খসড়া শিল্পনীতিতে ১৭টি খাতে বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রিত হয়েছে
খসড়া শিল্পনীতিতে ১৭টি খাতকে নিয়ন্ত্রিত শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাত্ এসব শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধিনিষেধ থাকছে।
সরকার শিল্পনীতি-২০০৯ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এর মধ্যে খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সংযোজন করেছে। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এটি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া যেসব শিল্প স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল হিসেবে সরকারি বিনিয়োগের জন্য সংরক্ষিত, সেসব শিল্পকে সংরক্ষিত শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এসব শিল্প খাত সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সংরক্ষিত শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, পারমাণবিক শক্তি, সিকিউরিটি প্রিন্টিং ও টাঁকশাল এবং বনায়ন ও সংরক্ষিত বনভূমির সীমানায় যান্ত্রিক আহরণ। এসব খাতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সংরক্ষিত শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও নিয়ন্ত্রিত শিল্পের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিনিয়োগ করা যাবে।
শিল্পনীতিতে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক বা খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে, দেশের স্বার্থে সেবামূলক বা বিনোদনমূলক কিছু শিল্প স্থাপনের বিষয়ে সরকারের যথাযথ সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও সংস্কৃতির প্রতি হুমকির কারণ হতে পারে বা অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন সব শিল্প সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বা কমিশনের অনুমোদন বা অনাপত্তি গ্রহণ সাপেক্ষে বেসরকারি খাতে স্থাপন করা যাবে। তবে সরকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিয়ন্ত্রিত শিল্পের তালিকা তৈরি করবে। বেসরকারি অবকাঠামো প্রকল্প যেমন ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মনোরেল, আন্ডারগ্রাউন্ড রেল, অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত অবকাঠামো নির্দেশিকায় উল্লিখিত নিয়ম অনুসরণপূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
গভীর সমুদ্রে মত্স্য আহরণ শিল্প, বেসরকারি খাতে ব্যাংক ও আর্থিক শিল্প, বেসরকারি খাতে বিমা কোম্পানি, বেসরকারি খাতে বিদ্যুত্ উত্পাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ প্রকল্পসমূহ, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সরবরাহকরণ শিল্পকে নিয়ন্ত্রিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়লা অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সরবরাহকরণ শিল্প, অন্যান্য প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সরবরাহকরণ শিল্প, বৃহত্ অবকাঠামো প্রকল্প যেমন—ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মনোরেল, অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো বা কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশন ইত্যাদি স্থাপন, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত অপরিশোধিত তেল পরিশোধন, ব্যবহূত লুব অয়েল রিসাইক্লিং ও রিফাইনিং, কাঁচামাল হিসেবে দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাস বা কনডেনসেট ও অন্যান্য খনিজ ব্যবহূত মাঝারি ও বৃহত্ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, টেলিকমিউনিকেশন সেবা শিল্প মোবাইল, সেলুলার এবং ল্যান্ডফোন, স্যাটেলাইট চ্যানেল, কার্গো বা যাত্রী পরিবহন বিমান, সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল, সমুদ্রবন্দর ও গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন, ভিওআইপি, আই টেলিফোন ও সৈকতের বালি থেকে আহরিত ভারী খনিজনির্ভর শিল্প স্থাপন ও আহরণ।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রিত শিল্পের ক্ষেত্রে সরকার যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মূলধনের হার নির্ধারণ করতে পারবে। জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদ যৌক্তিক কারণে উল্লিখিত তালিকা সময় সময় সভা করে সংকোচন বা সম্প্রসারণ করতে পারবে। নিয়ন্ত্রিত তালিকাভুক্ত কোনো শিল্প প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বা কমিশনের অনুমোদন বা অনাপত্তি না পাওয়া পর্যন্ত শিল্পের পোষক কর্তৃপক্ষ যেমন বিনিয়োগ বোর্ড, বিসিক, বেপজা শিল্প স্থাপনের জন্য নিবন্ধন দিতে পারবে না।
সরকার শিল্পনীতি-২০০৯ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে এর মধ্যে খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সংযোজন করেছে। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এটি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া যেসব শিল্প স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল হিসেবে সরকারি বিনিয়োগের জন্য সংরক্ষিত, সেসব শিল্পকে সংরক্ষিত শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এসব শিল্প খাত সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সংরক্ষিত শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, পারমাণবিক শক্তি, সিকিউরিটি প্রিন্টিং ও টাঁকশাল এবং বনায়ন ও সংরক্ষিত বনভূমির সীমানায় যান্ত্রিক আহরণ। এসব খাতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সংরক্ষিত শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হলেও নিয়ন্ত্রিত শিল্পের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিনিয়োগ করা যাবে।
শিল্পনীতিতে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক বা খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে, দেশের স্বার্থে সেবামূলক বা বিনোদনমূলক কিছু শিল্প স্থাপনের বিষয়ে সরকারের যথাযথ সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও সংস্কৃতির প্রতি হুমকির কারণ হতে পারে বা অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন সব শিল্প সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বা কমিশনের অনুমোদন বা অনাপত্তি গ্রহণ সাপেক্ষে বেসরকারি খাতে স্থাপন করা যাবে। তবে সরকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নিয়ন্ত্রিত শিল্পের তালিকা তৈরি করবে। বেসরকারি অবকাঠামো প্রকল্প যেমন ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মনোরেল, আন্ডারগ্রাউন্ড রেল, অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত অবকাঠামো নির্দেশিকায় উল্লিখিত নিয়ম অনুসরণপূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
গভীর সমুদ্রে মত্স্য আহরণ শিল্প, বেসরকারি খাতে ব্যাংক ও আর্থিক শিল্প, বেসরকারি খাতে বিমা কোম্পানি, বেসরকারি খাতে বিদ্যুত্ উত্পাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ প্রকল্পসমূহ, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সরবরাহকরণ শিল্পকে নিয়ন্ত্রিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়লা অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সরবরাহকরণ শিল্প, অন্যান্য প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান, উত্তোলন ও সরবরাহকরণ শিল্প, বৃহত্ অবকাঠামো প্রকল্প যেমন—ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মনোরেল, অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো বা কনটেইনার ফ্রেইট স্টেশন ইত্যাদি স্থাপন, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত অপরিশোধিত তেল পরিশোধন, ব্যবহূত লুব অয়েল রিসাইক্লিং ও রিফাইনিং, কাঁচামাল হিসেবে দেশীয় প্রাকৃতিক গ্যাস বা কনডেনসেট ও অন্যান্য খনিজ ব্যবহূত মাঝারি ও বৃহত্ শিল্পপ্রতিষ্ঠান, টেলিকমিউনিকেশন সেবা শিল্প মোবাইল, সেলুলার এবং ল্যান্ডফোন, স্যাটেলাইট চ্যানেল, কার্গো বা যাত্রী পরিবহন বিমান, সমুদ্রগামী জাহাজ চলাচল, সমুদ্রবন্দর ও গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন, ভিওআইপি, আই টেলিফোন ও সৈকতের বালি থেকে আহরিত ভারী খনিজনির্ভর শিল্প স্থাপন ও আহরণ।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রিত শিল্পের ক্ষেত্রে সরকার যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মূলধনের হার নির্ধারণ করতে পারবে। জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদ যৌক্তিক কারণে উল্লিখিত তালিকা সময় সময় সভা করে সংকোচন বা সম্প্রসারণ করতে পারবে। নিয়ন্ত্রিত তালিকাভুক্ত কোনো শিল্প প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বা কমিশনের অনুমোদন বা অনাপত্তি না পাওয়া পর্যন্ত শিল্পের পোষক কর্তৃপক্ষ যেমন বিনিয়োগ বোর্ড, বিসিক, বেপজা শিল্প স্থাপনের জন্য নিবন্ধন দিতে পারবে না।
No comments