জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে তোপের মুখে ওবামা প্রশাসন by ইব্রাহীম চৌধুরী
সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দেশকে নিরাপদ রাখা নিয়ে আবারও বিতর্ক শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত সপ্তাহে যাত্রীবাহী মার্কিন বিমান উড়িয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর এ বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। খোদ প্রেডিডেন্ট বারাক ওবামা নিরাপত্তাব্যবস্থায় পদ্ধতিগত ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। তোপের মুখে পড়েছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান জেনেথ নেপোলিটেনো। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ওবামা প্রশাসনের ওপর রক্ষণশীলদের আক্রমণও তীব্র হয়ে উঠেছে।
জননিরাপত্তা বিষয়ে রক্ষণশীলদের প্রচলিত বিতর্কের অসারতা নিয়ে তথ্যবহুল একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায়। সেন্টার ফর ন্যাশনাল পলিসি নামের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন ফ্লিন জননিরাপত্তা-বিষয়ক প্রচলিত বিতর্কের যুক্তি তুলে ধরেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলায় মার্কিন নাগরিকদের মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি—এমন ধারণা অমূলক।
জর্জ বুশের সময় ব্যাপকভাবে বলা হতো, জঙ্গিদের উত্সমূলে আক্রমণ করতে হবে। আগাম আক্রমণে জঙ্গিগোষ্ঠী পালিয়ে বাঁচতে চাইবে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর অবকাশ পাবে না। সন্ত্রাস মোকাবিলায় জর্জ বুশের এই আক্রমণাত্মক নীতিও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান এমনকি ইয়েমেনে জঙ্গি-উত্স এলাকায় হামলা চালিয়েও জঙ্গিদের থামানো যায়নি।
জাতীয় নিরাপত্তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কথা বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। এতে সীমান্তে নিরাপত্তার নামে অবৈধ অভিবাসীদের ওপরই আইনের খড়্গ নেমে এসেছে। কানাডা কিংবা মেক্সিকো হয়ে অভিবাসনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ক্রমে দুরূহ হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকোর ১২ হাজার মাইলেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্তে কার্যত কোনো সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলার ঘটনাই ঘটেনি। উপরন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে জঙ্গিবাদের উত্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফোর্টহুড সেনাঘাঁটিতে মার্কিন মেজর নিদালের গুলিবর্ষণের ঘটনা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বেশ কিছু জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার খবর জননিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। সীমান্তনিরাপত্তা জোরদারের মাধ্যমেই জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ নিশ্চিত হবে, এমন যুক্তিও তেমন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে না।
জঙ্গি হামলা মোকাবিলা ও প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিসহায়ক হলেও অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতা সমস্যার সৃষ্টি করছে। ডেট্রয়েটের আকাশে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমানবন্দরে এক্স-রে মেশিন বসানোর কথা উঠেছে। পুরো শরীরের এক্স-রে তল্লাশির পরই যাত্রীরা বিমানে ওঠার অনুমতি পাবেন। এতে নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও শারীরিক গোপনীয়তা বলতে আর কিছু থাকবে না। প্রযুক্তিকে পাশ কাটিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করবে আত্মঘাতী সন্ত্রাসীরা।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিজ্ঞ পেশাদারির বিকল্প হিসেবে প্রযুক্তিকে সমান কার্যকর মনে করার কোনো কারণ নেই।
স্টিফেন ফ্লিন তাঁর প্রতিবেদনে বলেছেন, সরকারি লোকজন নয়, সাধারণ জনগণই জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেছিল সাধারণ মার্কিন বিমানযাত্রীরা। হোয়াইট হাউস অভিমুখে হামলার জন্য যাওয়া বিমানটি সাহসী যাত্রীদের প্রতিরোধে পেনসিলভানিয়ায় ধসে পড়ে। এমনকি বড়দিনে ডেট্রয়েটের আকাশে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার জঙ্গি অভিযানটিও ব্যর্থ হয় সাধারণ যাত্রীদের প্রতিরোধের কারণেই।
নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ওবামা প্রশাসনের সমালোচনায় আক্রমণাত্মক এখন রক্ষণশীল মহলগুলো। নির্বাচনের আগে থেকেই ওবামাকে জননিরাপত্তা বিষয়ে অনভিজ্ঞ হিসেবে চিত্রায়িত করার প্রয়াস ছিল রিপাবলিকান সদস্যদের। চলমান ঘটনাগুলো তাঁদের পুরোনো উদ্যোগকেই যেন উসকে দিয়েছে। পুরো নিরাপত্তাব্যবস্থা, গোয়েন্দা তথ্যবিনিময় ও সমন্বয় নিয়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
জননিরাপত্তা বিষয়ে রক্ষণশীলদের প্রচলিত বিতর্কের অসারতা নিয়ে তথ্যবহুল একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায়। সেন্টার ফর ন্যাশনাল পলিসি নামের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট স্টিফেন ফ্লিন জননিরাপত্তা-বিষয়ক প্রচলিত বিতর্কের যুক্তি তুলে ধরেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলায় মার্কিন নাগরিকদের মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি—এমন ধারণা অমূলক।
জর্জ বুশের সময় ব্যাপকভাবে বলা হতো, জঙ্গিদের উত্সমূলে আক্রমণ করতে হবে। আগাম আক্রমণে জঙ্গিগোষ্ঠী পালিয়ে বাঁচতে চাইবে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর অবকাশ পাবে না। সন্ত্রাস মোকাবিলায় জর্জ বুশের এই আক্রমণাত্মক নীতিও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আফগানিস্তান, ইরাক, পাকিস্তান এমনকি ইয়েমেনে জঙ্গি-উত্স এলাকায় হামলা চালিয়েও জঙ্গিদের থামানো যায়নি।
জাতীয় নিরাপত্তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কথা বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। এতে সীমান্তে নিরাপত্তার নামে অবৈধ অভিবাসীদের ওপরই আইনের খড়্গ নেমে এসেছে। কানাডা কিংবা মেক্সিকো হয়ে অভিবাসনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ক্রমে দুরূহ হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকোর ১২ হাজার মাইলেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্তে কার্যত কোনো সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলার ঘটনাই ঘটেনি। উপরন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে জঙ্গিবাদের উত্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফোর্টহুড সেনাঘাঁটিতে মার্কিন মেজর নিদালের গুলিবর্ষণের ঘটনা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বেশ কিছু জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার খবর জননিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। সীমান্তনিরাপত্তা জোরদারের মাধ্যমেই জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ নিশ্চিত হবে, এমন যুক্তিও তেমন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে না।
জঙ্গি হামলা মোকাবিলা ও প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিসহায়ক হলেও অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতা সমস্যার সৃষ্টি করছে। ডেট্রয়েটের আকাশে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্রের সব বিমানবন্দরে এক্স-রে মেশিন বসানোর কথা উঠেছে। পুরো শরীরের এক্স-রে তল্লাশির পরই যাত্রীরা বিমানে ওঠার অনুমতি পাবেন। এতে নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও শারীরিক গোপনীয়তা বলতে আর কিছু থাকবে না। প্রযুক্তিকে পাশ কাটিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করবে আত্মঘাতী সন্ত্রাসীরা।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিজ্ঞ পেশাদারির বিকল্প হিসেবে প্রযুক্তিকে সমান কার্যকর মনে করার কোনো কারণ নেই।
স্টিফেন ফ্লিন তাঁর প্রতিবেদনে বলেছেন, সরকারি লোকজন নয়, সাধারণ জনগণই জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেছিল সাধারণ মার্কিন বিমানযাত্রীরা। হোয়াইট হাউস অভিমুখে হামলার জন্য যাওয়া বিমানটি সাহসী যাত্রীদের প্রতিরোধে পেনসিলভানিয়ায় ধসে পড়ে। এমনকি বড়দিনে ডেট্রয়েটের আকাশে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার জঙ্গি অভিযানটিও ব্যর্থ হয় সাধারণ যাত্রীদের প্রতিরোধের কারণেই।
নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ওবামা প্রশাসনের সমালোচনায় আক্রমণাত্মক এখন রক্ষণশীল মহলগুলো। নির্বাচনের আগে থেকেই ওবামাকে জননিরাপত্তা বিষয়ে অনভিজ্ঞ হিসেবে চিত্রায়িত করার প্রয়াস ছিল রিপাবলিকান সদস্যদের। চলমান ঘটনাগুলো তাঁদের পুরোনো উদ্যোগকেই যেন উসকে দিয়েছে। পুরো নিরাপত্তাব্যবস্থা, গোয়েন্দা তথ্যবিনিময় ও সমন্বয় নিয়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে আগামী মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
No comments