মহাকাশ ভ্রমণে ধনকুবের গাই ল্যালিবার্ট
কানাডার ধনকুবের গাই ল্যালিবার্টের স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হচ্ছে। দুই সপ্তাহের সফরে গতকাল বুধবার তিনি মহাশূন্যে পাড়ি জমিয়েছেন। কাজাখস্তানের বারকোনুর উেক্ষপণ কেন্দ্র থেকে রাশিয়ার খেয়াযান সয়ুজে করে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশে পৃথিবী ছেড়ে যান। স্বভাবসুলভ রসিক এবং ওবাদি সার্কাস দলের স্বত্বাধিকারী এ ধনকুবের তাঁর এ অভিযানকে ‘কাব্যিক সামাজিক অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
‘সয়ুজ টিএম-১৬’ খেয়াযানে গাই ল্যালিবার্টের সঙ্গে থাকবেন রুশ নভোচারী ম্যাকসিম সুরায়েভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জেফরি উইলিয়ামস। কাল শুক্রবার তাঁদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছার কথা রয়েছে।
১৯৮৪ সালের কথা। গাই ল্যালিবার্ট কানাডার রাস্তায় রাস্তায় নেচে-খেলে মানুষকে আনন্দ দিতেন। একপর্যায়ে তিনি বিখ্যাত সার্কাস প্রতিষ্ঠান ‘সার্কু ডু সোলেইন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ওই কোম্পানির স্বত্বাধিকারী হওয়ার পর থেকেই তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি লাভ করেন। পরে প্রতিষ্ঠানের একের পর এক সফলতায় তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশ ভ্রমণ করতে গিয়ে তিনি সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন।
ব্যক্তিগত খরচে মহাকাশ ভ্রমণকারীদের মধ্যে ল্যালিবার্টের আগে মাত্র ছয়জন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেছেন। আগের পর্যটকেরা এ ভ্রমণের জন্য বিজ্ঞানীদের উত্সাহিত করেছেন। কিন্তু ল্যালিবার্ট তাঁদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন শিল্পী, একজন উদ্যোক্তা। আমি বিজ্ঞানী নই, এমনকি প্রকৌশলীও নই। জীবনের চলার পথে আমার মাঝে কিছু গুণের সন্নিবেশ ঘটেছে, কিছু সম্পদও হয়েছে। কিছু সৃজনশীল লোক নিয়ে আমি বিশ্বব্যাপী একটি দল গঠন করেছি। এ দলের মাধ্যমে আমি সৃজনশীল কিছু উপহার দিতে চাই। আমার বিশ্বাস, এর মাধ্যমে আমি নিরাপদ পানির সংকটময় অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারব।’
আগামী ৯ অক্টোবর ল্যালিবার্ট মহাকাশ স্টেশনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি ওই সব অনুষ্ঠান বিশ্বের ১৪টি শহরে সম্প্রচার করা হবে। রসিক এ নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের নয়জন ক্রুর জন্য নয়টি লাল রঙের ‘কৃত্রিম নাক’ও নিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে গিয়েও তিনি হাস্যরসে মেতে উঠবেন।
বিখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের সর্বশেষ তালিকায় ল্যালিবার্টের অবস্থান ২৬১তম। তিনি আড়াই শ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদের মালিক।
‘সয়ুজ টিএম-১৬’ খেয়াযানে গাই ল্যালিবার্টের সঙ্গে থাকবেন রুশ নভোচারী ম্যাকসিম সুরায়েভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জেফরি উইলিয়ামস। কাল শুক্রবার তাঁদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছার কথা রয়েছে।
১৯৮৪ সালের কথা। গাই ল্যালিবার্ট কানাডার রাস্তায় রাস্তায় নেচে-খেলে মানুষকে আনন্দ দিতেন। একপর্যায়ে তিনি বিখ্যাত সার্কাস প্রতিষ্ঠান ‘সার্কু ডু সোলেইন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ওই কোম্পানির স্বত্বাধিকারী হওয়ার পর থেকেই তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি লাভ করেন। পরে প্রতিষ্ঠানের একের পর এক সফলতায় তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। ধারণা করা হচ্ছে, মহাকাশ ভ্রমণ করতে গিয়ে তিনি সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন।
ব্যক্তিগত খরচে মহাকাশ ভ্রমণকারীদের মধ্যে ল্যালিবার্টের আগে মাত্র ছয়জন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেছেন। আগের পর্যটকেরা এ ভ্রমণের জন্য বিজ্ঞানীদের উত্সাহিত করেছেন। কিন্তু ল্যালিবার্ট তাঁদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন শিল্পী, একজন উদ্যোক্তা। আমি বিজ্ঞানী নই, এমনকি প্রকৌশলীও নই। জীবনের চলার পথে আমার মাঝে কিছু গুণের সন্নিবেশ ঘটেছে, কিছু সম্পদও হয়েছে। কিছু সৃজনশীল লোক নিয়ে আমি বিশ্বব্যাপী একটি দল গঠন করেছি। এ দলের মাধ্যমে আমি সৃজনশীল কিছু উপহার দিতে চাই। আমার বিশ্বাস, এর মাধ্যমে আমি নিরাপদ পানির সংকটময় অবস্থা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারব।’
আগামী ৯ অক্টোবর ল্যালিবার্ট মহাকাশ স্টেশনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি ওই সব অনুষ্ঠান বিশ্বের ১৪টি শহরে সম্প্রচার করা হবে। রসিক এ নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের নয়জন ক্রুর জন্য নয়টি লাল রঙের ‘কৃত্রিম নাক’ও নিয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে গিয়েও তিনি হাস্যরসে মেতে উঠবেন।
বিখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের সর্বশেষ তালিকায় ল্যালিবার্টের অবস্থান ২৬১তম। তিনি আড়াই শ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদের মালিক।
No comments