ইউসিবিসহ লেনদেন স্থগিত থাকা ৪৮ কোম্পানি ওটিসি বাজারে যাচ্ছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ (ইউসিবি) লেনদেন স্থগিত থাকা ‘জেড’ শ্রেণীভুক্ত নিষ্ক্রিয় বা দুর্বল মৌলভিত্তির ৪৮টি কোম্পানিকে ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ বা ওটিসি বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া জেড শ্রেণীভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকদের ঋণসুবিধা না দেওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া কোনো কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে তালিকাভুক্তির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কোনো ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে না। এমনকি কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলেও ঋণসুবিধা বন্ধ থাকবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভাশেষে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সমস্যাকবলিত কোম্পানিগুলোকে মূল বাজার থেকে সরিয়ে ফেলতেই ওটিসি বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ এসব কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন মূল বাজারকে প্রায়ই অস্থিতিশীল করে তোলে।’
আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া আরও জানান, দু-এক দিনের মধ্যেই কোম্পানিগুলোকে ওটিসি বাজারে নিয়ে যেতে আদেশ জারি করা হবে।
এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত ৬ সেপ্টেম্বর অনেক ঘটা করে ওটিসি বাজার চালু করা হয়। এ সময় বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে তালিকাচ্যুত কোম্পানির কাগজের শেয়ার ওটিসি বাজারে লেনদেন হবে। কিন্তু তালিকাচ্যুত প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগেরই আর কোনো অস্তিত্ব না থাকায় ওটিসি বাজারের ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রথম দিন থেকেই অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে লেনদেন স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলোকেও ওটিসি বাজারে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিচালকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আদালতে মামলা থাকায় এসইসির পরামর্শে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় বছর দুয়েক ইউসিবির লেনদেন বন্ধ রয়েছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিয়োগ আটকে গেছে। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারে পরিচালকদের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
এ অবস্থায় পরিচালকদের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি করতেই কাগজে শেয়ার না হওয়া সত্ত্বেও ইউসিবিকে ওটিসিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এসইসির সূত্র জানিয়েছে। ওটিসি বাজারে এ কোম্পানিটির শেয়ার বিশেষ ব্যবস্থায় লেনদেন হবে।
জেড কোম্পানির শেয়ারে ঋণসুবিধা বন্ধ করা প্রসঙ্গে আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিরুত্সাহিত করতেই এসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি এসইসির একটি বড় দায়িত্ব।
আনোয়ারুল কবীর বলেন, যেসব কোম্পানির শ্রেণী পরিবর্তন হবে (অর্থাত্ ‘এ’ শ্রেণী থেকে ‘জেড’ শ্রেণী বা ‘জেড’ শ্রেণী থেকে ‘এ’ বা ‘বি’ শ্রেণীতে পরিবর্তন), সেসব কোম্পানির বিপরীতেও ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই তাঁরা একটি পৃথক মার্জিন রুল প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন।
এইসির বৈঠকে প্রাথমিক শেয়ারের (আইপিও) অকৃতকার্য আবেদনের টাকা সরাসরি আবেদনকারীদের ব্যাংক হিসাবে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কোম্পানি নিজ দায়িত্বে এ কাজ করবে। গ্রামীণফোনের আইপিও থেকেই বিনিয়োগকারীরা এ সুবিধা পাবেন। আবেদনের টাকা ফেরত পেতে বিনিয়োগকারীদের নানামুখী হয়রানি কমাতেই এসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
ম্যারিকো লেনদেন: এদিকে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এসইসির পরিচালক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপপরিচালক ইকবাল হোসেন ও রাকিবুর রহমান।
লেনদেন স্থগিত থাকা কোম্পানি
আল আমিন কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ, আশরাফ টেক্সটাইলস, বাংলাদেশ কেমিক্যালস, বিডি ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, বাংলাদেশ জিপার, এক্সেলসিউর সু, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস, জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন, ম্যাক এন্টারপ্রাইজেস, ম্যাক পেপার, মেটালেক্স করপোরেশন, মিতা টেক্সটাইল, মডার্ন সিমেন্ট, পদ্মা প্রিন্টার্স, কাশেম টেক্সটাইল, রহমান কেমিক্যালস, রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস, রোজ হেভেন বল পেন, সজীব নিটওয়্যার, সোনালি পেপার, শ্রীপুর টেক্সটাইল, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, ওয়াটা কেমিক্যালস, আরবি টেক্সটাইল, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস, ঈগল স্টার, লেক্সকো, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ফিনিক্স লেদার, টিউলিপ ডেইরি, বায়োনিক সি ফুড, মোনা ফুড, আনাম সি ফুড, কাশেম সিল্ক, এম হোসেন গার্মেন্টস, সালেহ কার্পেট, ডায়নামিক টেক্সটাইল, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার কোম্পানি, পারফিউম কেমিক্যালস, বাংলাদেশ লাগেজ ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক প্রভৃতি।
এ ছাড়া জেড শ্রেণীভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহকদের ঋণসুবিধা না দেওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুধু তাই নয়, নতুন তালিকাভুক্ত হওয়া কোনো কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে তালিকাভুক্তির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কোনো ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে না। এমনকি কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলেও ঋণসুবিধা বন্ধ থাকবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভাশেষে এসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সমস্যাকবলিত কোম্পানিগুলোকে মূল বাজার থেকে সরিয়ে ফেলতেই ওটিসি বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ এসব কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন মূল বাজারকে প্রায়ই অস্থিতিশীল করে তোলে।’
আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া আরও জানান, দু-এক দিনের মধ্যেই কোম্পানিগুলোকে ওটিসি বাজারে নিয়ে যেতে আদেশ জারি করা হবে।
এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত ৬ সেপ্টেম্বর অনেক ঘটা করে ওটিসি বাজার চালু করা হয়। এ সময় বলা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে তালিকাচ্যুত কোম্পানির কাগজের শেয়ার ওটিসি বাজারে লেনদেন হবে। কিন্তু তালিকাচ্যুত প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগেরই আর কোনো অস্তিত্ব না থাকায় ওটিসি বাজারের ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রথম দিন থেকেই অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে লেনদেন স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলোকেও ওটিসি বাজারে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিচালকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে আদালতে মামলা থাকায় এসইসির পরামর্শে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় বছর দুয়েক ইউসিবির লেনদেন বন্ধ রয়েছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিয়োগ আটকে গেছে। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারে পরিচালকদের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
এ অবস্থায় পরিচালকদের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি করতেই কাগজে শেয়ার না হওয়া সত্ত্বেও ইউসিবিকে ওটিসিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এসইসির সূত্র জানিয়েছে। ওটিসি বাজারে এ কোম্পানিটির শেয়ার বিশেষ ব্যবস্থায় লেনদেন হবে।
জেড কোম্পানির শেয়ারে ঋণসুবিধা বন্ধ করা প্রসঙ্গে আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিরুত্সাহিত করতেই এসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি এসইসির একটি বড় দায়িত্ব।
আনোয়ারুল কবীর বলেন, যেসব কোম্পানির শ্রেণী পরিবর্তন হবে (অর্থাত্ ‘এ’ শ্রেণী থেকে ‘জেড’ শ্রেণী বা ‘জেড’ শ্রেণী থেকে ‘এ’ বা ‘বি’ শ্রেণীতে পরিবর্তন), সেসব কোম্পানির বিপরীতেও ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঋণসুবিধা দেওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান, খুব শিগগিরই তাঁরা একটি পৃথক মার্জিন রুল প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন।
এইসির বৈঠকে প্রাথমিক শেয়ারের (আইপিও) অকৃতকার্য আবেদনের টাকা সরাসরি আবেদনকারীদের ব্যাংক হিসাবে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কোম্পানি নিজ দায়িত্বে এ কাজ করবে। গ্রামীণফোনের আইপিও থেকেই বিনিয়োগকারীরা এ সুবিধা পাবেন। আবেদনের টাকা ফেরত পেতে বিনিয়োগকারীদের নানামুখী হয়রানি কমাতেই এসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
ম্যারিকো লেনদেন: এদিকে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এসইসির পরিচালক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপপরিচালক ইকবাল হোসেন ও রাকিবুর রহমান।
লেনদেন স্থগিত থাকা কোম্পানি
আল আমিন কেমিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ, আশরাফ টেক্সটাইলস, বাংলাদেশ কেমিক্যালস, বিডি ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, বাংলাদেশ জিপার, এক্সেলসিউর সু, গচিহাটা অ্যাকুয়াকালচার ফার্মস, জিএমজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন, ম্যাক এন্টারপ্রাইজেস, ম্যাক পেপার, মেটালেক্স করপোরেশন, মিতা টেক্সটাইল, মডার্ন সিমেন্ট, পদ্মা প্রিন্টার্স, কাশেম টেক্সটাইল, রহমান কেমিক্যালস, রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস, রোজ হেভেন বল পেন, সজীব নিটওয়্যার, সোনালি পেপার, শ্রীপুর টেক্সটাইল, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েস, ওয়াটা কেমিক্যালস, আরবি টেক্সটাইল, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার, বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস, ঈগল স্টার, লেক্সকো, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ফিনিক্স লেদার, টিউলিপ ডেইরি, বায়োনিক সি ফুড, মোনা ফুড, আনাম সি ফুড, কাশেম সিল্ক, এম হোসেন গার্মেন্টস, সালেহ কার্পেট, ডায়নামিক টেক্সটাইল, বাংলাদেশ ইলেকট্রিসিটি মিটার কোম্পানি, পারফিউম কেমিক্যালস, বাংলাদেশ লাগেজ ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক প্রভৃতি।
No comments