বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন -একটি সমন্বিত চুক্তিতে আসতে হবে
পৃথিবী নামে পরিচিত আমাদের এই প্রিয় গ্রহটি মানুষের বসবাসের যোগ্য হিসেবে টিকে থাকতে পারবে কি না, তা অনেকাংশে নির্ভর করছে কোপেনহেগেন জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সিদ্ধান্তের ওপর। সম্মেলনের দুটি দিক। প্রথমত, বায়ুমণ্ডলে কার্বন নির্গমনের হার প্রত্যাশিত মাত্রায় কমিয়ে আনা, যেন জলবায়ুর উষ্ণায়ন রোধের একটা উপায় বের করা যায়। মানুষ যেন বেঁচে থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, জলবায়ু উষ্ণায়নের ফলে ইতিমধ্যেই যেসব দেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে এবং আগামী কয়েক দশকে যেসব দেশের মানুষ ও প্রকৃতি চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে, তাদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া। বিষয়টি বাংলাদেশ, মালদ্বীপসহ আরও বেশ কিছু দেশের জন্য জরুরি। কারণ, উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে এসব দেশের বিরাট অংশ ডুবে যাওয়ার হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।
সম্মেলনে যদি সব দেশ মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে আসতে পারে যে, তারা আগামী ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন বর্তমানের তুলনায় অন্তত ৪৫-৫০ শতাংশ কমিয়ে আনবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন প্রায় বন্ধ করবে, তাহলে ভবিষ্যত্ নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। কিন্তু সে রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা প্রায় নেই। এখন আলোচনা চলছে কীভাবে প্রথম ধাপে ১৫-২৫ শতাংশ ও দ্বিতীয় ধাপে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনা যায়। যদি সেটাও হয়, কিছুটা সম্ভাবনা আছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের শেষ দিনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববাসীকে আশান্বিত করে তুলেছেন। কারণ, এতে বোঝা যায় একটি অর্থবহ চুক্তিতে আসার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব আগের তুলনায় কিছুটা ইতিবাচক। মূলত তাদের মনোভাবের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ শিল্পোন্নত এবং সাম্প্রতিককালে চীন-ভারতসহ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো বেশি জ্বালানি তেল পুড়িয়ে বাতাসে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড ছড়ায়। ফলে জলবায়ুর গড় উষ্ণতা বেড়ে যায়। মার্কিন মহাশূন্য সংস্থা নাসার এক হিসাবে দেখা গেছে, ১৯৯৭ সালের পর ২০০৮ সালটি ছিল নবম উষ্ণতম এবং ২০০৯ সালটি হতে চলেছে ষষ্ঠ উষ্ণতম বছর। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা চার-পাঁচ ডিগ্রি বাড়লে প্রাণের অস্তিত্ব লোপ পেতে পারে। বর্তমান ধারা চলতে থাকলে সেই ভয়ংকর পরিণতিই বরণ করতে হবে। তাই একদিকে জ্বালানি তেল ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি ও অন্যদিকে আরও বনায়ন, বন উজাড় বন্ধ প্রভৃতির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন স্বেচ্ছাচারিতার শিকার বাংলাদেশ। উপকূলবর্তী প্রায় তিন কোটি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তুতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিরূপ প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য মানুষ সংগ্রাম করছে। সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে। সাধ্যমতো নিজস্ব উদ্যোগে জলবায়ু-তহবিল গড়ে তুলছে। কিন্তু পাশাপাশি শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাছেও আমাদের দাবি আছে। জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ আগামী চার বছরে এক হাজার কোটি ডলার সহায়তা চাইবে। প্রয়োজনের তুলনায় এটা কিছুই নয়। কিন্তু ন্যূনতম তহবিল নিয়েই আমাদের জীবনসংগ্রামে নামতে হবে।
মনে রাখা দরকার যে, যতটুকু তহবিলই পাওয়া যাক না কেন, তা জলবায়ু-বিপন্ন মানুষ ও এলাকার জন্য দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় করার সক্ষমতাও আমাদের অর্জন করতে হবে। না হলে কোনো সহায়তাই কাজে আসবে না।
সম্মেলনে যদি সব দেশ মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে আসতে পারে যে, তারা আগামী ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন বর্তমানের তুলনায় অন্তত ৪৫-৫০ শতাংশ কমিয়ে আনবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন প্রায় বন্ধ করবে, তাহলে ভবিষ্যত্ নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। কিন্তু সে রকম সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা প্রায় নেই। এখন আলোচনা চলছে কীভাবে প্রথম ধাপে ১৫-২৫ শতাংশ ও দ্বিতীয় ধাপে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনা যায়। যদি সেটাও হয়, কিছুটা সম্ভাবনা আছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্মেলনের শেষ দিনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববাসীকে আশান্বিত করে তুলেছেন। কারণ, এতে বোঝা যায় একটি অর্থবহ চুক্তিতে আসার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব আগের তুলনায় কিছুটা ইতিবাচক। মূলত তাদের মনোভাবের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ শিল্পোন্নত এবং সাম্প্রতিককালে চীন-ভারতসহ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো বেশি জ্বালানি তেল পুড়িয়ে বাতাসে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড ছড়ায়। ফলে জলবায়ুর গড় উষ্ণতা বেড়ে যায়। মার্কিন মহাশূন্য সংস্থা নাসার এক হিসাবে দেখা গেছে, ১৯৯৭ সালের পর ২০০৮ সালটি ছিল নবম উষ্ণতম এবং ২০০৯ সালটি হতে চলেছে ষষ্ঠ উষ্ণতম বছর। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা চার-পাঁচ ডিগ্রি বাড়লে প্রাণের অস্তিত্ব লোপ পেতে পারে। বর্তমান ধারা চলতে থাকলে সেই ভয়ংকর পরিণতিই বরণ করতে হবে। তাই একদিকে জ্বালানি তেল ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি ও অন্যদিকে আরও বনায়ন, বন উজাড় বন্ধ প্রভৃতির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন স্বেচ্ছাচারিতার শিকার বাংলাদেশ। উপকূলবর্তী প্রায় তিন কোটি মানুষ জলবায়ু-উদ্বাস্তুতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিরূপ প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য মানুষ সংগ্রাম করছে। সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে। সাধ্যমতো নিজস্ব উদ্যোগে জলবায়ু-তহবিল গড়ে তুলছে। কিন্তু পাশাপাশি শিল্পোন্নত দেশগুলোর কাছেও আমাদের দাবি আছে। জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ আগামী চার বছরে এক হাজার কোটি ডলার সহায়তা চাইবে। প্রয়োজনের তুলনায় এটা কিছুই নয়। কিন্তু ন্যূনতম তহবিল নিয়েই আমাদের জীবনসংগ্রামে নামতে হবে।
মনে রাখা দরকার যে, যতটুকু তহবিলই পাওয়া যাক না কেন, তা জলবায়ু-বিপন্ন মানুষ ও এলাকার জন্য দক্ষতার সঙ্গে ব্যয় করার সক্ষমতাও আমাদের অর্জন করতে হবে। না হলে কোনো সহায়তাই কাজে আসবে না।
No comments