রাজনীতির চক্করে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় -অচলাবস্থা দ্রুত নিরসন করুন
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে আন্দোলনের একপর্যায়ে গত রোববার কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষি খাতের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার কথা। এ ধরনের পরিস্থিতি তাঁদের শিক্ষাজীবন হুমকির মধ্যে ফেলবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত এ অচলাবস্থার অবসানে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন সরকারের সময় ভীষণভাবে দলীয়করণের শিকার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা দেখা যায়। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির সঙ্গে এসবের কোনো যোগসূত্র নেই। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিই এ ক্ষেত্রে প্রধান। এ রাজনীতির চক্করে পড়ে ভোগেন শিক্ষার্থীরা।
ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেটা তদন্ত করে নিয়মতান্ত্রিক পথে ব্যবস্থা নেওয়া বাঞ্ছনীয়। একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এটা বিশেষভাবে প্রয়োজন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব কর্মকাণ্ডে বাইরে থেকে প্রভাবশালী রাজনীতিকদের হস্তক্ষেপের চেষ্টা শিক্ষার পরিবেশের জন্য কখনো সহায়ক হতে পারে না। সম্প্রতি এক জনসভায় চট্টগ্রামের মেয়র বলেছেন, উপাচার্যকে যেতে হবে, নইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন হুমকি দেওয়ার অধিকার মেয়রের নেই। ক্ষমতার জোরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করার এ মানসিকতার পরিবর্তন যদি রাজনীতিবিদেরা না ঘটান, তবে ক্ষমতাসীন দলের দিনবদলের প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক বুলি মনে হবে। দলের নেতারা এভাবে তাঁদের ক্ষমতার প্রদর্শনী করতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত করা যাবে কীভাবে?
অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা দূর করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করুন, কিন্তু সে জন্য যাতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন সরকারের সময় ভীষণভাবে দলীয়করণের শিকার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ এবং রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা দেখা যায়। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির সঙ্গে এসবের কোনো যোগসূত্র নেই। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিই এ ক্ষেত্রে প্রধান। এ রাজনীতির চক্করে পড়ে ভোগেন শিক্ষার্থীরা।
ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেটা তদন্ত করে নিয়মতান্ত্রিক পথে ব্যবস্থা নেওয়া বাঞ্ছনীয়। একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য এটা বিশেষভাবে প্রয়োজন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব কর্মকাণ্ডে বাইরে থেকে প্রভাবশালী রাজনীতিকদের হস্তক্ষেপের চেষ্টা শিক্ষার পরিবেশের জন্য কখনো সহায়ক হতে পারে না। সম্প্রতি এক জনসভায় চট্টগ্রামের মেয়র বলেছেন, উপাচার্যকে যেতে হবে, নইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন হুমকি দেওয়ার অধিকার মেয়রের নেই। ক্ষমতার জোরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করার এ মানসিকতার পরিবর্তন যদি রাজনীতিবিদেরা না ঘটান, তবে ক্ষমতাসীন দলের দিনবদলের প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক বুলি মনে হবে। দলের নেতারা এভাবে তাঁদের ক্ষমতার প্রদর্শনী করতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত করা যাবে কীভাবে?
অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা দূর করে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করুন, কিন্তু সে জন্য যাতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
No comments