গাজায় এক বছরেও ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত শুকায়নি
গাজায় ইসরায়েলি সেনা অভিযানের প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চলল। কিন্তু এত দিনেও সেখানে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত শুকায়নি। শেষ হয়নি গাজাবাসীর লাঞ্ছনা। কমেনি দুর্ভোগ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে, দাতা সংস্থার দেওয়া তাঁবুতে দিন যাপন করছে লাখো মানুষ। দুই মুঠো অন্নের জন্য, একটু ত্রাণের জন্য তীর্থের কাকের মতো এখনো তাদের তাকিয়ে থাকতে হয়। এক করুণ মানবেতর জীবন তাদের।
গাজার উত্তরাঞ্চলে কামাল আওয়াজা পরিবারের বাস। ইসরায়েলি সেনারা পরিবারটির ঘর-বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেনাদের গুলিতে নিহত হয় কামাল আওয়াজার আট বছর বয়েসী ছেলে ইব্রাহিম। আকাশ থেকে তখন বোমা ফেলা হচ্ছিল। আর ভূমিতে ট্যাংক নিয়ে সাক্ষাত্ যমের মতো এগিয়ে আসছিল ইসরায়েলি সেনারা। আহত হয়েছিলেন আওয়াজা ও তাঁর স্ত্রী। চার দিন পায়ে হেঁটে তাঁরা একটা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। নিজ বাড়ির ধ্বংসস্তূপের ওপর একটা তাঁবুতে পরিবারটি এখন বাস করছে। তাঁবুতে ঝোলানো আছে ইব্রাহিমের একটা ছবি। কোঁকড়া চুলের ছেলেটি যেন এখনো হাসছে। এক বছর আগে ইসরায়েলি সেনারা যার প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
যুদ্ধাহত কামাল আওয়াজা ও তাঁর স্ত্রীকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ প্রতিমাসে সামান্য অর্থ দেয়। তা দিয়ে কোনো রকমে তাঁদের দিন চলে।
কয়েক কিলোমিটার দূরে বাস সওয়াফিয়েরি পরিবারের। হাঁস-মুরগির একটা খামার আবার দাঁড় করাতে পরিবারটি দিন-রাত খাটছে। গত বছর ইসরায়েলি হানাদারেরা তাঁদের হাজার হাজার মুরগির ছানা মেরে ফেলেছিল। বুলডোজার দিয়ে তাঁদের খামারটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গাজা আক্রমণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। টানা তিন সপ্তাহ বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়। কামান থেকে ছোড়া হয় গোলা। তছনছ করে পদাতিক বাহিনীও। এই অভিযানে প্রায় এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি ও ১৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়।
গাজায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বাস। তাদের অধিকাংশকেই এখন নির্ভর করতে হয় দাতা সংস্থাগুলোর সরবরাহ করা ত্রাণের ওপর। এদিকে ইসরায়েল ২০০৭ সাল থেকে গাজা অবরোধ করে রেখেছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সর্বশেষ ইসরায়েলি সেনা অভিযানে প্রায় ছয় হাজার ৪০০ ঘর-বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গাজা পুনর্গঠন থমকে আছে। মিসর থেকে সুড়ঙ্গ পথে সামান্য পরিমাণ লোহা ও সিমেন্ট গাজায় আনে চোরাকারবারিরা। সেগুলোর দামও আকাশছোঁয়া।
গাজার উত্তরাঞ্চলে কামাল আওয়াজা পরিবারের বাস। ইসরায়েলি সেনারা পরিবারটির ঘর-বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেনাদের গুলিতে নিহত হয় কামাল আওয়াজার আট বছর বয়েসী ছেলে ইব্রাহিম। আকাশ থেকে তখন বোমা ফেলা হচ্ছিল। আর ভূমিতে ট্যাংক নিয়ে সাক্ষাত্ যমের মতো এগিয়ে আসছিল ইসরায়েলি সেনারা। আহত হয়েছিলেন আওয়াজা ও তাঁর স্ত্রী। চার দিন পায়ে হেঁটে তাঁরা একটা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। নিজ বাড়ির ধ্বংসস্তূপের ওপর একটা তাঁবুতে পরিবারটি এখন বাস করছে। তাঁবুতে ঝোলানো আছে ইব্রাহিমের একটা ছবি। কোঁকড়া চুলের ছেলেটি যেন এখনো হাসছে। এক বছর আগে ইসরায়েলি সেনারা যার প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল।
যুদ্ধাহত কামাল আওয়াজা ও তাঁর স্ত্রীকে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ প্রতিমাসে সামান্য অর্থ দেয়। তা দিয়ে কোনো রকমে তাঁদের দিন চলে।
কয়েক কিলোমিটার দূরে বাস সওয়াফিয়েরি পরিবারের। হাঁস-মুরগির একটা খামার আবার দাঁড় করাতে পরিবারটি দিন-রাত খাটছে। গত বছর ইসরায়েলি হানাদারেরা তাঁদের হাজার হাজার মুরগির ছানা মেরে ফেলেছিল। বুলডোজার দিয়ে তাঁদের খামারটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গাজা আক্রমণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। টানা তিন সপ্তাহ বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়। কামান থেকে ছোড়া হয় গোলা। তছনছ করে পদাতিক বাহিনীও। এই অভিযানে প্রায় এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি ও ১৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়।
গাজায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বাস। তাদের অধিকাংশকেই এখন নির্ভর করতে হয় দাতা সংস্থাগুলোর সরবরাহ করা ত্রাণের ওপর। এদিকে ইসরায়েল ২০০৭ সাল থেকে গাজা অবরোধ করে রেখেছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সর্বশেষ ইসরায়েলি সেনা অভিযানে প্রায় ছয় হাজার ৪০০ ঘর-বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গাজা পুনর্গঠন থমকে আছে। মিসর থেকে সুড়ঙ্গ পথে সামান্য পরিমাণ লোহা ও সিমেন্ট গাজায় আনে চোরাকারবারিরা। সেগুলোর দামও আকাশছোঁয়া।
No comments