বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে
গভীর মন্দার পর বিশ্ব অর্থনীতি এখন আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে এই পুনরুদ্ধারের গতিটা অনেক ধীর।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিশ্ব অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি ১ দশমিক ১০ শতাংশ হারে সংকুচিত হলেও আগামী বছর অর্থাত্ ২০১০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার হবে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
মূলত এশিয়ার, বিশেষত চীন ও ভারতের উচ্চতর প্রবৃদ্ধির হারই বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখছে বলেও মনে করছে আইএমএফ।
এই আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করেছে যথাক্রমে সাড়ে ৮ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা আগামী বছর হবে যথাক্রমে ৯ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাপকভিত্তিক ও সমন্বিত রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছে। এ ক্ষেত্রে এই হস্তক্ষেপ একদিকে চাহিদা বাড়াতে কাজ করেছে, অন্যদিকে আর্থিক বাজারের ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা কমাতে সহায়তা করেছে।
তবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করতে হবে—এ মন্তব্য করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আর্থিক খাত এখনো নাজুক রয়ে গেছে। আর তাই বিশ্ব অর্থনীতি আগের জায়গায় ফিরতে সময় লাগবে।
আইএমএফ বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে তিনটি অস্থায়ী উপাদানের কথা উল্লেখ করেছে, যেগুলো একপর্যায়ে আর থাকবে না। এগুলো হলো—সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমর্থন এবং সম্পদ কমে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের পুনর্ভরণ।
আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ অলিভার ব্লানচার্ড বলেন, ‘পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে। আর্থিক বাজারগুলোর ক্ষতও সেরে উঠছে।’ তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এখন যেসব সূচক দেখা যাচ্ছে, তাতে যদি সরকারগুলো মনে করে যে সংকট শেষ হয়ে গেছে, তাহলে তা হবে বোকামি।
আইএমএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোকে এখন অধিক পরিমাণ অর্থ মজুদ হিসেবে ধরে রাখতে হচ্ছে, যা ২০০৯ সালের বাকি সময়টায় এবং ২০১০ সালেও ঋণের প্রবাহ কমিয়ে দেবে।
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণের প্রবাহ কমে যাওয়ার পরিণতিতে বিনিয়োগ কমে যাবে, যা আবার চাহিদাও কমিয়ে দেবে।
বিশ্ব অর্থনীতির গতিময়তা ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যমূল্য ও বিশ্ববাণিজ্য বাড়তে শুরু করেছে বলে আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইএমএফ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতি হবে সিঙ্গাপুর। দেশটির প্রবৃদ্ধির হার হবে চার দশমিক ১০ শতাংশ। এরপর পর্যায়ক্রমে থাকবে তাইওয়ান, স্লোভেকিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং।
পাশাপাশি আইএমএফ এও বলেছে যে উন্নত বিশ্বে ব্যক্তিখাতের চাহিদা এখনো অনেক দুর্বল।
বাংলাদেশ: আইএমএফের হিসাব অনুসারে চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর প্রবৃদ্ধির এই হার আগামী বছরও অপরিবর্তিত থাকবে বলে মনে করছে আইএমএফ।
অন্যদিকে এ বছর মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশ হলেও ২০১০ সালে তা কমে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ হতে পারে বলে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিশ্ব অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্ব অর্থনীতি ১ দশমিক ১০ শতাংশ হারে সংকুচিত হলেও আগামী বছর অর্থাত্ ২০১০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার হবে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
মূলত এশিয়ার, বিশেষত চীন ও ভারতের উচ্চতর প্রবৃদ্ধির হারই বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখছে বলেও মনে করছে আইএমএফ।
এই আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করেছে যথাক্রমে সাড়ে ৮ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা আগামী বছর হবে যথাক্রমে ৯ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাপকভিত্তিক ও সমন্বিত রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছে। এ ক্ষেত্রে এই হস্তক্ষেপ একদিকে চাহিদা বাড়াতে কাজ করেছে, অন্যদিকে আর্থিক বাজারের ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা কমাতে সহায়তা করেছে।
তবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করতে হবে—এ মন্তব্য করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আর্থিক খাত এখনো নাজুক রয়ে গেছে। আর তাই বিশ্ব অর্থনীতি আগের জায়গায় ফিরতে সময় লাগবে।
আইএমএফ বিশ্ব অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে তিনটি অস্থায়ী উপাদানের কথা উল্লেখ করেছে, যেগুলো একপর্যায়ে আর থাকবে না। এগুলো হলো—সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমর্থন এবং সম্পদ কমে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদের পুনর্ভরণ।
আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ অলিভার ব্লানচার্ড বলেন, ‘পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে। আর্থিক বাজারগুলোর ক্ষতও সেরে উঠছে।’ তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এখন যেসব সূচক দেখা যাচ্ছে, তাতে যদি সরকারগুলো মনে করে যে সংকট শেষ হয়ে গেছে, তাহলে তা হবে বোকামি।
আইএমএফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংকটের কারণে ব্যাংকগুলোকে এখন অধিক পরিমাণ অর্থ মজুদ হিসেবে ধরে রাখতে হচ্ছে, যা ২০০৯ সালের বাকি সময়টায় এবং ২০১০ সালেও ঋণের প্রবাহ কমিয়ে দেবে।
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণের প্রবাহ কমে যাওয়ার পরিণতিতে বিনিয়োগ কমে যাবে, যা আবার চাহিদাও কমিয়ে দেবে।
বিশ্ব অর্থনীতির গতিময়তা ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যমূল্য ও বিশ্ববাণিজ্য বাড়তে শুরু করেছে বলে আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইএমএফ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১০ সালে বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতি হবে সিঙ্গাপুর। দেশটির প্রবৃদ্ধির হার হবে চার দশমিক ১০ শতাংশ। এরপর পর্যায়ক্রমে থাকবে তাইওয়ান, স্লোভেকিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং।
পাশাপাশি আইএমএফ এও বলেছে যে উন্নত বিশ্বে ব্যক্তিখাতের চাহিদা এখনো অনেক দুর্বল।
বাংলাদেশ: আইএমএফের হিসাব অনুসারে চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর প্রবৃদ্ধির এই হার আগামী বছরও অপরিবর্তিত থাকবে বলে মনে করছে আইএমএফ।
অন্যদিকে এ বছর মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশ হলেও ২০১০ সালে তা কমে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ হতে পারে বলে আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে।
No comments