‘এমনভাবে আর অপমানিত হইনি’ -নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চিকিৎসকেরা
চিকিৎসাসেবা না পেয়ে রোগী বা তাদের আত্মীয়স্বজনের ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনা প্রায়ই ঘটলেও চিকিত্সাসেবা পাওয়ার পর চিকিৎসকের ওপর চড়াও হওয়ার নজির বিরল। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায়। স্থানীয় যুবলীগের দুই কর্মী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে রোগী দেখানোর জন্য একজন চিকিৎসককে জোর করে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর তাঁরা চিকিৎসককে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে প্রথম আলোর কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধির খবর থেকে জানা যায়।
কোনো রাজনৈতিক দল বা সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা এ ধরনের গর্হিত কাজ করতে পারেন, তা ভাবতেও অবাক লাগে। সমাজে চিকিৎসা পেশার একটি বিশেষ সম্মান আছে। সেই সম্মান দেওয়া তো দূরের কথা, চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করতেও দ্বিধা করেননি যুবলীগের কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির ঘটনা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের বেপরোয়া আচরণও লক্ষ করা যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বহুবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এসব হুঁশিয়ারি যে তাঁদের চৈতন্যোদয় ঘটাতে পারেনি, ইটনার ঘটনাই এর প্রমাণ। সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমার চাকরিজীবনে এমনভাবে আর অপমানিত হইনি।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। দিনদুপুরে একজন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার পরও তিনি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যুবলীগের ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে সংগঠন কী ব্যবস্থা নেয়, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। কিন্তু চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করে তাঁরা যে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন, সে জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের মাস্তানি ও সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার না হলে অপরাধীরা যেমন আশকারা পাবে, তেমনি মফস্বলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সেবা দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যাবে না।
কোনো রাজনৈতিক দল বা সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা এ ধরনের গর্হিত কাজ করতে পারেন, তা ভাবতেও অবাক লাগে। সমাজে চিকিৎসা পেশার একটি বিশেষ সম্মান আছে। সেই সম্মান দেওয়া তো দূরের কথা, চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করতেও দ্বিধা করেননি যুবলীগের কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির ঘটনা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের বেপরোয়া আচরণও লক্ষ করা যাচ্ছে। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বহুবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এসব হুঁশিয়ারি যে তাঁদের চৈতন্যোদয় ঘটাতে পারেনি, ইটনার ঘটনাই এর প্রমাণ। সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমার চাকরিজীবনে এমনভাবে আর অপমানিত হইনি।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। দিনদুপুরে একজন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার পরও তিনি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যুবলীগের ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে সংগঠন কী ব্যবস্থা নেয়, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। কিন্তু চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করে তাঁরা যে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন, সে জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের মাস্তানি ও সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার না হলে অপরাধীরা যেমন আশকারা পাবে, তেমনি মফস্বলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সেবা দেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া যাবে না।
No comments