প্রযুক্তি যেখানে সহজলভ্য, সেখানে ভোগান্তি বাড়ানো কেন -ভর্তি ফরম সংগ্রহে বিড়ম্বনা
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিযোগিতাকে হার মানিয়েছে ভর্তি ফরম সংগ্রহের প্রতিযোগিতা। একটি বা দুটি কেন্দ্র থেকে ভর্তি হতে ইচ্ছুক হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ফরম সংগ্রহ করার পদ্ধতি যেন অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার খনি। এই অব্যবস্থাপনা থেকেই জন্ম হয় সহিংসতা আর অসাধুতার। ওয়েবসাইট থেকে ফরম সংগ্রহ করা যেখানে সহজসাধ্য ও ব্যয়সাশ্রয়ী, সেখানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এর প্রচলন করতে বাধা থাকার কথা নয়।
গতকাল সোমবারের প্রথম আলোর দুটি খবর ও একটি ছবি একই সঙ্গে সমস্যার প্রকটতা আর সমাধানের বাস্তবতা তুলে ধরেছে। একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিড়, নৈরাজ্য ও অবৈধভাবে ফরম সংগ্রহের চেষ্টা; অন্যদিকে ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি ফরম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়ার সুবন্দোবস্ত। এ যেন এক যাত্রায় ভিন্ন ফলের আদর্শ দৃষ্টান্ত।
প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফরম সংগ্রহের জন্য দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থী কিংবা তাদের স্বজনদের অশেষ পেরেশানির মধ্যে পড়তে দেখা যায়। পাশাপাশি সশরীরে এসে ফরম সংগ্রহে সময় ও অর্থেরও কম অপচয় হয় না। অথচ খুবই সহজ ছিল ইন্টারনেট-সুবিধা কাজে লাগিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফরম পাওয়ার ব্যবস্থা করা। যে দেশে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ পর্যন্ত ডিভি লটারি পূরণ করতে পারে, যে দেশে ইন্টারনেট-সুবিধা সহজলভ্য, সে দেশে ফরম সংগ্রহের বন্দোবস্তকে অনায়াস ও সাশ্রয়ী করতে অসুবিধা কোথায়? একদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধ্বনি, অন্যদিকে সাবেকি জবরজং পদ্ধতি আঁকড়ে থাকা কি স্ববিরোধিতা নয়? ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ যে তারা এ ব্যাপারে এগিয়ে গিয়েছে।
অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের শহরাঞ্চলে ইন্টারনেট এখন একসময়কার টেলিগ্রাম পদ্ধতির মতোই জনপ্রিয় ও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। তরুণেরাও ক্রমশ আরও বেশি হারে আগ্রহভরে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার-প্রযুক্তিকে আপন করে নিচ্ছে, দক্ষ হয়ে উঠছে।
অচিরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ও অন্তর্জালিক (ইন্টারনেট) সুবিধার বিস্তারে প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
গতকাল সোমবারের প্রথম আলোর দুটি খবর ও একটি ছবি একই সঙ্গে সমস্যার প্রকটতা আর সমাধানের বাস্তবতা তুলে ধরেছে। একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিড়, নৈরাজ্য ও অবৈধভাবে ফরম সংগ্রহের চেষ্টা; অন্যদিকে ময়মনসিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি ফরম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়ার সুবন্দোবস্ত। এ যেন এক যাত্রায় ভিন্ন ফলের আদর্শ দৃষ্টান্ত।
প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফরম সংগ্রহের জন্য দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থী কিংবা তাদের স্বজনদের অশেষ পেরেশানির মধ্যে পড়তে দেখা যায়। পাশাপাশি সশরীরে এসে ফরম সংগ্রহে সময় ও অর্থেরও কম অপচয় হয় না। অথচ খুবই সহজ ছিল ইন্টারনেট-সুবিধা কাজে লাগিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফরম পাওয়ার ব্যবস্থা করা। যে দেশে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ পর্যন্ত ডিভি লটারি পূরণ করতে পারে, যে দেশে ইন্টারনেট-সুবিধা সহজলভ্য, সে দেশে ফরম সংগ্রহের বন্দোবস্তকে অনায়াস ও সাশ্রয়ী করতে অসুবিধা কোথায়? একদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধ্বনি, অন্যদিকে সাবেকি জবরজং পদ্ধতি আঁকড়ে থাকা কি স্ববিরোধিতা নয়? ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ যে তারা এ ব্যাপারে এগিয়ে গিয়েছে।
অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের শহরাঞ্চলে ইন্টারনেট এখন একসময়কার টেলিগ্রাম পদ্ধতির মতোই জনপ্রিয় ও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। তরুণেরাও ক্রমশ আরও বেশি হারে আগ্রহভরে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার-প্রযুক্তিকে আপন করে নিচ্ছে, দক্ষ হয়ে উঠছে।
অচিরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ও অন্তর্জালিক (ইন্টারনেট) সুবিধার বিস্তারে প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
No comments