বাংলাদেশের ভূখণ্ড -সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়স্থল হতে পারে না
সন্ত্রাসবাদ আন্তর্জাতিক রূপ নেওয়ার পর এক দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশে সন্ত্রাসী তত্পরতা চালানোর কৌশলকে সন্ত্রাসীরা সহজ পথ হিসেবে বেছে নেয়। তবে সন্ত্রাসীরা যে দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তাদের তত্পরতা চালায়, সে দেশের ভূমিকার বিষয়টি এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এ ধরনের কাজে তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিতে পারে না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার জোরের সঙ্গে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মাটি আমরা কখনো কারও বিরুদ্ধে ব্যবহূত হতে দেব না।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিদেশি সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করুক বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও মদদদাতা দেশ হিসেবে কোনোভাবে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হোক, তা প্রত্যাশিত নয়। একই সঙ্গে বর্তমান বাস্তবতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ঘোষণাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে চাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণভাবে বাংলাদেশের মাটি ‘কারও বিরুদ্ধে’ ব্যবহূত হতে না দেওয়ার ঘোষণা দিলেও কার্যত ভারতকে উদ্দেশ করেই তা বলেছেন। কারণ ভারতের বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ পাচ্ছে—এ ধরনের অভিযোগ ভারত দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। সম্প্রতি আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি জায়গা থেকে আটক হওয়ায় বোঝা যায়, বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে তারা আর বাংলাদেশে পালিয়ে থাকতে বা অবস্থান করতে পারেনি। ভারতীয় পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অবশ্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ ক্ষেত্রে যেটাই সত্য হয়ে থাক, বাস্তবতা হচ্ছে, সরকার বর্তমানে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটাই প্রকাশ পেয়েছে।
তবে বিষয়টিকে অবশ্যই পারস্পরিকভাবে দেখা জরুরি। ভারত বা অন্য কোনো দেশের ভূখণ্ড বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না, সেটাও বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের অনেক অপরাধী ও বড় বড় সন্ত্রাসী ভারতে পালিয়ে রয়েছে। অনেকে বিভিন্ন জেলে আটক রয়েছে বলেও পত্রপত্রিকার খবরে জানা যায়। কোনো দেশই যদি তার ভূখণ্ডে অন্য দেশের সন্ত্রাসী বা অপরাধীদের আশ্রয় না দেয় এবং এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন পথ খুলে যেতে পারে। এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় নিরাপত্তার বিষয়টি এখন ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গেও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গি চক্রের যোগসাজশের বিষয় দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই জঙ্গি ও সন্ত্রাসী চক্রের নেটওয়ার্ক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ যতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং যেভাবে এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া তা মোকাবিলা করা অসম্ভব। ফলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি আঞ্চলিকভাবেও উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণভাবে বাংলাদেশের মাটি ‘কারও বিরুদ্ধে’ ব্যবহূত হতে না দেওয়ার ঘোষণা দিলেও কার্যত ভারতকে উদ্দেশ করেই তা বলেছেন। কারণ ভারতের বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ পাচ্ছে—এ ধরনের অভিযোগ ভারত দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। সম্প্রতি আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি জায়গা থেকে আটক হওয়ায় বোঝা যায়, বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে তারা আর বাংলাদেশে পালিয়ে থাকতে বা অবস্থান করতে পারেনি। ভারতীয় পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অবশ্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধরে ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ ক্ষেত্রে যেটাই সত্য হয়ে থাক, বাস্তবতা হচ্ছে, সরকার বর্তমানে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সেটাই প্রকাশ পেয়েছে।
তবে বিষয়টিকে অবশ্যই পারস্পরিকভাবে দেখা জরুরি। ভারত বা অন্য কোনো দেশের ভূখণ্ড বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না, সেটাও বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের অনেক অপরাধী ও বড় বড় সন্ত্রাসী ভারতে পালিয়ে রয়েছে। অনেকে বিভিন্ন জেলে আটক রয়েছে বলেও পত্রপত্রিকার খবরে জানা যায়। কোনো দেশই যদি তার ভূখণ্ডে অন্য দেশের সন্ত্রাসী বা অপরাধীদের আশ্রয় না দেয় এবং এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন পথ খুলে যেতে পারে। এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় নিরাপত্তার বিষয়টি এখন ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গেও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গি চক্রের যোগসাজশের বিষয় দিন দিন স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই জঙ্গি ও সন্ত্রাসী চক্রের নেটওয়ার্ক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ যতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং যেভাবে এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া তা মোকাবিলা করা অসম্ভব। ফলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি আঞ্চলিকভাবেও উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments