পদ্মা সেতুর জন্য পুঁজিবাজার থেকে ৪২০০ কোটি টাকা সংগ্রহের চিন্তা
পদ্মা সেতু নির্মাণ-ব্যয়ের ঘাটতি মেটাতে চার হাজার ২০০ কোটি টাকা দেশের পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) এ সংক্রান্ত তিনটি বিকল্প প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বিবেচনার জন্য উত্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আইসিবির তিনটি বিকল্প প্রস্তাবের যেকোনো একটিকে কাজে লাগিয়ে পুঁজিবাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। এসব প্রস্তাবে বিভিন্ন ধরনের বন্ড ও সমমূলধন বা ইক্যুইটি শেয়ার ছেড়ে টাকা সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত না করেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক টাকা ওঠানো সম্ভব হয়।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৫ মিটার প্রস্থের পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দুই হাজার ৭০ কোটি টাকা, বিশ্বব্যাংক দুই হাজার ৭০ কোটি টাকা, জাইকা এক হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক ৮৯৭ কোটি টাকা এবং আবুধাবি ফান্ড ২১৬ কোটি টাকা দেবে।
আর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তিন হাজার ২৮১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। তারপরও ঘাটতি থাকে দুই হাজার ৫০৫ কোটি টাকার বেশি। সরকারের ব্যয় ও ঘাটতি অর্থায়নের বিকল্প উপায় খোঁজার জন্য আইসিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আইসিবির প্রথম প্রস্তাবে তিন হাজার কোটি টাকা বন্ড ও এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ইক্যুইটি শেয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করার কথা বলেছে। ইক্যুইটি শেয়ারের সরকার ও জনসাধারণের অনুপাত ধরা হয়েছে ৫১: ৪৯।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রকল্পের চার বছর মেয়াদে ব্যয়ের শতকরা হারের ওপর ভিত্তি করে আট শতাংশ সুদে সিকিউরিটাইজড বন্ড ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বছরে (২০০৯-১০) এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা, দ্বিতীয় বছরে (২০১০-১১) এক হাজার কোটি টাকা, তৃতীয় বছরে (২০১১-১২) এক হাজার কোটি টাকা ও চতুর্থ বছরে (২০১২-১২) ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব করেছে আইসিবি।
তৃতীয় প্রস্তাবে রূপান্তরযোগ্য বন্ড, শূন্য কুপন বন্ড ও অ্যামোর্টাইজড বন্ড ছেড়ে প্রকল্পের ঘাটতি-ব্যয় মেটানোর কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা রূপান্তরযোগ্য শূন্য কুপন বন্ড (৫০ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তর হবে) ছেড়ে সংগ্রহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অ্যামোর্টাইজড বন্ড ছেড়ে দুই হাজার কোটি টাকা ও শতভাগ রূপান্তরযোগ্য বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের সুপারিশ করা হয়েছে। আর ৭০০ কোটি টাকা বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়কে সিকিউরিটাইজড ও বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছে আইসিবি।
সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভা কমিটিতে এসব প্রস্তাবের যেকোনো একটি অনুমোদন হতে পারে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) এ সংক্রান্ত তিনটি বিকল্প প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বিবেচনার জন্য উত্থাপন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আইসিবির তিনটি বিকল্প প্রস্তাবের যেকোনো একটিকে কাজে লাগিয়ে পুঁজিবাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। এসব প্রস্তাবে বিভিন্ন ধরনের বন্ড ও সমমূলধন বা ইক্যুইটি শেয়ার ছেড়ে টাকা সংগ্রহ করার কথা বলা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত না করেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক টাকা ওঠানো সম্ভব হয়।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ৫ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৫ মিটার প্রস্থের পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দুই হাজার ৭০ কোটি টাকা, বিশ্বব্যাংক দুই হাজার ৭০ কোটি টাকা, জাইকা এক হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক ৮৯৭ কোটি টাকা এবং আবুধাবি ফান্ড ২১৬ কোটি টাকা দেবে।
আর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তিন হাজার ২৮১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। তারপরও ঘাটতি থাকে দুই হাজার ৫০৫ কোটি টাকার বেশি। সরকারের ব্যয় ও ঘাটতি অর্থায়নের বিকল্প উপায় খোঁজার জন্য আইসিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আইসিবির প্রথম প্রস্তাবে তিন হাজার কোটি টাকা বন্ড ও এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ইক্যুইটি শেয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করার কথা বলেছে। ইক্যুইটি শেয়ারের সরকার ও জনসাধারণের অনুপাত ধরা হয়েছে ৫১: ৪৯।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে প্রকল্পের চার বছর মেয়াদে ব্যয়ের শতকরা হারের ওপর ভিত্তি করে আট শতাংশ সুদে সিকিউরিটাইজড বন্ড ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বছরে (২০০৯-১০) এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা, দ্বিতীয় বছরে (২০১০-১১) এক হাজার কোটি টাকা, তৃতীয় বছরে (২০১১-১২) এক হাজার কোটি টাকা ও চতুর্থ বছরে (২০১২-১২) ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব করেছে আইসিবি।
তৃতীয় প্রস্তাবে রূপান্তরযোগ্য বন্ড, শূন্য কুপন বন্ড ও অ্যামোর্টাইজড বন্ড ছেড়ে প্রকল্পের ঘাটতি-ব্যয় মেটানোর কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা রূপান্তরযোগ্য শূন্য কুপন বন্ড (৫০ শতাংশ শেয়ারে রূপান্তর হবে) ছেড়ে সংগ্রহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অ্যামোর্টাইজড বন্ড ছেড়ে দুই হাজার কোটি টাকা ও শতভাগ রূপান্তরযোগ্য বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের সুপারিশ করা হয়েছে। আর ৭০০ কোটি টাকা বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়কে সিকিউরিটাইজড ও বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সংগ্রহ করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছে আইসিবি।
সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভা কমিটিতে এসব প্রস্তাবের যেকোনো একটি অনুমোদন হতে পারে।
No comments