গোড়ায় ফিরছেন ‘ফিরে আসা’ দুজন
ঠিক পাঁচ বছর আগে আজকের দিনটিতেই বহু আরাধ্য স্বপ্নটা পূরণ হয়েছিল দুজনের। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল শেন ওয়াটসন ও মোহাম্মদ আসিফের। তবে অভিষেকটা হয়তো ভুলে যেতে চাইবেন দুজনেই। প্রথম বলটি করতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন ওয়াটসন। দুই ইনিংসে নিয়েছিলেন মাত্র একটি উইকেট, আর এক ইনিংস ব্যাটিংয়ে করেছিলেন ৩২ রান। আর দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৮ ওভারে ৮৮ রান দিয়ে কোনো উইকেটই পাননি আসিফ।
সেই সিডনিতেই কাল দুজন যখন মাঠে নামবেন, দলের বড় ভরসা দুজনই। ভালো একটা শুরুর জন্য ওয়াটসনের ব্যাট ও আসিফের বোলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে দুদল। অথচ কী অদ্ভুত মিল, এই ৫ বছরে দুজনই খেলতে পেরেছেন মাত্র ১৫টি করে টেস্ট! কারণটা অবশ্য ভিন্ন, নাছোড়বান্দা ইনজুরির কারণে ওয়াটসন, আর মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে আসিফ। তবে তিক্ত অতীতকে পেছনে ফেলেছেন দুজনই। দুই বছর পর দলে ফিরে ৪ টেস্টে ২২ উইকেট নিয়েছেন আসিফ। আর ওপেনারের নতুন ভূমিকায় ১২ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি ফিফটি ওয়াটসনের, পাশাপাশি এই সময়ে উইকেটও নিয়েছেন ৯টি।
ওই বছরই বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে সিডনিতে আরেকটি টেস্ট খেলেছিলেন ওয়াটসন। সিডনিতে আবার টেস্ট খেলার আগে স্মৃতির ডানায় ভর করে পেছনে ফিরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অনুধাবন করছেন সেদিনের ওয়াটসনের সঙ্গে আজকের ওয়াটসনের পার্থক্যও, ‘টেস্ট অভিষেক...মনে হচ্ছে কত আগেরই না ঘটনা! এটা অদ্ভুত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারণার কত পরিবর্তন হয়। তখন ভাবতাম, আমি হয়তো এই পর্যায়ে খেলার জন্য তৈরি। কিন্তু কোনো ধারণা ছিল না আমি কতটা শিখতে পারি, ক্রিকেটার ও ব্যক্তি হিসেবে কতটা উন্নতি করতে পারি। আত্মবিশ্বাস আজ আমাকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে। ২৩ বছর বয়সে যা ছিলাম, তার চেয়ে শারীরিকভাবেও আমার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেই সময় আমার শরীর ছিল রাগবি খেলোয়াড়দের মতো, এখন অনেকটাই ক্রিকেটারের মতো।’
প্রথম টেস্ট বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। তারপরও তারা পাকিস্তানকে যথেষ্ট সমীহ করছে মূলত দ্বিতীয় টেস্টটা সিডনিতে বলেই। অস্ট্রেলিয়ায় সিডনির উইকেটই ঐতিহ্যগতভাবে একমাত্র স্পিনসহায়ক। আর পাকিস্তান দলে আছে সাঈদ আজমল ও দানিশ কানেরিয়ার মতো দুজন স্পিনার। সিডনিতে খেলা সর্বশেষ টেস্টেই ৭ উইকেট নিয়েছিলেন কানেরিয়া। ওয়াটসনেরও বেশি ভয় ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্টে না খেলা এই লেগ স্পিনারকে নিয়েই, ‘সে জানে সিডনিতে কীভাবে বোলিং করতে হয়। টার্ন, টপস্পিন, গুগলি, সব মিলিয়ে ওকে খেলাটা হবে বড় একটা চ্যালেঞ্জ।’ সিডনিতে খেলা বলেই আবারও ৫ উইকেট নেওয়ার আশা করছেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান হরিজ।
তবে স্পিনারদের নিয়ে এত হইচই শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। কিছুদিন ধরেই আগের মতো যেন স্পিনারদের প্রতি উদার নয় সিডনি। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত, এখনই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন না ইউনুস খান। নির্বাচকেরা ইউনুসকে পাঠাতেই চেয়েছিলেন, কিন্তু পিসিবি প্রধান ইজাজ বাট ইউনুসকে তাড়াহুড়ো করে পাঠাতে তো রাজি হননি, উল্টো নির্দেশ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া সফরকারী দলের সদস্য ১৭ থেকে ১৫-তে নামিয়ে আনতে। ফিরে আসছেন তাই ফাওয়াদ আলম ও আবদুর রউফ। ওয়েবসাইট।
সেই সিডনিতেই কাল দুজন যখন মাঠে নামবেন, দলের বড় ভরসা দুজনই। ভালো একটা শুরুর জন্য ওয়াটসনের ব্যাট ও আসিফের বোলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে দুদল। অথচ কী অদ্ভুত মিল, এই ৫ বছরে দুজনই খেলতে পেরেছেন মাত্র ১৫টি করে টেস্ট! কারণটা অবশ্য ভিন্ন, নাছোড়বান্দা ইনজুরির কারণে ওয়াটসন, আর মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে আসিফ। তবে তিক্ত অতীতকে পেছনে ফেলেছেন দুজনই। দুই বছর পর দলে ফিরে ৪ টেস্টে ২২ উইকেট নিয়েছেন আসিফ। আর ওপেনারের নতুন ভূমিকায় ১২ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি ফিফটি ওয়াটসনের, পাশাপাশি এই সময়ে উইকেটও নিয়েছেন ৯টি।
ওই বছরই বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে সিডনিতে আরেকটি টেস্ট খেলেছিলেন ওয়াটসন। সিডনিতে আবার টেস্ট খেলার আগে স্মৃতির ডানায় ভর করে পেছনে ফিরে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অনুধাবন করছেন সেদিনের ওয়াটসনের সঙ্গে আজকের ওয়াটসনের পার্থক্যও, ‘টেস্ট অভিষেক...মনে হচ্ছে কত আগেরই না ঘটনা! এটা অদ্ভুত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধারণার কত পরিবর্তন হয়। তখন ভাবতাম, আমি হয়তো এই পর্যায়ে খেলার জন্য তৈরি। কিন্তু কোনো ধারণা ছিল না আমি কতটা শিখতে পারি, ক্রিকেটার ও ব্যক্তি হিসেবে কতটা উন্নতি করতে পারি। আত্মবিশ্বাস আজ আমাকে অনেকটাই বদলে দিয়েছে। ২৩ বছর বয়সে যা ছিলাম, তার চেয়ে শারীরিকভাবেও আমার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সেই সময় আমার শরীর ছিল রাগবি খেলোয়াড়দের মতো, এখন অনেকটাই ক্রিকেটারের মতো।’
প্রথম টেস্ট বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। তারপরও তারা পাকিস্তানকে যথেষ্ট সমীহ করছে মূলত দ্বিতীয় টেস্টটা সিডনিতে বলেই। অস্ট্রেলিয়ায় সিডনির উইকেটই ঐতিহ্যগতভাবে একমাত্র স্পিনসহায়ক। আর পাকিস্তান দলে আছে সাঈদ আজমল ও দানিশ কানেরিয়ার মতো দুজন স্পিনার। সিডনিতে খেলা সর্বশেষ টেস্টেই ৭ উইকেট নিয়েছিলেন কানেরিয়া। ওয়াটসনেরও বেশি ভয় ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্টে না খেলা এই লেগ স্পিনারকে নিয়েই, ‘সে জানে সিডনিতে কীভাবে বোলিং করতে হয়। টার্ন, টপস্পিন, গুগলি, সব মিলিয়ে ওকে খেলাটা হবে বড় একটা চ্যালেঞ্জ।’ সিডনিতে খেলা বলেই আবারও ৫ উইকেট নেওয়ার আশা করছেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান হরিজ।
তবে স্পিনারদের নিয়ে এত হইচই শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। কিছুদিন ধরেই আগের মতো যেন স্পিনারদের প্রতি উদার নয় সিডনি। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত, এখনই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন না ইউনুস খান। নির্বাচকেরা ইউনুসকে পাঠাতেই চেয়েছিলেন, কিন্তু পিসিবি প্রধান ইজাজ বাট ইউনুসকে তাড়াহুড়ো করে পাঠাতে তো রাজি হননি, উল্টো নির্দেশ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া সফরকারী দলের সদস্য ১৭ থেকে ১৫-তে নামিয়ে আনতে। ফিরে আসছেন তাই ফাওয়াদ আলম ও আবদুর রউফ। ওয়েবসাইট।
No comments