ধর্ম রক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার
বিশ্বের প্রাচীন ধর্মগুলোর একটি জরাথুস্ট্র। কালক্রমে জরাথুস্ট্র প্রবর্তিত ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। আগামী ৪০ বছরের মধ্যে এই ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা বর্তমান সংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাচীন এই ধর্মকে রক্ষা করতে প্রযুক্তির আশ্রয় নিয়েছে ভারতীয় পার্সিরা।
ওয়েবসাইট, ব্লগ, অনলাইন ডিরেক্টরি ও ম্যাচমেকিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরস্পরের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তিন হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো এই ধর্মের অনুসারীরা।
মুম্বাইয়ে একটি কম্পিউটার কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের মালিক ইয়াজদি তন্ত্র। তিনি বলেন, ‘পার্সিরা এমন একটি সম্প্রদায়, যার কোনো সীমানা নেই। বিশ্বজুড়েই আছি আমরা।’ বিশ্বের শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ পার্সি মুম্বাইয়ে বাস করে।
তন্ত্র বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি আছে, তাই আমরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছি। আমাদের সংখ্যা খুবই ছোট। যদি কোনো প্রযুক্তি না থাকত, তাহলে আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারতাম না। প্রযুক্তি আমাদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত রেখেছে।’
বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন তন্ত্র। ওয়েবসাইটগুলোর একটি হচ্ছে জোরাস্ট্রিয়ানস ডট নেট। এই ওয়েবসাইটে নবজাতক পার্সি শিশুর জন্য নাম ও ঐতিহ্যবাহী পার্সি খাবারের তালিকা থেকে শুরু করে কী নেই? পার্সি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছে সাইটটি।
ইয়াজদি তন্ত্র বলেন, নিছক মজা করার উদ্দেশে ও পার্সিদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের জন্য তিন বছর আগে সাইটটি চালু করা হয়। কিন্তু ভারত ও বিশ্বজুড়ে একটি অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলে সাইটটি। তন্ত্র বলেন, ‘আমাদের ওয়েবসাইট প্রচুর মানুষকে সংযুক্ত করছে।’
পার্সিয়ানা ম্যাগাজিনের সম্পাদক জেহাঙ্গির প্যাটেল বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন মাত্র ৯০ হাজার পার্সি রয়েছে। নিম্ন জন্মহার, ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বিয়ে এবং দেশান্তরের কারণে পার্সি সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
২০০১ সালে ভারতের সর্বশেষ জাতীয় আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতে পার্সি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭০ হাজারের নিচে।
জনসংখ্যাতাত্ত্বিকদের মতে, ২০৫১ সালের মধ্যে পার্সিদের সংখ্যা নেমে আসবে ৩২ হাজারের নিচে। জন্মহার গবেষণার ভিত্তিতে তাঁরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রদায় রক্ষায় এগিয়ে এসেছে প্রভাবশালী বোম্বে পার্সি পঞ্চায়েত গভর্নিং কাউন্সিল। তরুণদের জন্য একটি শাখা চালু করেছে সংগঠনটি। তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের জন্য চালু করা হয়েছে ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটটিকে ‘ফেইসবুক ফর পার্সিস’ হিসেবে অভিহিত করছে তারা।
কাউন্সিলের ট্রাস্টি খোজেস্তি মিস্ত্রি বলেন, এতে তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ উত্সাহিত হবে এবং সামাজিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারা সঙ্গী খুঁজে নেবে। ফলস্বরূপ তারা নিজ সম্প্রদায়ের ভেতরেই বিয়ে করবে।
প্যাটেল বলেন, ‘সংখ্যালঘু হিসেবে আমরা পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চাই। প্রায় শতকরা ৩৩ ভাগ পার্সি নিজ সম্প্রদায়ের বাইরে বিয়ে করেছে। এখন মানুষ কত দিন তাদের পার্সি হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সম্প্রদায় হিসেবে কত দিন আমাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে, সেটা দেখার বিষয়।’
কোনো পার্সি নারী অন্য কোনো সম্প্রদায়ের কাউকে বিয়ে করলে তাঁকে পার্সি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে কি না, সেটা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুরোনো ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসীরা বলছে, তারা সম্প্রদায়ের বাইরে চলে গেছে। অন্যদিকে সংস্কারবাদীদের মতে, সম্প্রদায় বাঁচাতে হলে তাদের পার্সি হিসেবে বিবেচনা করতেই হবে।
পার্সিদের একত্র রাখার জন্য যে ওয়েবসাইটগুলো চালু রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্য পার্সিডিরেক্টরি ডট কম এবং পার্সিখবর ডট নেট। পার্সিখবর ডট নেট ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করেন মুম্বাইয়ের স্থপতি আরজান স্যাম। তিনি জানান, তাঁর ওয়েবসাইটের অর্ধেক গ্রাহকই ভারতের বাইরের।
ওয়েবসাইট, ব্লগ, অনলাইন ডিরেক্টরি ও ম্যাচমেকিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরস্পরের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তিন হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো এই ধর্মের অনুসারীরা।
মুম্বাইয়ে একটি কম্পিউটার কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের মালিক ইয়াজদি তন্ত্র। তিনি বলেন, ‘পার্সিরা এমন একটি সম্প্রদায়, যার কোনো সীমানা নেই। বিশ্বজুড়েই আছি আমরা।’ বিশ্বের শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ পার্সি মুম্বাইয়ে বাস করে।
তন্ত্র বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি আছে, তাই আমরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছি। আমাদের সংখ্যা খুবই ছোট। যদি কোনো প্রযুক্তি না থাকত, তাহলে আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারতাম না। প্রযুক্তি আমাদের সম্প্রদায়ের লোকজনকে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত রেখেছে।’
বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন তন্ত্র। ওয়েবসাইটগুলোর একটি হচ্ছে জোরাস্ট্রিয়ানস ডট নেট। এই ওয়েবসাইটে নবজাতক পার্সি শিশুর জন্য নাম ও ঐতিহ্যবাহী পার্সি খাবারের তালিকা থেকে শুরু করে কী নেই? পার্সি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছে সাইটটি।
ইয়াজদি তন্ত্র বলেন, নিছক মজা করার উদ্দেশে ও পার্সিদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের জন্য তিন বছর আগে সাইটটি চালু করা হয়। কিন্তু ভারত ও বিশ্বজুড়ে একটি অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলে সাইটটি। তন্ত্র বলেন, ‘আমাদের ওয়েবসাইট প্রচুর মানুষকে সংযুক্ত করছে।’
পার্সিয়ানা ম্যাগাজিনের সম্পাদক জেহাঙ্গির প্যাটেল বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন মাত্র ৯০ হাজার পার্সি রয়েছে। নিম্ন জন্মহার, ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বিয়ে এবং দেশান্তরের কারণে পার্সি সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
২০০১ সালে ভারতের সর্বশেষ জাতীয় আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতে পার্সি জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭০ হাজারের নিচে।
জনসংখ্যাতাত্ত্বিকদের মতে, ২০৫১ সালের মধ্যে পার্সিদের সংখ্যা নেমে আসবে ৩২ হাজারের নিচে। জন্মহার গবেষণার ভিত্তিতে তাঁরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রদায় রক্ষায় এগিয়ে এসেছে প্রভাবশালী বোম্বে পার্সি পঞ্চায়েত গভর্নিং কাউন্সিল। তরুণদের জন্য একটি শাখা চালু করেছে সংগঠনটি। তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের জন্য চালু করা হয়েছে ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটটিকে ‘ফেইসবুক ফর পার্সিস’ হিসেবে অভিহিত করছে তারা।
কাউন্সিলের ট্রাস্টি খোজেস্তি মিস্ত্রি বলেন, এতে তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ উত্সাহিত হবে এবং সামাজিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারা সঙ্গী খুঁজে নেবে। ফলস্বরূপ তারা নিজ সম্প্রদায়ের ভেতরেই বিয়ে করবে।
প্যাটেল বলেন, ‘সংখ্যালঘু হিসেবে আমরা পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে চাই। প্রায় শতকরা ৩৩ ভাগ পার্সি নিজ সম্প্রদায়ের বাইরে বিয়ে করেছে। এখন মানুষ কত দিন তাদের পার্সি হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সম্প্রদায় হিসেবে কত দিন আমাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে, সেটা দেখার বিষয়।’
কোনো পার্সি নারী অন্য কোনো সম্প্রদায়ের কাউকে বিয়ে করলে তাঁকে পার্সি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে কি না, সেটা নিয়ে বিতর্ক চলছে। পুরোনো ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসীরা বলছে, তারা সম্প্রদায়ের বাইরে চলে গেছে। অন্যদিকে সংস্কারবাদীদের মতে, সম্প্রদায় বাঁচাতে হলে তাদের পার্সি হিসেবে বিবেচনা করতেই হবে।
পার্সিদের একত্র রাখার জন্য যে ওয়েবসাইটগুলো চালু রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্য পার্সিডিরেক্টরি ডট কম এবং পার্সিখবর ডট নেট। পার্সিখবর ডট নেট ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করেন মুম্বাইয়ের স্থপতি আরজান স্যাম। তিনি জানান, তাঁর ওয়েবসাইটের অর্ধেক গ্রাহকই ভারতের বাইরের।
No comments