আদিবাসীদের সম্পৃক্ত করা দরকার -শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন by ইলিরা দেওয়ান
প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে অনেক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের মধ্যে প্রাথমিক স্তরে দেশের সব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিশুদের জন্য নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের কথা বলা রয়েছে। এ ছাড়া আদিবাসী শিক্ষক নিয়োগ, আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসনব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে। এমনকি পাঠ্যসূচি তৈরিতে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তির ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। এসব প্রয়োজনীয়তার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার ফলে বাংলাদেশের অনেক মানুষ আদিবাসীদের সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব লালন করে, যা আদিবাসীদের জন্য অসম্মানজনকও বটে। আমরা আশা করছি, এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করে জনগণের মধ্যে আদিবাসী-সম্পর্কিত জ্ঞানের দীর্ঘদিনের বন্ধ্যত্ব দূর করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে, ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সম্মিলন। তাই আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন ও সংরক্ষণের জন্য সরকারকেই আন্তরিক হতে হবে।
পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক ১৯৯৮ সালের পার্বত্য জেলা পরিষদ সংশোধনী বিলের ৩৬ (ঠ) ধারায় ‘মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার’ বিষয়টি আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশাসনিক কাজ বাদে প্রধান যে কাজটি এখনো অবাস্তবায়িত রয়েছে, তা হলো পাঠ্যবইয়ের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন। বিশেষত, পার্বত্য এলাকার ভৌগোলিক, সামাজিক ও ভাষাগত দিক বিবেচনায় রেখে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, পাঠদানের মাধ্যম নির্ধারণ ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এ কাজগুলো এখনো অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, যেহেতু বর্তমান প্রচলিত শিক্ষাকাঠামো পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগোলিক পরিবেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক, তাই এ শিক্ষাকাঠামোর মধ্যে পরিবর্তন আনয়ন ছাড়া পিছিয়ে পড়া আদিবাসী শিশুদের মূল স্রোতোধারায় আনা সম্ভব নয়। এ জন্য আদিবাসীদের মধ্যে স্থানীয় নেতৃত্ব এবং অভিজ্ঞ ও প্রবীণ শিক্ষাবিদ যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সেখানকার শিক্ষাকাঠামো তৈরি করা যেতে পারে।
ভাষা হলো ভাব প্রকাশের প্রধানতম মাধ্যম। শিশুর মেধা বিকশিত করতে হলে প্রথমেই মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রেও আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকারের কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আদিবাসী শিশুরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে। শিক্ষার প্রথম পাঠ ও শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষাকেই তাদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে ভাষাগত দূরত্বের কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তযোগাযোগ গড়ে ওঠে না। এ কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আদিবাসী শিশুদের ঝরে পড়ার হার সবচেয়ে বেশি। কাজেই আদিবাসী শিশুদের কাছে শিক্ষাকে সহজবোধ্য ও সর্বজনীন করে তুলতে হলে উল্লিখিত বিষয়গুলো গভীরভাবে উপলব্ধি করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই কোমলমতি এ শিশুদের কাছে শিক্ষাকে সহজতর করতে মাতৃভাষায় শিক্ষার পাশাপাশি আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকার স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং অন্য ভাষাভাষী শিক্ষকদেরও স্থানীয় ভাষার ওপর ওরিয়েন্টেশন কোর্সের ব্যবস্থা করা দরকার।
আদিবাসী শিশুদের শিক্ষালাভের আরেকটি প্রধান অন্তরায় হলো যোগাযোগব্যবস্থার প্রতিকূলতা। শিক্ষানীতিতে প্রস্তাবিত আবাসিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করলে এ সংকটও দূর করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রতি জেলায় পাহাড়ি ছেলেমেয়েদের জন্য দুটি করে আলাদা হোস্টেল চালু ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এ হোস্টেলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে অনেক দরিদ্র মেধাবী ছেলেমেয়ের পড়ালেখা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। জেলা সদরে অবস্থিত এ হোস্টেলগুলো যদি সংস্কার করে আবার চালু করা হয় এবং প্রয়োজনে আরও নতুন আবাসন তৈরি করে দেওয়া যায়, তাহলে বহু দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষার সুযোগ পাবে।
মাতৃভাষায় আদিবাসী শিশুদের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে এরই মধ্যে কিছু এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু এ কর্মসূচির ব্যাপকতা ও স্থায়িত্বের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আবশ্যক।
শুধু প্রাথমিক শিক্ষা নয়, উচ্চশিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রেও আদিবাসীদের সুযোগ বাড়ানো দরকার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (১৯৯৭) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘উপজাতীয় কোটা’ সংক্রান্ত সরকারি একটি নীতিমালা গৃহীত হয়, যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ আসন বণ্টনব্যবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না। এ ছাড়া পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা সব ক্যাডার ও নন-ক্যাডারভুক্ত চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলা হলেও কোনো সময়ই তা কার্যকর হয়নি। ‘আদিবাসীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে’ এ যুক্তি আর খাড়া না করে সব ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ হচ্ছে কি না, সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার।
আমরা চেয়েছি এমন একটি শিক্ষানীতি, যেটি টেকসই শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও সুষম শিক্ষাব্যবস্থার পথ সুগম করবে। বর্তমান শিক্ষানীতিটি ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রণীত হলেও অন্যান্য কমিশন থেকে এটি যথেষ্ট উদার ও সুষমভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই আমরা আশা করি, এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর পাঠ্যসূচিতে আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে স্বতন্ত্র কোর্স চালু করা হবে এবং আদিবাসীদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অন্যান্য যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করার লক্ষ্যে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
ইলিরা দেওয়ান: উন্নয়নকর্মী।
ilira.dewan@gmail.com
পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক ১৯৯৮ সালের পার্বত্য জেলা পরিষদ সংশোধনী বিলের ৩৬ (ঠ) ধারায় ‘মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার’ বিষয়টি আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশাসনিক কাজ বাদে প্রধান যে কাজটি এখনো অবাস্তবায়িত রয়েছে, তা হলো পাঠ্যবইয়ের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন। বিশেষত, পার্বত্য এলাকার ভৌগোলিক, সামাজিক ও ভাষাগত দিক বিবেচনায় রেখে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, পাঠদানের মাধ্যম নির্ধারণ ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এ কাজগুলো এখনো অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আমাদের মনে রাখতে হবে, যেহেতু বর্তমান প্রচলিত শিক্ষাকাঠামো পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগোলিক পরিবেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক, তাই এ শিক্ষাকাঠামোর মধ্যে পরিবর্তন আনয়ন ছাড়া পিছিয়ে পড়া আদিবাসী শিশুদের মূল স্রোতোধারায় আনা সম্ভব নয়। এ জন্য আদিবাসীদের মধ্যে স্থানীয় নেতৃত্ব এবং অভিজ্ঞ ও প্রবীণ শিক্ষাবিদ যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সেখানকার শিক্ষাকাঠামো তৈরি করা যেতে পারে।
ভাষা হলো ভাব প্রকাশের প্রধানতম মাধ্যম। শিশুর মেধা বিকশিত করতে হলে প্রথমেই মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রেও আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকারের কথা স্পষ্ট উল্লেখ আছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আদিবাসী শিশুরা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকে। শিক্ষার প্রথম পাঠ ও শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষাকেই তাদের ব্যবহার করতে হচ্ছে। ফলে ভাষাগত দূরত্বের কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তযোগাযোগ গড়ে ওঠে না। এ কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আদিবাসী শিশুদের ঝরে পড়ার হার সবচেয়ে বেশি। কাজেই আদিবাসী শিশুদের কাছে শিক্ষাকে সহজবোধ্য ও সর্বজনীন করে তুলতে হলে উল্লিখিত বিষয়গুলো গভীরভাবে উপলব্ধি করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই কোমলমতি এ শিশুদের কাছে শিক্ষাকে সহজতর করতে মাতৃভাষায় শিক্ষার পাশাপাশি আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকার স্কুলগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং অন্য ভাষাভাষী শিক্ষকদেরও স্থানীয় ভাষার ওপর ওরিয়েন্টেশন কোর্সের ব্যবস্থা করা দরকার।
আদিবাসী শিশুদের শিক্ষালাভের আরেকটি প্রধান অন্তরায় হলো যোগাযোগব্যবস্থার প্রতিকূলতা। শিক্ষানীতিতে প্রস্তাবিত আবাসিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করলে এ সংকটও দূর করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রতি জেলায় পাহাড়ি ছেলেমেয়েদের জন্য দুটি করে আলাদা হোস্টেল চালু ছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এ হোস্টেলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে অনেক দরিদ্র মেধাবী ছেলেমেয়ের পড়ালেখা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। জেলা সদরে অবস্থিত এ হোস্টেলগুলো যদি সংস্কার করে আবার চালু করা হয় এবং প্রয়োজনে আরও নতুন আবাসন তৈরি করে দেওয়া যায়, তাহলে বহু দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষার সুযোগ পাবে।
মাতৃভাষায় আদিবাসী শিশুদের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে এরই মধ্যে কিছু এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু এ কর্মসূচির ব্যাপকতা ও স্থায়িত্বের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আবশ্যক।
শুধু প্রাথমিক শিক্ষা নয়, উচ্চশিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রেও আদিবাসীদের সুযোগ বাড়ানো দরকার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (১৯৯৭) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘উপজাতীয় কোটা’ সংক্রান্ত সরকারি একটি নীতিমালা গৃহীত হয়, যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও সংখ্যা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ আসন বণ্টনব্যবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না। এ ছাড়া পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করা সব ক্যাডার ও নন-ক্যাডারভুক্ত চাকরিতে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলা হলেও কোনো সময়ই তা কার্যকর হয়নি। ‘আদিবাসীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে’ এ যুক্তি আর খাড়া না করে সব ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ হচ্ছে কি না, সেদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার।
আমরা চেয়েছি এমন একটি শিক্ষানীতি, যেটি টেকসই শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও সুষম শিক্ষাব্যবস্থার পথ সুগম করবে। বর্তমান শিক্ষানীতিটি ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রণীত হলেও অন্যান্য কমিশন থেকে এটি যথেষ্ট উদার ও সুষমভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই আমরা আশা করি, এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর পাঠ্যসূচিতে আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে স্বতন্ত্র কোর্স চালু করা হবে এবং আদিবাসীদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অন্যান্য যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দূর করার লক্ষ্যে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।
ইলিরা দেওয়ান: উন্নয়নকর্মী।
ilira.dewan@gmail.com
No comments