প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা -ঝরে পড়া ও অনুত্তীর্ণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে হবে
প্রথমবারের মতো প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা যে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উত্সাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল, ফলাফলেও তার প্রতিফলন লক্ষ করা গেছে। যে দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়েও কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়, সে দেশে একসঙ্গে ২০ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া সহজ ছিল না। বলা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সে দায়িত্ব মোটামুটি ভালোভাবে পালন করেছে, যদিও পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছু কিছু ত্রুটিও ছিল। ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সতর্ক হলে এসব ত্রুটিও এড়ানো সম্ভব হবে।
এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর উত্তীর্ণ হওয়াকে অনেকে সাফল্য হিসেবে দেখতে চাইবেন। বিশেষ করে, প্রথম বিভাগ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগের চেয়ে বেশি হওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক। একই সঙ্গে ১১ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থীর অনুত্তীর্ণ হওয়া আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতারই পরিচায়ক। তালিকাভুক্তির পরও পরীক্ষায় অবতীর্ণ না হওয়া আরও ৮ শতাংশ যোগ করলে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর হার দাঁড়ায় প্রায় ১৯ শতাংশ। এটি শুধু সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নয়, দেশের জন্যও বড় ধরনের অপচয়।
পরীক্ষার ফলাফলে চমকপ্রদ কিছু বৈশিষ্ট্যও ফুটে উঠেছে। যেমন মেধা তালিকায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের এগিয়ে থাকা, শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোর ভালো ফল করা। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, ভালো ফল করার জন্য নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার প্রয়োজন হয় না। শহরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকা সত্ত্বেও ভালো ফল না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ফলাফলের এই ধারা উচ্চশ্রেণীতেও ধরে রাখতে পারলে শিক্ষাক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।
পিটিআই-সংলগ্ন স্কুলগুলোতে শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টিও তাত্পর্যপূর্ণ। শিক্ষকেরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণলব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে ভালো ফল করা অসম্ভব নয়। ভালো শিক্ষক হওয়ার জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ব্র্যাক স্কুলের সাফল্যের পেছনেও রয়েছে নিয়মিত তদারকি ও শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ। অন্যান্য স্কুলে সেই তদারকি নিশ্চিত করা হলে তারাও ভালো ফল করতে পারবে।
অন্যদিকে এক হাজার ৯৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থীর উত্তীর্ণ না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। একজন শিক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হতে পারবে না—সে ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেখে লাভ কী? এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি যে ‘সহানুভূতি’ জানিয়েছেন, এর সঙ্গে দ্বিমত না করেও বলা যায়, শিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—উভয়কে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। উল্লিখিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কেন খারাপ ফল করল, তা তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় যারা ভালো করেছে, আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে এ কথাও বলব, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ৮৯ শতাংশ উত্তীর্ণ হওয়ায় উল্লসিত হলে চলবে না। ভবিষ্যতে সব পরীক্ষায় যাতে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়, সে চেষ্টাই চালাতে হবে। বিশেষ করে, প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া এবং অনুত্তীর্ণের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং মেধা ও জনশক্তির অপচয় রোধে এর বিকল্প নেই।
এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর উত্তীর্ণ হওয়াকে অনেকে সাফল্য হিসেবে দেখতে চাইবেন। বিশেষ করে, প্রথম বিভাগ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগের চেয়ে বেশি হওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক। একই সঙ্গে ১১ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থীর অনুত্তীর্ণ হওয়া আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতারই পরিচায়ক। তালিকাভুক্তির পরও পরীক্ষায় অবতীর্ণ না হওয়া আরও ৮ শতাংশ যোগ করলে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর হার দাঁড়ায় প্রায় ১৯ শতাংশ। এটি শুধু সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নয়, দেশের জন্যও বড় ধরনের অপচয়।
পরীক্ষার ফলাফলে চমকপ্রদ কিছু বৈশিষ্ট্যও ফুটে উঠেছে। যেমন মেধা তালিকায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের এগিয়ে থাকা, শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোর ভালো ফল করা। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, ভালো ফল করার জন্য নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার প্রয়োজন হয় না। শহরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকা সত্ত্বেও ভালো ফল না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ফলাফলের এই ধারা উচ্চশ্রেণীতেও ধরে রাখতে পারলে শিক্ষাক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।
পিটিআই-সংলগ্ন স্কুলগুলোতে শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টিও তাত্পর্যপূর্ণ। শিক্ষকেরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণলব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে ভালো ফল করা অসম্ভব নয়। ভালো শিক্ষক হওয়ার জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ব্র্যাক স্কুলের সাফল্যের পেছনেও রয়েছে নিয়মিত তদারকি ও শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ। অন্যান্য স্কুলে সেই তদারকি নিশ্চিত করা হলে তারাও ভালো ফল করতে পারবে।
অন্যদিকে এক হাজার ৯৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থীর উত্তীর্ণ না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। একজন শিক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হতে পারবে না—সে ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেখে লাভ কী? এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি যে ‘সহানুভূতি’ জানিয়েছেন, এর সঙ্গে দ্বিমত না করেও বলা যায়, শিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—উভয়কে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। উল্লিখিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কেন খারাপ ফল করল, তা তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় যারা ভালো করেছে, আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে এ কথাও বলব, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ৮৯ শতাংশ উত্তীর্ণ হওয়ায় উল্লসিত হলে চলবে না। ভবিষ্যতে সব পরীক্ষায় যাতে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়, সে চেষ্টাই চালাতে হবে। বিশেষ করে, প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া এবং অনুত্তীর্ণের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং মেধা ও জনশক্তির অপচয় রোধে এর বিকল্প নেই।
No comments