বাংলাদেশে ইউনিডোর স্থায়ী কার্যালয় চালু করা হবে
শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া জানিয়েছেন, শিল্প খাতে সহায়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো) বাংলাদেশে স্থায়ী কার্যালয় চালু করতে সম্মত হয়েছে। আগামী বছর জুনের মধ্যে বাংলাদেশ সফরকালে ইউনিডোর মহাপরিচালক কে ইয়ুমকেলা কার্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।
শিল্পমন্ত্রী ৩-৪ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে জানাতে গতকাল রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ইউনিডোর কার্যালয় চালু হলে দেশের শিল্প খাতের উন্নয়ন ছাড়াও মানবসম্পদের উন্নয়নে সহায়তা পাওয়া যাবে বলে দিলীপ বড়ুয়া জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্পসচিব দেওয়ান জাকির হোসাইনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সম্মেলনের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উত্পাদনশীলতা ও আর্থ-সামাজিক সক্ষমতার ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে এবং কীভাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত সহায়তা, মন্দা মোকাবিলায় টেকসই ও পরীক্ষিত কৌশল গ্রহণ, কৃষি ও শিল্প খাতে সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পারস্পরিক সহায়তা ও প্রযুক্তির হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের নেতিবাচক দিক মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
সম্মেলনে বক্তৃতা সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর ও পর্যাপ্ত সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বিশ্বমন্দার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের উন্নতি ঘটাতে হবে। এ ছাড়া এসব খাতের উন্নয়নে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্য ও সেবার জন্য পর্যাপ্ত বাজার প্রবেশাধিকার চেয়েছি।’
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় স্বল্পোন্নত দেশভুক্ত ৪৯টি দেশের মধ্যে ২৪টি দেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলমান অর্থনৈতিক মন্দা ক্ষতিগ্রস্ত এসব দেশের সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য শিল্পোন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে আন্তপ্রযুক্তি হস্তান্তর, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
ভিয়েনা ঘোষণা ও মন্ত্রী পর্যায়ে অনুমোদন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সম্মেলন শেষে ১০ দফা ঘোষণা সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়। এ ঘোষণায় পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জ্বালানি, পরিবহন, পানি, যোগাযোগসহ অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষে সহায়তা বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঘোষণায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বহুমুখীকরণ, প্রযুক্তির হস্তান্তর, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামোর অগ্রগতি, বেসরকারি খাতের বিকাশ, আঞ্চলিক বাণিজ্য জোরদার, গবেষণা ও উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে নিজেদের উত্পাদনশীল দক্ষতা শক্তিশালী করা প্রয়াস চালানোর বিষয়ে ঐকমত্য হয়।
শিল্পমন্ত্রী ৩-৪ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে জানাতে গতকাল রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ইউনিডোর কার্যালয় চালু হলে দেশের শিল্প খাতের উন্নয়ন ছাড়াও মানবসম্পদের উন্নয়নে সহায়তা পাওয়া যাবে বলে দিলীপ বড়ুয়া জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্পসচিব দেওয়ান জাকির হোসাইনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া সম্মেলনের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়বস্তু সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উত্পাদনশীলতা ও আর্থ-সামাজিক সক্ষমতার ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে এবং কীভাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সম্মেলনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত সহায়তা, মন্দা মোকাবিলায় টেকসই ও পরীক্ষিত কৌশল গ্রহণ, কৃষি ও শিল্প খাতে সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পারস্পরিক সহায়তা ও প্রযুক্তির হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের নেতিবাচক দিক মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
সম্মেলনে বক্তৃতা সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর ও পর্যাপ্ত সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বিশ্বমন্দার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের উন্নতি ঘটাতে হবে। এ ছাড়া এসব খাতের উন্নয়নে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্য ও সেবার জন্য পর্যাপ্ত বাজার প্রবেশাধিকার চেয়েছি।’
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় স্বল্পোন্নত দেশভুক্ত ৪৯টি দেশের মধ্যে ২৪টি দেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলমান অর্থনৈতিক মন্দা ক্ষতিগ্রস্ত এসব দেশের সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য শিল্পোন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে আন্তপ্রযুক্তি হস্তান্তর, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
ভিয়েনা ঘোষণা ও মন্ত্রী পর্যায়ে অনুমোদন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সম্মেলন শেষে ১০ দফা ঘোষণা সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করা হয়। এ ঘোষণায় পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জ্বালানি, পরিবহন, পানি, যোগাযোগসহ অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষে সহায়তা বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঘোষণায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বহুমুখীকরণ, প্রযুক্তির হস্তান্তর, মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামোর অগ্রগতি, বেসরকারি খাতের বিকাশ, আঞ্চলিক বাণিজ্য জোরদার, গবেষণা ও উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে নিজেদের উত্পাদনশীল দক্ষতা শক্তিশালী করা প্রয়াস চালানোর বিষয়ে ঐকমত্য হয়।
No comments