্রচিত্তে গ্রহণ করছি। এ জন্য আমি ব্র্যাকের আমার সব সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
যে কজন কৃতবিদ্য মানুষ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, ফজলে হাসান আবেদ তাঁদের অন্যতম। একই সঙ্গে আমরা সানন্দচিত্তে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করতে চাই, যিনি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত হন। তাঁরা আমাদের গর্ব ও নিত্যপ্রেরণা। তাঁদের কর্ম ও জীবনসাধনা হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যকেই শুধু বদলে দেয়নি, বাংলাদেশকেও বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। ফজলে হাসান আবেদ কিংবা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিন্দু থেকে যাত্রা শুরু করলেও এখন তাঁদের কর্মপরিধি সিন্ধু ছাড়িয়ে গেছে।
আমরা তাঁদের কর্মের সাথি, স্বপ্নের সহযাত্রী।
১৯৪৭ সালের পর ফজলে হাসান আবেদই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি এই উপাধি পেলেন। তাঁর কর্মক্ষেত্র বাংলাদেশ ছাড়িয়ে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের বহু দেশে বিস্তৃত। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ফজলে হাসান আবেদের প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক চার দশক ধরে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। নাইট উপাধি তাঁর কাজের আরেকটি স্বীকৃতি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, ১৯১৩ সালে ফজলে হাসান আবেদের বাবা সিদ্দিক হাসানের মামা বিচারপতি নবাব স্যার সৈয়দ শামসুল হুদাও নাইট উপাধি পেয়েছিলেন। নাইট উপাধি পেয়েছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও, যিনি জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তা বর্জন করেন।
এর আগে ফজলে হাসান আবেদ র্যামন ম্যাগসেসাই অ্যাওয়ার্ড অব কমিউনিটি লিডারশিপ (১৯৮০), ইউনিসেফ মেরিট পেট অ্যাওয়ার্ডসহ (১৯৯২) বেশ কয়টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার বা সম্মাননা মানুষকে অধিকতর দায়িত্বশীল করে, তা অনুধাবন করা যায় নাইট উপাধি পাওয়ার পর ফজলে হাসান আবেদের নিরহংকার প্রতিক্রিয়ায়। তিনি বলেছেন, ‘এই সম্মান আমি বিনম্রচিত্তে গ্রহণ করছি। এ জন্য আমি ব্র্যাকের আমার সব সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
যে কজন কৃতবিদ্য মানুষ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, ফজলে হাসান আবেদ তাঁদের অন্যতম। একই সঙ্গে আমরা সানন্দচিত্তে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করতে চাই, যিনি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেডেল অব ফ্রিডম পদকে ভূষিত হন। তাঁরা আমাদের গর্ব ও নিত্যপ্রেরণা। তাঁদের কর্ম ও জীবনসাধনা হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যকেই শুধু বদলে দেয়নি, বাংলাদেশকেও বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। ফজলে হাসান আবেদ কিংবা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিন্দু থেকে যাত্রা শুরু করলেও এখন তাঁদের কর্মপরিধি সিন্ধু ছাড়িয়ে গেছে।
আমরা তাঁদের কর্মের সাথি, স্বপ্নের সহযাত্রী।
No comments