পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচির ১০০ স্থাপনা রয়েছে
উত্তর কোরিয়ায় সে দেশের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ১০০টি স্থাপনার খবর জানে দক্ষিণ কোরিয়া এবং তারা সেখানে হামলা করতেও সক্ষম। গতকাল সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে-ইয়াংকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ১৩ ধরনের জীবাণু অস্ত্র রয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে-ইয়াং গতকাল বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১০০টি স্থানের তালিকা রয়েছে আমাদের কাছে। পিয়ংইয়ং আক্রমণ করলে ওই স্থাপনাগুলোয় হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে সিউলের।’ গত মাসে কিমের একই ধরনের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করেছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা মিনজু জোসান।
এদিকে গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার আইনসভায় উপস্থাপিত একটি প্রতিবেদনে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ১৩ ধরনের জীবাণু রয়েছে, যা জীবাণু অস্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ হাজার টন রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদও রয়েছে তাদের। একে বিশ্বের অন্যতম বড় রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের মজুদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
উত্তর কোরিয়ার জীবাণু অস্ত্রের হামলায় কলেরা, টাইফয়েড, গুটিবসন্ত, কালাজ্বরের মতো কঠিন রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তরের পরমাণু অস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছে। গতকালের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
এর আগে জুনে ব্রাসেলসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কোরীয় উপদ্বীপের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র সবচেয়ে বড় হুমকি। তবে দেশটির রাসায়নিক অস্ত্রের বড় মজুদ রয়েছে এবং সম্ভবত জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচিও পরিচালনা করছে তারা। সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, পিয়ংইয়ংয়ের আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টনের রাসায়নিক অস্ত্রাগারে মাস্টার্ড গ্যাস, ফসজেন ও বিভিন্ন ধরনের প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে।
১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দুই পক্ষই যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের শান্তি চুক্তি হয়নি। এ পর্যন্ত পিয়ংইয়ং দুটি পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। পরমাণু কর্মসূচির কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তর কোরিয়াকে প্রায় একঘরে করে রেখেছে। তবে এই সংকট নিয়ে সম্প্রতি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম তায়ে-ইয়াং গতকাল বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১০০টি স্থানের তালিকা রয়েছে আমাদের কাছে। পিয়ংইয়ং আক্রমণ করলে ওই স্থাপনাগুলোয় হামলা চালানোর ক্ষমতা রয়েছে সিউলের।’ গত মাসে কিমের একই ধরনের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করেছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা মিনজু জোসান।
এদিকে গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার আইনসভায় উপস্থাপিত একটি প্রতিবেদনে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে ১৩ ধরনের জীবাণু রয়েছে, যা জীবাণু অস্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ হাজার টন রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদও রয়েছে তাদের। একে বিশ্বের অন্যতম বড় রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্রের মজুদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
উত্তর কোরিয়ার জীবাণু অস্ত্রের হামলায় কলেরা, টাইফয়েড, গুটিবসন্ত, কালাজ্বরের মতো কঠিন রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগেও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তরের পরমাণু অস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছে। গতকালের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।
এর আগে জুনে ব্রাসেলসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কোরীয় উপদ্বীপের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র সবচেয়ে বড় হুমকি। তবে দেশটির রাসায়নিক অস্ত্রের বড় মজুদ রয়েছে এবং সম্ভবত জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচিও পরিচালনা করছে তারা। সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, পিয়ংইয়ংয়ের আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টনের রাসায়নিক অস্ত্রাগারে মাস্টার্ড গ্যাস, ফসজেন ও বিভিন্ন ধরনের প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে।
১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দুই পক্ষই যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের শান্তি চুক্তি হয়নি। এ পর্যন্ত পিয়ংইয়ং দুটি পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। পরমাণু কর্মসূচির কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তর কোরিয়াকে প্রায় একঘরে করে রেখেছে। তবে এই সংকট নিয়ে সম্প্রতি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।
No comments