বার্সার প্রথম জয় হেরেছে লিভারপুল
ম্যাচের প্রথম দিকে ছড়ি ঘোরাল ডায়নামো কিয়েভই। ভরা ন্যু ক্যাম্প স্টেডিয়াম ইউক্রেনিয়ানদের দাপট দেখে চুপচাপ। কিন্তু প্রথম কয়েক পশলা আক্রমণ সামলে বার্সেলোনা ফিরল বার্সেলোনায়। যেখানে তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, যেখানে মেসি-ইনিয়েস্তা-জাভিদের মতো জাদুকর ফুটবলারদের খেলা মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয় ফুটবল বিশ্বকে। ওই মেসির গোলেই ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। আর ৭৬ মিনিটে ইনিয়েস্তার বদলি পেদ্রোর গোল (২-০) শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বার্সাকে দেয় প্রথম জয়ের নিশ্চয়তা। ওদিকে রুবিন কাজানের সঙ্গে ইন্টার মিলানের ড্র (১-১) দিন শেষে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষেই তুলে দেয় স্প্যানিশ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের।
নিজেদের মাঠে বার্সেলোনা জিতবে—ম্যাচের আগেই ফলটা বলে দেওয়া যেত। কিন্তু কে বলতে পারত চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের অন্যতম সফল দল লিভারপুল হেরে বসবে ফিওরেন্টিনার কাছে? পরশু ফ্লোরেন্সে গিয়ে লিভারপুলের হেরে আসাটাই বড় খবর। ফিওরেন্টিনার জয়টা একবারে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা গোছের কিছুও না। ইতালিয়ানদের জিতিয়েছে মন্টেনেগ্রোর তরুণ তারকা স্টেভান জোভেটিচের জোড়া গোল (২-০)। মিশন ২০০৯-এ লিভারপুলের প্রথম পরাজয় তাদের ঠেলে দিয়েছে ‘ই’ গ্রুপের তিন নম্বরে। গ্রুপের শীর্ষে এখন টানা দু ম্যাচ জয়ী ফ্রান্সের অলিম্পিক লিওঁ। এ দিন হাঙ্গেরির দেবরেসেনিকে তাদের মাঠে ৪-০ গোলে হারিয়ে এসেছে তারা।
ন্যু ক্যাম্পে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে শেভচেঙ্কোর হ্যাটট্রিকে কিয়েভ ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল বার্সেলোনাকে। ইতালি ও ইংল্যান্ডে কয়েকটা মৌসুম কাটিয়ে ‘শেভা’ এ মৌসুমেই ফিরে এসেছেন শিকড়ে। সাবেক এসি মিলান ও চেলসি তারকা তাঁর তেত্রিশতম জন্মদিনে নিজেকেই উপহার দেওয়ার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর একটা শট বার কাঁপিয়ে বাইরে যাওয়ার পর নিজেদের অর্ধেই ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১৯৯৭-৯৮-এর শেভাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি! গত মৌসুমে ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বার্সেলোনার গোলের খাতাই এবার খুললেন মেসি। সেই ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢোকা ট্রেডমার্ক দৌড় দিয়ে আর্জেন্টাইন তারকার করা গোলের পর বার্সার দাপটে হারিয়ে যায় ডায়নামো কিয়েভ। ইব্রাহিমোভিচকে গোল-বঞ্চিত করেছেন কিয়েভ গোলরক্ষক শোভকোভিস্কি। দারুণ নৈপুণ্যে জাভি, মেসি, ইব্রাহিমোভিচ, দানি আলভেজের আরও কয়েকটি গোল-প্রচেষ্টাও নস্যাত্ করেছেন তিনি। পরে ইনিয়েস্তার বদলি হিসেবে নেমে পেদ্রো গোল করে দেখিয়ে দিয়েছেন এবার গোল করার লোকের অভাব নেই বার্সেলোনার।
বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলা তৃপ্ত, ‘শীর্ষে ওঠাটা দারুণ ব্যাপার। কারণ আমাদের গ্রুপটা কঠিন। দুর্ভাগ্য যে এমন একটা গ্রুপে পড়ে গেছি আমরা।’
ওদিকে মস্কোয় নিজেদের মাঠে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ খেলতে নামা রুবিন কাজানের ছিল উজ্জীবিত পারফরম্যান্স। ২৫ হাজার দর্শকের ‘চেঁচামেচি’তে অনুপ্রাণিত রুবিনের সঙ্গে ড্র করতে পারাটাই হয়তো ইতালি চ্যাম্পিয়নদের কাছে যথেষ্ট। ইন্টার কোচ হোসে মরিনহো তো মনে করেন, রুবিন জিতেও যেতে পারত, ‘তারা নিজেদের দর্শকের সামনে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। তারা জিতেও যেতে পারত। তবে তিন পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ আমাদেরও ছিল।’ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আলেজান্দ্রো ডমিঙ্গুয়েজ ১১ মিনিটে অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মেইকনের নিখুঁত সেন্টারে হেড করে ইন্টারকে ২৫ মিনিটেই সমতায় ফেরান সার্বিয়ান মিডফিল্ডার দেজান স্টানকোভিচ।
ফ্লোরেন্সের ম্যাচের শুরুতেই কেমন যেন জড়তাগ্রস্ত ছিল লিভারপুল। এটাই তেড়েফুঁড়ে খেলতে উত্সাহিত করে ফিওরেন্টিনাকে। ক্রিস্টিয়ানো জানেত্তির অফ-সাইড চেরা পাসে ২৮ মিনিটে গোল করেন মন্টেনেগ্রিয়ান টিনএজ তারকা জোভেটিচ। ৯ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল করে ফিওরেন্টিনার স্মরণীয় জয়ের নায়ক হন তিনিই। শেষার্ধে অবশ্য গোল শোধের সুযোগ তৈরি করেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ইয়সি বেনায়ুন, ডির্ক কিউট ও লুকাস দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। ৭১ মিনিটে ফার্নান্দো তোরেসকে গোল-বঞ্চিত করেছেন আলেসান্দ্রো গাম্ব্রিয়েনি। লিভারপুল কোচ রাফায়েল বেনিতেজ দলের পারফরম্যান্সে হতাশ, ‘শুরুতে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। অনেক সমস্যা ছিল আমাদের, ভুল করেছি অনেক।’
লিভারপুল হারলেও আরেক ইংলিশ ‘দানব’ আর্সেনাল জিতেছে পরশু রাতে। ৭৭ মিনিট পর্যন্ত গানারদের আটকে রেখেও হেরে গেছে অলিম্পিয়াকোস। ৭৮ মিনিটে গোল করেছেন ডাচ স্ট্রাইকার রবিন ফন পার্সি, ৮৬ মিনিটে রুশ তারকা আন্দ্রেই আরশাভিন। গ্রিসকে ২০০৪ ইউরো চ্যাম্পিয়ন করে নতুন গ্রিক রূপকথার জন্ম দিয়েছিলেন গ্রিসের ফুটবলাররা। সেই রূপকথারই অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক আন্তোনিস নিকোপোলাইডিস এবার লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে জন্ম দিতে চলেছিলেন আরেকটি ‘ওডিসি’র। আরশাভিন, ফন পার্সিদের একের পর আক্রমণ রুখে দিয়ে হতাশায় ডোবাচ্ছিলেন তিনি আর্সেনালকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি, ব্রাজিলিয়ান কোচ জিকোর দলকে হারই মানতে হয়েছে। টানা দ্বিতীয় জয় ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষেই তুলে দিয়েছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দলকে। এদিন ‘জি’ গ্রুপে গ্লাসগো রেঞ্জার্সকে তাদের মাঠে কঙ্কো, আদ্রিয়ানো, লুইস ফ্যাবিয়ানো ও কানুটের গোলে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেনের সেভিয়া।
নিজেদের মাঠে বার্সেলোনা জিতবে—ম্যাচের আগেই ফলটা বলে দেওয়া যেত। কিন্তু কে বলতে পারত চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের অন্যতম সফল দল লিভারপুল হেরে বসবে ফিওরেন্টিনার কাছে? পরশু ফ্লোরেন্সে গিয়ে লিভারপুলের হেরে আসাটাই বড় খবর। ফিওরেন্টিনার জয়টা একবারে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা গোছের কিছুও না। ইতালিয়ানদের জিতিয়েছে মন্টেনেগ্রোর তরুণ তারকা স্টেভান জোভেটিচের জোড়া গোল (২-০)। মিশন ২০০৯-এ লিভারপুলের প্রথম পরাজয় তাদের ঠেলে দিয়েছে ‘ই’ গ্রুপের তিন নম্বরে। গ্রুপের শীর্ষে এখন টানা দু ম্যাচ জয়ী ফ্রান্সের অলিম্পিক লিওঁ। এ দিন হাঙ্গেরির দেবরেসেনিকে তাদের মাঠে ৪-০ গোলে হারিয়ে এসেছে তারা।
ন্যু ক্যাম্পে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে শেভচেঙ্কোর হ্যাটট্রিকে কিয়েভ ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল বার্সেলোনাকে। ইতালি ও ইংল্যান্ডে কয়েকটা মৌসুম কাটিয়ে ‘শেভা’ এ মৌসুমেই ফিরে এসেছেন শিকড়ে। সাবেক এসি মিলান ও চেলসি তারকা তাঁর তেত্রিশতম জন্মদিনে নিজেকেই উপহার দেওয়ার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর একটা শট বার কাঁপিয়ে বাইরে যাওয়ার পর নিজেদের অর্ধেই ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১৯৯৭-৯৮-এর শেভাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি! গত মৌসুমে ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বার্সেলোনার গোলের খাতাই এবার খুললেন মেসি। সেই ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢোকা ট্রেডমার্ক দৌড় দিয়ে আর্জেন্টাইন তারকার করা গোলের পর বার্সার দাপটে হারিয়ে যায় ডায়নামো কিয়েভ। ইব্রাহিমোভিচকে গোল-বঞ্চিত করেছেন কিয়েভ গোলরক্ষক শোভকোভিস্কি। দারুণ নৈপুণ্যে জাভি, মেসি, ইব্রাহিমোভিচ, দানি আলভেজের আরও কয়েকটি গোল-প্রচেষ্টাও নস্যাত্ করেছেন তিনি। পরে ইনিয়েস্তার বদলি হিসেবে নেমে পেদ্রো গোল করে দেখিয়ে দিয়েছেন এবার গোল করার লোকের অভাব নেই বার্সেলোনার।
বার্সেলোনা কোচ পেপ গার্দিওলা তৃপ্ত, ‘শীর্ষে ওঠাটা দারুণ ব্যাপার। কারণ আমাদের গ্রুপটা কঠিন। দুর্ভাগ্য যে এমন একটা গ্রুপে পড়ে গেছি আমরা।’
ওদিকে মস্কোয় নিজেদের মাঠে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচ খেলতে নামা রুবিন কাজানের ছিল উজ্জীবিত পারফরম্যান্স। ২৫ হাজার দর্শকের ‘চেঁচামেচি’তে অনুপ্রাণিত রুবিনের সঙ্গে ড্র করতে পারাটাই হয়তো ইতালি চ্যাম্পিয়নদের কাছে যথেষ্ট। ইন্টার কোচ হোসে মরিনহো তো মনে করেন, রুবিন জিতেও যেতে পারত, ‘তারা নিজেদের দর্শকের সামনে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। তারা জিতেও যেতে পারত। তবে তিন পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ আমাদেরও ছিল।’ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আলেজান্দ্রো ডমিঙ্গুয়েজ ১১ মিনিটে অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মেইকনের নিখুঁত সেন্টারে হেড করে ইন্টারকে ২৫ মিনিটেই সমতায় ফেরান সার্বিয়ান মিডফিল্ডার দেজান স্টানকোভিচ।
ফ্লোরেন্সের ম্যাচের শুরুতেই কেমন যেন জড়তাগ্রস্ত ছিল লিভারপুল। এটাই তেড়েফুঁড়ে খেলতে উত্সাহিত করে ফিওরেন্টিনাকে। ক্রিস্টিয়ানো জানেত্তির অফ-সাইড চেরা পাসে ২৮ মিনিটে গোল করেন মন্টেনেগ্রিয়ান টিনএজ তারকা জোভেটিচ। ৯ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল করে ফিওরেন্টিনার স্মরণীয় জয়ের নায়ক হন তিনিই। শেষার্ধে অবশ্য গোল শোধের সুযোগ তৈরি করেছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। ইয়সি বেনায়ুন, ডির্ক কিউট ও লুকাস দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। ৭১ মিনিটে ফার্নান্দো তোরেসকে গোল-বঞ্চিত করেছেন আলেসান্দ্রো গাম্ব্রিয়েনি। লিভারপুল কোচ রাফায়েল বেনিতেজ দলের পারফরম্যান্সে হতাশ, ‘শুরুতে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। অনেক সমস্যা ছিল আমাদের, ভুল করেছি অনেক।’
লিভারপুল হারলেও আরেক ইংলিশ ‘দানব’ আর্সেনাল জিতেছে পরশু রাতে। ৭৭ মিনিট পর্যন্ত গানারদের আটকে রেখেও হেরে গেছে অলিম্পিয়াকোস। ৭৮ মিনিটে গোল করেছেন ডাচ স্ট্রাইকার রবিন ফন পার্সি, ৮৬ মিনিটে রুশ তারকা আন্দ্রেই আরশাভিন। গ্রিসকে ২০০৪ ইউরো চ্যাম্পিয়ন করে নতুন গ্রিক রূপকথার জন্ম দিয়েছিলেন গ্রিসের ফুটবলাররা। সেই রূপকথারই অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক আন্তোনিস নিকোপোলাইডিস এবার লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে জন্ম দিতে চলেছিলেন আরেকটি ‘ওডিসি’র। আরশাভিন, ফন পার্সিদের একের পর আক্রমণ রুখে দিয়ে হতাশায় ডোবাচ্ছিলেন তিনি আর্সেনালকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি, ব্রাজিলিয়ান কোচ জিকোর দলকে হারই মানতে হয়েছে। টানা দ্বিতীয় জয় ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষেই তুলে দিয়েছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দলকে। এদিন ‘জি’ গ্রুপে গ্লাসগো রেঞ্জার্সকে তাদের মাঠে কঙ্কো, আদ্রিয়ানো, লুইস ফ্যাবিয়ানো ও কানুটের গোলে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে স্পেনের সেভিয়া।
No comments