অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এডিপির বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ২৩ শতাংশ -যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে বাস্তবায়ন সন্তোষজনক নয়
চলতি বছরের বাজেট বাস্তবায়নে সরকার নানা পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেও প্রথম পাঁচ মাসে দেশে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ২৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। একই সময়ে এডিপির মোট বরাদ্দের ৩৬ শতাংশ অর্থ ছাড় করা হয়েছে।
এডিপি বাস্তবায়নে শীর্ষ ১০টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, শিক্ষা, কৃষি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সন্তোষজনক অগ্রগতি করলেও অগ্রগতি নেই পানিসম্পদ এবং গৃহায়ণ ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের। দেশে যোগাযোগ ও বিদ্যুত্ খাত চরম নাজুক অবস্থায় থাকলেও এ দুটি মন্ত্রণালয়ও পরিস্থিতি উন্নয়নে তেমন কোনো সাফল্য দেখাতে পারছে না। দুটি মন্ত্রণালয় গত পাঁচ মাসে তাদের মোট বরাদ্দের ২০ শতাংশও খরচ করতে পারেনি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় তাদের বরাদ্দের ১৩ শতাংশ এবং বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয় লক্ষ্যমাত্রার ১৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়কালে এডিপি বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ছয় হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এটি এ বছরের মোট বরাদ্দ ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ২৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বাবদ ব্যয় হয়েছিল চার হাজার ৫৩১ কোটি টাকা, যা ছিল ওই অর্থবছরের মোট বরাদ্দের ১৮ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এডিপির বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এডিপি বাস্তবায়নের বরাদ্দের শীর্ষে থাকা ১০ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তাদের বরাদ্দ করা ৬৮৩ কোটি টাকার মধ্যে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়টি ৪৫৪ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার পরিমাণ মোট বরাদ্দের ৬৬ শতাংশ। এরপর আছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়টি তাদের বরাদ্দ করা দুই হাজার ৮২৮ কোটি টাকার মধ্যে ৩৭ শতাংশ খরচ করে ফেলেছে। এরপর আছে কৃষি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুটি মন্ত্রণালয়ই তাদের বরাদ্দ করা এডিপির ৩২ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিগত পাঁচ মাসে তাদের সারা বছরের বরাদ্দ ছয় হাজার ৫১৩ কোটি টাকার মধ্যে এরই মধ্যে এক হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যা মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশ।
এডিপি বাস্তবায়নের দিকে সবচেয়ে নিচে আছে গৃহায়ণ ও পূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টি এ বছর এডিপি বাবদ বরাদ্দ পায় ৫৪৪ কোটি টাকা। পাঁচ মাসে তারা ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ২০ কোটি টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের বিপরীতে মাত্র ৪ শতাংশ। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের মোট বরাদ্দের মাত্র ১২ শতাংশ ব্যয় করেছে। যোগযোগ মন্ত্রণালয় এ বছরে বরাদ্দ পেয়েছে তিন হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। পাঁচ মাসে তারা ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ১৩ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি আনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কারণ ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিরাট এডিপির বিপরীতে পাঁচ মাসে মাত্র ২৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হওয়া তারই প্রতিফলন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখ্ত প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি অর্থবছরই প্রথম ছয় মাসে এডিপির বাস্তবায়নের হার খুব অল্প ও গতি খুব শ্লথ থাকে। সেই অনুযায়ী এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
কিন্তু অনেকে এটাও বলছেন, গতানুগতিক এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাঙ্ক্ষিত গতি আনতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে বছরের শেষদিকে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে অর্থ ব্যয় করতে গিয়ে অপচয় বাড়বে।
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন সব সময়েই দুর্বল; এবারের বিশেষ ভয় হলো যে এইটি এতই উচ্চাভিলাষী যে ব্যর্থতার আশঙ্কা ব্যাপক। তাই শুরু থেকেই পরিবীক্ষণ, দেখাশোনা ও মূল্যায়নে জোর দিতে হবে।’
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বিশ্ব মন্দা মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছিলেন। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি অনিবার্যভাবে চলে আসে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকার ব্যয় বাড়ানো তো দূরের কথা, ঠিকমতো অর্থ ব্যয় করতে পারছে না। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর এডিপিতে মোট ৮৮৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত অর্থবছরে ছিল ৯০৪টি। সংশোধিত এডিপির আয়তন গত অর্থবছরে ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেছে ১৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, যা মোট বরাদ্দের ৮৬ শতাংশ। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত অর্থবছরের জন্য ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নির্ধারণ করে। পরে এই সরকার এসে তা কমিয়ে আনে।
এডিপি বাস্তবায়নে শীর্ষ ১০টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, শিক্ষা, কৃষি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সন্তোষজনক অগ্রগতি করলেও অগ্রগতি নেই পানিসম্পদ এবং গৃহায়ণ ও পূর্ত মন্ত্রণালয়ের। দেশে যোগাযোগ ও বিদ্যুত্ খাত চরম নাজুক অবস্থায় থাকলেও এ দুটি মন্ত্রণালয়ও পরিস্থিতি উন্নয়নে তেমন কোনো সাফল্য দেখাতে পারছে না। দুটি মন্ত্রণালয় গত পাঁচ মাসে তাদের মোট বরাদ্দের ২০ শতাংশও খরচ করতে পারেনি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় তাদের বরাদ্দের ১৩ শতাংশ এবং বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয় লক্ষ্যমাত্রার ১৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়কালে এডিপি বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ছয় হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এটি এ বছরের মোট বরাদ্দ ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ২৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এডিপি বাবদ ব্যয় হয়েছিল চার হাজার ৫৩১ কোটি টাকা, যা ছিল ওই অর্থবছরের মোট বরাদ্দের ১৮ শতাংশ। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এডিপির বরাদ্দ ছিল ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
এডিপি বাস্তবায়নের বরাদ্দের শীর্ষে থাকা ১০ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তাদের বরাদ্দ করা ৬৮৩ কোটি টাকার মধ্যে এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়টি ৪৫৪ কোটি টাকা খরচ করেছে, যার পরিমাণ মোট বরাদ্দের ৬৬ শতাংশ। এরপর আছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়টি তাদের বরাদ্দ করা দুই হাজার ৮২৮ কোটি টাকার মধ্যে ৩৭ শতাংশ খরচ করে ফেলেছে। এরপর আছে কৃষি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুটি মন্ত্রণালয়ই তাদের বরাদ্দ করা এডিপির ৩২ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিগত পাঁচ মাসে তাদের সারা বছরের বরাদ্দ ছয় হাজার ৫১৩ কোটি টাকার মধ্যে এরই মধ্যে এক হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা ব্যয় করেছে, যা মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশ।
এডিপি বাস্তবায়নের দিকে সবচেয়ে নিচে আছে গৃহায়ণ ও পূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টি এ বছর এডিপি বাবদ বরাদ্দ পায় ৫৪৪ কোটি টাকা। পাঁচ মাসে তারা ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ২০ কোটি টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের বিপরীতে মাত্র ৪ শতাংশ। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের মোট বরাদ্দের মাত্র ১২ শতাংশ ব্যয় করেছে। যোগযোগ মন্ত্রণালয় এ বছরে বরাদ্দ পেয়েছে তিন হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। পাঁচ মাসে তারা ব্যয় করতে পেরেছে মাত্র ১৩ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন কার্যক্রমে গতি আনার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কারণ ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিরাট এডিপির বিপরীতে পাঁচ মাসে মাত্র ২৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হওয়া তারই প্রতিফলন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখ্ত প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি অর্থবছরই প্রথম ছয় মাসে এডিপির বাস্তবায়নের হার খুব অল্প ও গতি খুব শ্লথ থাকে। সেই অনুযায়ী এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
কিন্তু অনেকে এটাও বলছেন, গতানুগতিক এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাঙ্ক্ষিত গতি আনতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে বছরের শেষদিকে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে অর্থ ব্যয় করতে গিয়ে অপচয় বাড়বে।
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন সব সময়েই দুর্বল; এবারের বিশেষ ভয় হলো যে এইটি এতই উচ্চাভিলাষী যে ব্যর্থতার আশঙ্কা ব্যাপক। তাই শুরু থেকেই পরিবীক্ষণ, দেখাশোনা ও মূল্যায়নে জোর দিতে হবে।’
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বিশ্ব মন্দা মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছিলেন। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি অনিবার্যভাবে চলে আসে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকার ব্যয় বাড়ানো তো দূরের কথা, ঠিকমতো অর্থ ব্যয় করতে পারছে না। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর এডিপিতে মোট ৮৮৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত অর্থবছরে ছিল ৯০৪টি। সংশোধিত এডিপির আয়তন গত অর্থবছরে ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গেছে ১৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, যা মোট বরাদ্দের ৮৬ শতাংশ। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গত অর্থবছরের জন্য ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মূল এডিপি নির্ধারণ করে। পরে এই সরকার এসে তা কমিয়ে আনে।
No comments