ভোজ্যতেল ও ডালের মূল্যবৃদ্ধি -বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঘুম ভাঙবে কবে?
দফায় দফায় ভোজ্যতেল ও ডালের মূল্যবৃদ্ধির যে চাপ ক্রেতাদের নিতে হচ্ছে, তা সহনীয় মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ভোজ্যতেল নিয়ে তেলেসমাতি কারবার চলে আসছে বহুদিন থেকেই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে তো কথাই নেই, না বাড়লেও আমদানিকারকেরা তেলের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে থাকেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে আমদানিকারকেরা দাম কমান না, আগে আনা পণ্য গুদামে আছে—এই অজুহাত দেখিয়ে। চলতি বছরের মাঝামাঝি ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমদানিকারকদের বৈঠকে যে ন্যূনতম দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তাও কেউ মানছে না। গত এক মাসে চারবার বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার ঘটনা শুধু অস্বাভাবিক নয়, উদ্বেগজনকও।
শনিবার প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে চলেছে। যেকোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে উত্পাদনকারী বা বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানকে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোক্তাকে আগে জানানোর যে আইন আছে, তাও মানা হয়নি। এটি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ওজন এবং পরিমাপ (পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৭-এর ২০(৪) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআইকেও জানানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। এ ব্যাপারে ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাও অগ্রহণযোগ্য। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেছেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে যে বাড়তি খরচ হবে, তাও ভোক্তাদের ওপর বর্তাবে। ভোক্তাদের নাম করে ব্যবসায়ীরা সবকিছু জায়েজ করে নিতে চান।
এভাবে ডালের দামও যে হারে বেড়েছে তা স্বাভাবিক নয়। প্রতি কেজি ডালের আমদানি মূল্য যেখানে ৭২ টাকা, সেখানে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। প্রতি কেজিতে আমদানি দামের সঙ্গে খুচরা মূল্যের ফারাক ৪৮ টাকা! শুধু বৈঠক করে, সুমধুর বচন আউড়ে কিংবা বাজারে মূল্যতালিকা টাঙিয়ে ব্যবসায়ীদের এ স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা যাবে না। ব্যবসায়ীরা যাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সে ব্যাপারেও সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
বর্তমানে ভোজ্যতেলের বাজার কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকায় তারা ইচ্ছামতো দাম বাড়ায় বলে যে অভিযোগ আছে, তাও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। কথিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার জন্য টিসিবিকে সচল করে বাজারে স্থিতিশীল রাখা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জোর আওয়াজ তোলা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। এক মাসের ব্যবধানে চার দফা ভোজ্যতেলের দাম কেন বাড়ল, কারা বাড়াল, তাও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সিন্ডিকেটের কারসাজি আছে কি না, খুঁজে বের করতে হবে।
শনিবার প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে চলেছে। যেকোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে উত্পাদনকারী বা বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানকে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ভোক্তাকে আগে জানানোর যে আইন আছে, তাও মানা হয়নি। এটি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ওজন এবং পরিমাপ (পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ) বিধিমালা ২০০৭-এর ২০(৪) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআইকেও জানানোর প্রয়োজন বোধ করেনি। এ ব্যাপারে ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাও অগ্রহণযোগ্য। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেছেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে যে বাড়তি খরচ হবে, তাও ভোক্তাদের ওপর বর্তাবে। ভোক্তাদের নাম করে ব্যবসায়ীরা সবকিছু জায়েজ করে নিতে চান।
এভাবে ডালের দামও যে হারে বেড়েছে তা স্বাভাবিক নয়। প্রতি কেজি ডালের আমদানি মূল্য যেখানে ৭২ টাকা, সেখানে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। প্রতি কেজিতে আমদানি দামের সঙ্গে খুচরা মূল্যের ফারাক ৪৮ টাকা! শুধু বৈঠক করে, সুমধুর বচন আউড়ে কিংবা বাজারে মূল্যতালিকা টাঙিয়ে ব্যবসায়ীদের এ স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা যাবে না। ব্যবসায়ীরা যাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সে ব্যাপারেও সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।
বর্তমানে ভোজ্যতেলের বাজার কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকায় তারা ইচ্ছামতো দাম বাড়ায় বলে যে অভিযোগ আছে, তাও তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। কথিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার জন্য টিসিবিকে সচল করে বাজারে স্থিতিশীল রাখা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জোর আওয়াজ তোলা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। এক মাসের ব্যবধানে চার দফা ভোজ্যতেলের দাম কেন বাড়ল, কারা বাড়াল, তাও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সিন্ডিকেটের কারসাজি আছে কি না, খুঁজে বের করতে হবে।
No comments