বাজারসুবিধার দাবি সমর্থন পেয়েছে অনিশ্চয়তা আলোচনার সমাপ্তি নিয়ে -ডব্লিউটিওর জেনেভা সম্মেলন সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাজারসুবিধা পাওয়ার দাবিটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সপ্তম মন্ত্রী পর্যায়ের শীর্ষ সম্মেলনে সমর্থন পেয়েছে।
তবে দোহা পর্বের আলোচনা ২০১০ সালের মধ্যে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সে কারণে বাজারসুবিধা পাওয়ার বিষয়টিও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমন বক্তব্যই তুলে ধরলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।
মন্ত্রী বলেন, আট বছর কেটে গেল। তারপরও দোহা পর্বের এ আলোচনা আর কতদিন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর ২০১০ সালের মধ্যে এটি শেষ হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্টই সন্দেহ রয়েছে সবার। তারপরও একের পর এক দেওয়া হচ্ছে শুধু প্রতিশ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি। অথচ এসব প্রতিশ্রুতির একটিরও কোনো বাস্তবায়ন নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব মোস্তাফা মহিউদ্দিন, আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হক, বিটিএমএর সভাপতি আবদুল হাই সরকার, বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ এ বিষয়ে গঠিত কোর কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০০৫ সালে হংকংয়ে ষষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের পর জেনেভায় সপ্তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত সপ্তাহে। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিবেশ।’ ডব্লিউটিওর ১৫৩টি সদস্য দেশ এবং ৩৬টি পর্যবেক্ষক দেশের প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নেন। বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে এতে অংশ নেয় ১৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল।
ফারুক খান বলেন, ‘সম্মেলনে আমরা কোনো সাহায্য চাইনি। চেয়েছি সুন্দরভাবে ব্যবসা করার সুযোগ। অনেক দেশ পাঁচ শতাংশ বা নামমাত্র শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানি করতে পারে। অথচ বাংলাদেশ থেকে শুল্ক নেওয়া হয় ১৭ শতাংশের বেশি। এ বৈষম্যের প্রতিকার চেয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছি আমরা। অন্য দেশও একই রকমের বক্তব্য দিয়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেষ দিনে গোটা সম্মেলন নিয়ে সভাপতি যে সারসংক্ষেপ তৈরি করেছেন, তাতে শুল্ক বিষয়ে বাংলাদেশের এ অবস্থান প্রাধান্য পেয়েছে।’
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঁচটি বিষয় উপস্থাপন করার কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এগুলো হলো, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব, শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজারসুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তনে অসমভাবে আক্রান্ত দেশ (ডিএসি) হিসেবে বাংলাদেশকে যাতে উন্নয়নশীল অন্য দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক না দিতে হয় সেই দাবি উত্থাপন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে দক্ষ ও আধাদক্ষ শ্রমিক রপ্তানি এবং স্বল্পোন্নত দেশের খাদ্য আমদানির ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, সম্মেলনে একটি প্লিনারি অধিবেশন এবং দুটি কার্য-অধিবেশন ছিল। প্লিনারি অধিবেশনে সব দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা নিজ নিজ দেশের স্বার্থ সম্পর্কিত তিন মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আর প্রথম কার্য-অধিবেশনে হয় দোহা পর্ব নিয়ে পর্যালোচনা, বাজারসুবিধা প্রাপ্তি এবং ডিএসি হিসেবে বাংলাদেশকে বেশি শুল্ক না দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন।
আর দ্বিতীয় অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল মন্দা উত্তরণ, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে ডব্লিউটিওর অবদান। বাণিজ্য, খাদ্যনিরাপত্তা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে অনুদান ও সহযোগিতা এবং বিশ্বমন্দার প্রভাব থেকে উত্তরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
ফারুক খান বলেন, ‘সম্মেলনে মন্দায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। দোহা পর্ব ও হংকং সম্মেলনে বাজারসুবিধার যে কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার মোটেও বাস্তবায়ন হয়নি। আর রপ্তানি করা যায় এমন ৯৭ শতাংশ পণ্যের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো নেই। ৯৭ শতাংশের মধ্যে যাতে আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য থাকে, সে ব্যাপারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে সম্মেলনে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের এ বক্তব্যের সঙ্গে অন্যরাও একমত। তবে দোহা পর্ব আলোচনা শেষ হলে এর কার্যকারিতা বোঝা যাবে। কিন্তু দোহা আলোচনা ২০১০ সালে শেষ হবে বলে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কেউই তা মনে করেনি।’
আফ্রিকা ও এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে এখন আর কোনো বিরোধ নেই বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এলডিসি সদস্য সবাই এক সুরে কথা বলেছে সম্মেলনে। মূল সম্মেলনের বাইরে (সাইডলাইন) লেসোথোর সঙ্গে একটি বৈঠকও হয়েছে যার ফল পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে।’
মূল অনুষ্ঠানের বাইরে সার্ক সদস্য দেশ, গ্রুপ ১১০ এবং ওআইসি সদস্যদের সঙ্গেও ভিন্ন ভিন্ন বৈঠক হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
ফারুক খান বলেন, সম্মেলনে অংশ নেওয়া সবার একটাই বক্তব্য। আর তা হলো ২০১০ সালের মধ্যে চলমান দোহা পর্বের আলোচনা শেষ হবে কি না তা নিয়ে সংশয়। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এ ব্যাপারে সন্দিহান। তবে তারাও চায় না এটি আর দীর্ঘায়িত হোক।
সম্মেলন থেকে আমরা কী পেলাম—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতে ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি নেতিবাচক ও হতাশার দিকও ছিল বেশ। দোহা পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যেটুকু মনে হলো, ডব্লিউটিওর সহযোগিতা নিয়ে নিজেদের সামর্থ্য এবং রপ্তানিপণ্যের বহুমুখিতা বাড়াতে হবে। আর বাড়াতে হবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দরকষাকষি করার দক্ষতা।’
তবে দোহা পর্বের আলোচনা ২০১০ সালের মধ্যে শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সে কারণে বাজারসুবিধা পাওয়ার বিষয়টিও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমন বক্তব্যই তুলে ধরলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।
মন্ত্রী বলেন, আট বছর কেটে গেল। তারপরও দোহা পর্বের এ আলোচনা আর কতদিন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর ২০১০ সালের মধ্যে এটি শেষ হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্টই সন্দেহ রয়েছে সবার। তারপরও একের পর এক দেওয়া হচ্ছে শুধু প্রতিশ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি। অথচ এসব প্রতিশ্রুতির একটিরও কোনো বাস্তবায়ন নেই।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত বাণিজ্যসচিব মোস্তাফা মহিউদ্দিন, আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আনিসুল হক, বিটিএমএর সভাপতি আবদুল হাই সরকার, বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ এ বিষয়ে গঠিত কোর কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই বছর পরপর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ২০০৫ সালে হংকংয়ে ষষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের পর জেনেভায় সপ্তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত সপ্তাহে। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা এবং সাম্প্রতিক বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিবেশ।’ ডব্লিউটিওর ১৫৩টি সদস্য দেশ এবং ৩৬টি পর্যবেক্ষক দেশের প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নেন। বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে এতে অংশ নেয় ১৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল।
ফারুক খান বলেন, ‘সম্মেলনে আমরা কোনো সাহায্য চাইনি। চেয়েছি সুন্দরভাবে ব্যবসা করার সুযোগ। অনেক দেশ পাঁচ শতাংশ বা নামমাত্র শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানি করতে পারে। অথচ বাংলাদেশ থেকে শুল্ক নেওয়া হয় ১৭ শতাংশের বেশি। এ বৈষম্যের প্রতিকার চেয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছি আমরা। অন্য দেশও একই রকমের বক্তব্য দিয়েছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেষ দিনে গোটা সম্মেলন নিয়ে সভাপতি যে সারসংক্ষেপ তৈরি করেছেন, তাতে শুল্ক বিষয়ে বাংলাদেশের এ অবস্থান প্রাধান্য পেয়েছে।’
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঁচটি বিষয় উপস্থাপন করার কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এগুলো হলো, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব, শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজারসুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তনে অসমভাবে আক্রান্ত দেশ (ডিএসি) হিসেবে বাংলাদেশকে যাতে উন্নয়নশীল অন্য দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক না দিতে হয় সেই দাবি উত্থাপন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে দক্ষ ও আধাদক্ষ শ্রমিক রপ্তানি এবং স্বল্পোন্নত দেশের খাদ্য আমদানির ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, সম্মেলনে একটি প্লিনারি অধিবেশন এবং দুটি কার্য-অধিবেশন ছিল। প্লিনারি অধিবেশনে সব দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা নিজ নিজ দেশের স্বার্থ সম্পর্কিত তিন মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আর প্রথম কার্য-অধিবেশনে হয় দোহা পর্ব নিয়ে পর্যালোচনা, বাজারসুবিধা প্রাপ্তি এবং ডিএসি হিসেবে বাংলাদেশকে বেশি শুল্ক না দেওয়ার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন।
আর দ্বিতীয় অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল মন্দা উত্তরণ, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে ডব্লিউটিওর অবদান। বাণিজ্য, খাদ্যনিরাপত্তা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে অনুদান ও সহযোগিতা এবং বিশ্বমন্দার প্রভাব থেকে উত্তরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
ফারুক খান বলেন, ‘সম্মেলনে মন্দায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। দোহা পর্ব ও হংকং সম্মেলনে বাজারসুবিধার যে কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার মোটেও বাস্তবায়ন হয়নি। আর রপ্তানি করা যায় এমন ৯৭ শতাংশ পণ্যের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো নেই। ৯৭ শতাংশের মধ্যে যাতে আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য থাকে, সে ব্যাপারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে সম্মেলনে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের এ বক্তব্যের সঙ্গে অন্যরাও একমত। তবে দোহা পর্ব আলোচনা শেষ হলে এর কার্যকারিতা বোঝা যাবে। কিন্তু দোহা আলোচনা ২০১০ সালে শেষ হবে বলে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী কেউই তা মনে করেনি।’
আফ্রিকা ও এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে এখন আর কোনো বিরোধ নেই বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এলডিসি সদস্য সবাই এক সুরে কথা বলেছে সম্মেলনে। মূল সম্মেলনের বাইরে (সাইডলাইন) লেসোথোর সঙ্গে একটি বৈঠকও হয়েছে যার ফল পাওয়া যাবে ভবিষ্যতে।’
মূল অনুষ্ঠানের বাইরে সার্ক সদস্য দেশ, গ্রুপ ১১০ এবং ওআইসি সদস্যদের সঙ্গেও ভিন্ন ভিন্ন বৈঠক হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
ফারুক খান বলেন, সম্মেলনে অংশ নেওয়া সবার একটাই বক্তব্য। আর তা হলো ২০১০ সালের মধ্যে চলমান দোহা পর্বের আলোচনা শেষ হবে কি না তা নিয়ে সংশয়। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এ ব্যাপারে সন্দিহান। তবে তারাও চায় না এটি আর দীর্ঘায়িত হোক।
সম্মেলন থেকে আমরা কী পেলাম—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতে ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি নেতিবাচক ও হতাশার দিকও ছিল বেশ। দোহা পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যেটুকু মনে হলো, ডব্লিউটিওর সহযোগিতা নিয়ে নিজেদের সামর্থ্য এবং রপ্তানিপণ্যের বহুমুখিতা বাড়াতে হবে। আর বাড়াতে হবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দরকষাকষি করার দক্ষতা।’
No comments