সুনামিতে সামোয়ায় ১২০, ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ায় ৭৫ জন নিহত
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে গত মঙ্গলবার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে কমপক্ষে ১২০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সামোয়াতে মারা গেছে অন্তত ১০০ জন, আর আমেরিকান সামোয়াতে প্রাণ হারিয়েছে ২০ জনেরও বেশি। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৮৫ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশিও রয়েছে। সুনামির তাণ্ডবে কয়েকটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামোয়ায় এ সুনামির পর গতকাল বুধবার ‘আফটার শক’ ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৭৫ জন নিহত হয়েছে। দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এ ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ কথা জানান। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান রুস্তম পাক্ষ জানান, ভবন ও বাড়িঘরের নিচে বহু লোক আটকা পড়ে রয়েছে। মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সামোয়ায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা ৪৮ মিনিটে ৮ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের ধাক্কায় কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয় ১৫ ফুট উঁচু ঢেউয়ের।
দুটি স্বতন্ত্র এলাকার সমন্বয়ে সামোয়া দ্বীপ গঠিত। একটি সামোয়া, অপরটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত আমেরিকান সামোয়া। জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ।
ভূমিকম্পের পর প্রাথমিকভাবে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সামোয়ার জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বলেন, সুনামির তাণ্ডবে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৬৫ জন। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৪৫ জন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সুনামির আঘাতে আমেরিকান সামোয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার তিনজন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও এক দক্ষিণ কোরীয়। নিউজিল্যান্ডের একজন নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমেরিকান সামোয়ায় এই সুনামিকে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রীয় ত্রাণ সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকান সামোয়ার প্রতিনিধি ইনি ফেলিওমাভায়েগা বলেন, ‘কয়েকটি এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র কয়েক ফুট ওপরে অবস্থিত। সুতরাং ধ্বংসলীলা সম্পর্কে আপনি সহজেই অনুমান করতে পারবেন।’ তিনি বলেন, সুনামির কারণে সম্পদের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেখানে-সেখানে ভাসছে গাড়ি। ফেলিওমাভায়েগা বলেন, সামোয়া দ্বীপের সব নিম্নাঞ্চল আক্ষরিক অর্থে ভেসে গেছে। সুনামির কারণে হতাহত হয়েছে কয়েক শ মানুষ। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের কয়েক মিনিটের মধ্যে সুনামি আঘাত হানে। যার ফলে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়নি।
সামোয়ার রাজধানী আপিয়ার একটি হাসপাতালের চিকিত্সক লেমালু ফিউ বলেন, উপকূলীয় এলাকা থেকে এখনো লোকজন আসছে। তাই নিহত হওয়ার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সামোয়ার রেডক্রসের মহাসচিব তালুতালা মাউয়ালা জানান, তিনি সামোয়ার দক্ষিণ উপকূল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে আহত হয়েছে অনেক লোক। তিনি বলেন, বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করতে কয়েক মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
বার্তা সংস্থা এপির একজন সংবাদদাতা সামোয়ার একটি হাসপাতালে যত্রতত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
দ্য প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার (পিটিডব্লিউসি) জানায়, আপিয়ার প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দূরে ৩৩ মাইল গভীরে ভূমিকম্প আঘাত হানে। আপিয়া ও আমেরিকান সামোয়ার রাজধানী পাগো পাগোতে ৫ দশমিক ১ ফুট উঁচু ঢেউ আঘাত হানে।
সামোয়ার অধিবাসীদের উদ্ধৃত করে রেডিও নিউজিল্যান্ড জানায়, সুনামির কারণে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর ও গাড়ি ভেসে গেছে। গ্রায়েম আনসেল নামে নিউজিল্যান্ডের একজন নাগরিক বলেন, সমুদ্রতীরের একটি গ্রাম একেবারে ভেসে গেছে। সেখানকার একটি ভবনও আর দাঁড়িয়ে নেই।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সর্বোচ্চ ৩০ ফুট উঁচু ঢেউ ধেয়ে আসে। স্থানীয় একজন সাংবাদিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সামোয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের সবগুলো গ্রাম ভেসে গেছে। যেখানে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস।
নিউজিল্যান্ড বলেছে, প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে তারা মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন। সেখানকার উত্তর উপকূলে ১৩ ফুট উঁচু ঢেউ আঘাত হেনেছে। টোঙ্গার কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা আশঙ্কা করছেন ১০ জন নিহত হয়েছে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে সুনামির প্রভাব পড়েছে কয়েক হাজার মাইল দূরের দেশ জাপানেও। ছোট মাত্রার সুনামি ঢেউ আঘাত হেনেছে জাপান উপকূলেও। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, টোকিওর দক্ষিণ উপকূল এবং প্রধান দ্বীপ হোনসুর উত্তর উপকূলে চার ইঞ্চি উঁচু সুনামি ঢেউ আঘাত হেনেছে।
সামোয়ায় এ সুনামির পর গতকাল বুধবার ‘আফটার শক’ ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৭৫ জন নিহত হয়েছে। দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এ ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ কথা জানান। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান রুস্তম পাক্ষ জানান, ভবন ও বাড়িঘরের নিচে বহু লোক আটকা পড়ে রয়েছে। মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সামোয়ায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা ৪৮ মিনিটে ৮ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের ধাক্কায় কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয় ১৫ ফুট উঁচু ঢেউয়ের।
দুটি স্বতন্ত্র এলাকার সমন্বয়ে সামোয়া দ্বীপ গঠিত। একটি সামোয়া, অপরটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত আমেরিকান সামোয়া। জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ।
ভূমিকম্পের পর প্রাথমিকভাবে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর সতর্কতা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সামোয়ার জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বলেন, সুনামির তাণ্ডবে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৬৫ জন। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৪৫ জন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সুনামির আঘাতে আমেরিকান সামোয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার তিনজন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও এক দক্ষিণ কোরীয়। নিউজিল্যান্ডের একজন নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমেরিকান সামোয়ায় এই সুনামিকে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রীয় ত্রাণ সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকান সামোয়ার প্রতিনিধি ইনি ফেলিওমাভায়েগা বলেন, ‘কয়েকটি এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র কয়েক ফুট ওপরে অবস্থিত। সুতরাং ধ্বংসলীলা সম্পর্কে আপনি সহজেই অনুমান করতে পারবেন।’ তিনি বলেন, সুনামির কারণে সম্পদের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেখানে-সেখানে ভাসছে গাড়ি। ফেলিওমাভায়েগা বলেন, সামোয়া দ্বীপের সব নিম্নাঞ্চল আক্ষরিক অর্থে ভেসে গেছে। সুনামির কারণে হতাহত হয়েছে কয়েক শ মানুষ। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের কয়েক মিনিটের মধ্যে সুনামি আঘাত হানে। যার ফলে মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়নি।
সামোয়ার রাজধানী আপিয়ার একটি হাসপাতালের চিকিত্সক লেমালু ফিউ বলেন, উপকূলীয় এলাকা থেকে এখনো লোকজন আসছে। তাই নিহত হওয়ার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সামোয়ার রেডক্রসের মহাসচিব তালুতালা মাউয়ালা জানান, তিনি সামোয়ার দক্ষিণ উপকূল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে আহত হয়েছে অনেক লোক। তিনি বলেন, বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করতে কয়েক মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
বার্তা সংস্থা এপির একজন সংবাদদাতা সামোয়ার একটি হাসপাতালে যত্রতত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
দ্য প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার (পিটিডব্লিউসি) জানায়, আপিয়ার প্রায় ১৯০ কিলোমিটার দূরে ৩৩ মাইল গভীরে ভূমিকম্প আঘাত হানে। আপিয়া ও আমেরিকান সামোয়ার রাজধানী পাগো পাগোতে ৫ দশমিক ১ ফুট উঁচু ঢেউ আঘাত হানে।
সামোয়ার অধিবাসীদের উদ্ধৃত করে রেডিও নিউজিল্যান্ড জানায়, সুনামির কারণে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর ও গাড়ি ভেসে গেছে। গ্রায়েম আনসেল নামে নিউজিল্যান্ডের একজন নাগরিক বলেন, সমুদ্রতীরের একটি গ্রাম একেবারে ভেসে গেছে। সেখানকার একটি ভবনও আর দাঁড়িয়ে নেই।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সর্বোচ্চ ৩০ ফুট উঁচু ঢেউ ধেয়ে আসে। স্থানীয় একজন সাংবাদিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সামোয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের সবগুলো গ্রাম ভেসে গেছে। যেখানে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস।
নিউজিল্যান্ড বলেছে, প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে তারা মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন। সেখানকার উত্তর উপকূলে ১৩ ফুট উঁচু ঢেউ আঘাত হেনেছে। টোঙ্গার কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা আশঙ্কা করছেন ১০ জন নিহত হয়েছে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে সুনামির প্রভাব পড়েছে কয়েক হাজার মাইল দূরের দেশ জাপানেও। ছোট মাত্রার সুনামি ঢেউ আঘাত হেনেছে জাপান উপকূলেও। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, টোকিওর দক্ষিণ উপকূল এবং প্রধান দ্বীপ হোনসুর উত্তর উপকূলে চার ইঞ্চি উঁচু সুনামি ঢেউ আঘাত হেনেছে।
No comments