পরীক্ষার মুখে দুদক নয়, সরকার স্বয়ং -দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান
টিআইবির সেমিনারে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান কিছু সত্য উচ্চারণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পেইন ফিন্যান্স অ্যাক্টের আদলে বাংলাদেশে একটি বিন্যস্ত আইন দরকার। এ কথা আমরা বহুবার বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যাঁদের উদ্দেশে এসব বলা, তাঁদের শোনার আগ্রহ বা ধৈর্য কোনোটিই আছে বলে প্রতীয়মান হয় না। গোলাম রহমান বলেছেন, ‘উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতির সঙ্গে রাজনীতি জড়িত থাকে। রাজনীতি ছাড়া ক্ষমতায়ও যাওয়া যায় না। অন্যদিকে টাকা ছাড়া রাজনীতি হয় না। ব্যবসায়ীরা রাজনীতির জন্য চাঁদা দেন এবং বিনিময়ে সুবিধা নেন।’ দুদক চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যের একটি সর্বজনীন দিক আছে। অনেক দেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার প্রশ্নে কমবেশি এ রকম কথা প্রযোজ্য। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যা অতীব উদ্বেগজনক, তা হলো, জাতীয় রাজনীতিতে এই সরল সত্যের পুরোপুরি অস্বীকৃতি এবং সে কারণেই প্রতিকার বা প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ বা চেষ্টা চোখে না পড়া।
দুর্নীতি দমনের বড় মাপকাঠি হলো, ডাকসাইটে সরকারি কর্মকর্তা বা নেতার বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে দুর্নীতি দমন মামলা পরিচালনা করতে সক্ষম হওয়া। কিন্তু দুদক এখন পর্যন্ত নতুন করে বড় কোনো মামলা দায়েরে সক্ষম হয়নি। দুদক বরং এ মুহূর্তে জরুরি অবস্থার পুরোনো বোঝা বয়ে চলতেই ধুঁকছে। এবং সে ক্ষেত্রেও পথ চলতে তার বাধার শেষ নেই। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দুদকের কাছে পাঠানো ৯৯টি মামলার একটিও দুদক প্রত্যাহার করেনি সত্য। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, বর্তমান রাষ্ট্রযন্ত্র ওই মামলাগুলো যাতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হয়, তা দেখতে চাইছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এবং আইনমন্ত্রীর ভূমিকা পর্যালোচনায় আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি, সরকার দ্বিধাগ্রস্ত, পলায়নপর ও স্ববিরোধিতায় বিদীর্ণ।
দুদকের কার্যকর অবস্থানের প্রমাণ দিতে দুদক চেয়ারম্যান সেমিনারে বলেন, সরকারদলীয় সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা দুটি পৃথক মামলা জেতার জন্য দুদক আপিল করেছে। দুদক প্রাণপণ চেষ্টা করছে এ দুটি মামলা জেতার জন্য। এ দুটিতে জিতলে অন্য মামলার জট কমে যাবে। দুদক চেয়ারম্যান ও তাঁর কমিশনকে আমরা ধন্যবাদ জানাই যে এই গড্ডলিকাপ্রবাহের মধ্যেও তাঁরা স্বকীয়তা বজায়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে লড়াই সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিবাজ ও টাকা পাচারকারীদের ছাড়া হবে না। আমরা তাঁকেও সাধুবাদ জানাব, এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলব না। এ জন্য আপাতত দুটি শর্ত পূরণ করা হোক। দুদক চেয়ারম্যান যে দুটি মামলায় আপিল করার কথা জানিয়েছেন, সে দুটিতে সরকার তার অবস্থান পরিষ্কার করুক। সরকার প্রমাণ করুক যে তারা এই দুজনকে রক্ষার চেষ্টা করছে না। মামলাগুলো স্বাভাবিক ধারায় চলতে দেওয়া হোক।
আমরা দুদক চেয়ারম্যানের এই বক্তব্য জোরালোভাবে সমর্থন করি যে ওই দুটি মামলায় দুদক জয়ী হলে জরুরি অবস্থায় দায়ের করা দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য মামলাগুলো একটি বিচারিক পরিণতি লাভ করবে। আর দুদকের জন্য পরীক্ষা হলো, ক্ষমতাসীন মহল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও মামলা দায়েরে সক্ষম হওয়া। এসব না হলে টিআইবির সূচকের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
দুর্নীতি দমনের বড় মাপকাঠি হলো, ডাকসাইটে সরকারি কর্মকর্তা বা নেতার বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে দুর্নীতি দমন মামলা পরিচালনা করতে সক্ষম হওয়া। কিন্তু দুদক এখন পর্যন্ত নতুন করে বড় কোনো মামলা দায়েরে সক্ষম হয়নি। দুদক বরং এ মুহূর্তে জরুরি অবস্থার পুরোনো বোঝা বয়ে চলতেই ধুঁকছে। এবং সে ক্ষেত্রেও পথ চলতে তার বাধার শেষ নেই। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দুদকের কাছে পাঠানো ৯৯টি মামলার একটিও দুদক প্রত্যাহার করেনি সত্য। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, বর্তমান রাষ্ট্রযন্ত্র ওই মামলাগুলো যাতে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি হয়, তা দেখতে চাইছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর এবং আইনমন্ত্রীর ভূমিকা পর্যালোচনায় আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি, সরকার দ্বিধাগ্রস্ত, পলায়নপর ও স্ববিরোধিতায় বিদীর্ণ।
দুদকের কার্যকর অবস্থানের প্রমাণ দিতে দুদক চেয়ারম্যান সেমিনারে বলেন, সরকারদলীয় সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা দুটি পৃথক মামলা জেতার জন্য দুদক আপিল করেছে। দুদক প্রাণপণ চেষ্টা করছে এ দুটি মামলা জেতার জন্য। এ দুটিতে জিতলে অন্য মামলার জট কমে যাবে। দুদক চেয়ারম্যান ও তাঁর কমিশনকে আমরা ধন্যবাদ জানাই যে এই গড্ডলিকাপ্রবাহের মধ্যেও তাঁরা স্বকীয়তা বজায়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে লড়াই সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিবাজ ও টাকা পাচারকারীদের ছাড়া হবে না। আমরা তাঁকেও সাধুবাদ জানাব, এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলব না। এ জন্য আপাতত দুটি শর্ত পূরণ করা হোক। দুদক চেয়ারম্যান যে দুটি মামলায় আপিল করার কথা জানিয়েছেন, সে দুটিতে সরকার তার অবস্থান পরিষ্কার করুক। সরকার প্রমাণ করুক যে তারা এই দুজনকে রক্ষার চেষ্টা করছে না। মামলাগুলো স্বাভাবিক ধারায় চলতে দেওয়া হোক।
আমরা দুদক চেয়ারম্যানের এই বক্তব্য জোরালোভাবে সমর্থন করি যে ওই দুটি মামলায় দুদক জয়ী হলে জরুরি অবস্থায় দায়ের করা দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য মামলাগুলো একটি বিচারিক পরিণতি লাভ করবে। আর দুদকের জন্য পরীক্ষা হলো, ক্ষমতাসীন মহল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও মামলা দায়েরে সক্ষম হওয়া। এসব না হলে টিআইবির সূচকের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
No comments