জুড়ীতে কমলার ফলন কম
জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কচুরগুল গ্রামের ফিরোজ মিয়া চার একরের একটি টিলায় কমলার বাগান করেছেন।
এই বাগানের প্রায় দুই হাজার গাছে গত মৌসুমেও যে পরিমাণ কমলা ধরেছে, তা বিক্রি করে তাঁর প্রায় চার লাখ টাকা আয় হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে তিন লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছে তাঁর।
কিন্তু এবার বাগানে প্রচুর ফুল এলেও দীর্ঘ খরা ও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন হয়েছে খুবই কম। যে কারণে কমলা বিক্রি করে শেষ পর্যন্ত এক লাখ টাকাও পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তাঁর।
প্রায় একই কথা জানালেন উপজেলার নালাপুঞ্জি, ডোমাবাড়ী, উত্তর কুচাই, দক্ষিণ কুচাই, হায়াছড়া, রূপাছড়া, শুকনাছড়া, জরিছড়া, ইসলামাবাদ, বেলবাড়ী প্রভৃতি গ্রামের কমলাচাষিরা।
জানা গেছে, স্থানীয় টিলাগুলোতে দুই-আড়াই শ বছর ধরে কমলার চাষ হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কমলার চাষাবাদ সম্পর্কে ভালো ধারণার অভাবে এবং বাজারজাতকরণের উপযুক্ত সুযোগ না থাকায় চাষিরা দিন দিন কমলা চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
এই অবস্থায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে ২০০১ সালে কমলা ও আনারস চাষের ব্যাপারে একটি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প চালু করা হয়। ফলে গত সাত-আট বছরে এলাকায় প্রায় আড়াই শ নতুন কমলাবাগান গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়।
কচুরগুল গ্রামের সুরুজ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্য বছর কমলার ভারে গাছ নুইয়া পড়ত। ইবার পাইকারদের চাহিদামতো কমলা দিতাম পারিয়ার না।’
হায়াছড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘সেচব্যবস্থার লাগি বেশি ভোগান্তি অয়। কাছাকাছি কোনো জলাধারও নাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, কমলা চাষে লোকজনকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের চিন্তাভাবনা চলছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক মতিউর রহমান বলেন, ‘এবার খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে কমলার ফলন আশানুরূপ হয়নি।
এই বাগানের প্রায় দুই হাজার গাছে গত মৌসুমেও যে পরিমাণ কমলা ধরেছে, তা বিক্রি করে তাঁর প্রায় চার লাখ টাকা আয় হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে তিন লাখ টাকার মতো লাভ হয়েছে তাঁর।
কিন্তু এবার বাগানে প্রচুর ফুল এলেও দীর্ঘ খরা ও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন হয়েছে খুবই কম। যে কারণে কমলা বিক্রি করে শেষ পর্যন্ত এক লাখ টাকাও পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তাঁর।
প্রায় একই কথা জানালেন উপজেলার নালাপুঞ্জি, ডোমাবাড়ী, উত্তর কুচাই, দক্ষিণ কুচাই, হায়াছড়া, রূপাছড়া, শুকনাছড়া, জরিছড়া, ইসলামাবাদ, বেলবাড়ী প্রভৃতি গ্রামের কমলাচাষিরা।
জানা গেছে, স্থানীয় টিলাগুলোতে দুই-আড়াই শ বছর ধরে কমলার চাষ হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কমলার চাষাবাদ সম্পর্কে ভালো ধারণার অভাবে এবং বাজারজাতকরণের উপযুক্ত সুযোগ না থাকায় চাষিরা দিন দিন কমলা চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
এই অবস্থায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে ২০০১ সালে কমলা ও আনারস চাষের ব্যাপারে একটি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প চালু করা হয়। ফলে গত সাত-আট বছরে এলাকায় প্রায় আড়াই শ নতুন কমলাবাগান গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়।
কচুরগুল গ্রামের সুরুজ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্য বছর কমলার ভারে গাছ নুইয়া পড়ত। ইবার পাইকারদের চাহিদামতো কমলা দিতাম পারিয়ার না।’
হায়াছড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘সেচব্যবস্থার লাগি বেশি ভোগান্তি অয়। কাছাকাছি কোনো জলাধারও নাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনীষ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, কমলা চাষে লোকজনকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের চিন্তাভাবনা চলছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপপরিচালক মতিউর রহমান বলেন, ‘এবার খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে কমলার ফলন আশানুরূপ হয়নি।
No comments