জিতেই শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল ভারত
সিরিজ জয়ের সঙ্গে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা, ভারত ছিল কাল আনন্দে উদ্বেল |
জলবত্ তরলং! এক নম্বরে ওঠা তাহলে এতই সোজা! কাল ভারতকে দেখে সেটাই মনে হতে পারে। রানের হিসেবে ৩৫, ওভারের হিসেবে ৭.৪। সকালের কুয়াশা ঠিকমতো কাটতে না-কাটতেই শেষ শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শেষে ভারতের উল্লাসটা শুধু ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচ আর ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতার হয়ে থাকল না, সঙ্গে যোগ হলো আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে ওঠার আনন্দ। তাদের ৭৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে যে ঘটনা এই প্রথম।
৭৭ বছর বলাটা ঠিক হলো না। টেস্ট র্যাঙ্কিংটাই আসলে চালু হয়েছে ২০০৩ সাল থেকে। তখন থেকেই যেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার একক সম্পত্তি। টানা ছয় বছর এক নম্বরে থেকে গত ২৩ আগস্ট টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটি হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের। সেই শঙ্কা অবশ্য গত জানুয়ারি থেকেই উঁকি দিয়েছিল। নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়া যখন ০-৩ ব্যবধানে ধবলধোলাইয়ের আশঙ্কায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সিরিজের শেষ টেস্ট জিতে তখনকার মতো এক নম্বর জায়গাটি ধরে রাখতে পারলেও অ্যাশেজে হেরে গিয়ে আর শেষ রক্ষা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে একে তুলে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া নেমে যায় চারে।
অস্ট্রেলিয়া এখনো চারেই আছে। তবে তিন থেকে এক লাফে ভারত উঠে গেল এক নম্বরে। সিরিজের শেষ টেস্টের শেষ দিনটা যেন ছিল এটিরই অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে জহির খানের বাঁ হাতে। শেষ চার উইকেটের তিনটিই তুলে নিয়েছেন তিনি। পথের কাঁটা হয়ে থাকা কুমার সাঙ্গাকারাকে বিদায় করেছেন দিনের তৃতীয় বলেই। রঙ্গনা হেরাথ আর নুয়ান কুলাসেকারাও তাঁরই শিকার। মাঠে নেমেই এলোপাতাড়ি ব্যাট চালাতে থাকা মুত্তিয়া মুরালিধরনকে ২০০১ সালের ক্যান্ডি টেস্টের (সেবার ৬৫ বলে ৬৭ করেছিলেন) মতো কিছু করার সুযোগ দেননি হরভজন সিং।
ভারতের মাটিতে টেস্ট জেতার স্বাদ তাই অচেনাই থেকে গেল শ্রীলঙ্কার কাছে। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে আবার অচেনা টেস্ট পরাজয়ের স্বাদ। ১০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৭টিতেই জিতলেন, তিনটি হয়েছে ড্র। জেতালেন টানা চারটি সিরিজ। তবে ভারতের এক নম্বরে ওঠার একক কৃতিত্ব ধোনি পাচ্ছেন না। কারণ সর্বশেষ ১০ সিরিজের সাতটি জেতার ফলই এই শীর্ষস্থানের মুকুট।
একক কৃতিত্ব ধোনি নিজে নিচ্ছেনও না। পূর্বসূরি-সতীর্থ সবাইকে ভাগ করে দিয়েছেন সেটি। পাশাপাশি মনে করে দিয়েছেন সেই বাণী চিরন্তনী, মুকুট অর্জনের চেয়ে ধরে রাখাই কঠিন, ‘সত্যিকারের কঠিন দায়িত্ব শুরু হলো এখনই থেকেই। আমাদের এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। সত্যিকারের কাজ শুরু হলো এখন থেকেই।’
৭৭ বছর বলাটা ঠিক হলো না। টেস্ট র্যাঙ্কিংটাই আসলে চালু হয়েছে ২০০৩ সাল থেকে। তখন থেকেই যেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার একক সম্পত্তি। টানা ছয় বছর এক নম্বরে থেকে গত ২৩ আগস্ট টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটি হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের। সেই শঙ্কা অবশ্য গত জানুয়ারি থেকেই উঁকি দিয়েছিল। নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়া যখন ০-৩ ব্যবধানে ধবলধোলাইয়ের আশঙ্কায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সিরিজের শেষ টেস্ট জিতে তখনকার মতো এক নম্বর জায়গাটি ধরে রাখতে পারলেও অ্যাশেজে হেরে গিয়ে আর শেষ রক্ষা হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে একে তুলে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া নেমে যায় চারে।
অস্ট্রেলিয়া এখনো চারেই আছে। তবে তিন থেকে এক লাফে ভারত উঠে গেল এক নম্বরে। সিরিজের শেষ টেস্টের শেষ দিনটা যেন ছিল এটিরই অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে জহির খানের বাঁ হাতে। শেষ চার উইকেটের তিনটিই তুলে নিয়েছেন তিনি। পথের কাঁটা হয়ে থাকা কুমার সাঙ্গাকারাকে বিদায় করেছেন দিনের তৃতীয় বলেই। রঙ্গনা হেরাথ আর নুয়ান কুলাসেকারাও তাঁরই শিকার। মাঠে নেমেই এলোপাতাড়ি ব্যাট চালাতে থাকা মুত্তিয়া মুরালিধরনকে ২০০১ সালের ক্যান্ডি টেস্টের (সেবার ৬৫ বলে ৬৭ করেছিলেন) মতো কিছু করার সুযোগ দেননি হরভজন সিং।
ভারতের মাটিতে টেস্ট জেতার স্বাদ তাই অচেনাই থেকে গেল শ্রীলঙ্কার কাছে। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে আবার অচেনা টেস্ট পরাজয়ের স্বাদ। ১০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৭টিতেই জিতলেন, তিনটি হয়েছে ড্র। জেতালেন টানা চারটি সিরিজ। তবে ভারতের এক নম্বরে ওঠার একক কৃতিত্ব ধোনি পাচ্ছেন না। কারণ সর্বশেষ ১০ সিরিজের সাতটি জেতার ফলই এই শীর্ষস্থানের মুকুট।
একক কৃতিত্ব ধোনি নিজে নিচ্ছেনও না। পূর্বসূরি-সতীর্থ সবাইকে ভাগ করে দিয়েছেন সেটি। পাশাপাশি মনে করে দিয়েছেন সেই বাণী চিরন্তনী, মুকুট অর্জনের চেয়ে ধরে রাখাই কঠিন, ‘সত্যিকারের কঠিন দায়িত্ব শুরু হলো এখনই থেকেই। আমাদের এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে। সত্যিকারের কাজ শুরু হলো এখন থেকেই।’
No comments