সেনাবাহিনীর সাঁতারুদের নিয়ে নাটক
এসএ গেমস কড়া নাড়ছে দুয়ারে। জোরেশোরেই চলছে সব খেলার প্রস্তুতি। কিন্তু এর মধ্যেও সাঁতারের কোরিয়ান কোচ পার্ক তে গুনকে কাল দেখা গেল খুব বিষণ্ন। মিরপুর সাঁতার কমপ্লেক্সের আবাসিক ক্যাম্পে ১৭ সাঁতারু যোগ দিলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮ জনই গরহাজির! সংবাদমাধ্যম এটা জেনে যাওয়ায় সন্ধ্যায়ই অবশ্য শাজাহান আলী রনিসহ সেনাবাহিনীর পাঁচজন সাঁতারু যোগ দিয়েছেন সাঁতার ক্যাম্পে।
ঈদের ছুটির পরই সেনাবাহিনীর শাজাহান আলী রনি, কামাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নিয়ামুল হক, সুজন আলী, বিপ্লব সরকার ও হাসান আলীর ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা কাল পর্যন্তও অনুশীলন চালিয়ে গেছেন সেনাবাহিনী সাঁতারপুলে।
কেন সেনাবাহিনীর সাঁতারুদের জাতীয় সাঁতার ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে না, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর সাঁতার দলের তত্ত্বাবধানে থাকা সেনা কর্মকর্তা মেজর আতিক জানান, সেনাবাহিনীর সাঁতারপুলের সুযোগ-সুবিধা মিরপুর সাঁতার কমপ্লেক্সের চেয়ে অনেক বেশি। মিরপুর সাঁতারপুলের আবাসিক ক্যাম্পের সাঁতারুরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিক দিয়ে সেনাবাহিনীর সাঁতারুরা সেনা সাঁতারপুলেই ভালো থাকেন। অভিযোগ তালিকায় খাবারের ব্যাপারটাও যোগ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, মিরপুর আবাসিক ক্যাম্পের খাবারের মান অনুন্নত। এমনকি সেখানে শীতকালে গরম পানির ব্যবস্থা নেই। ওই কর্মকর্তা মিরপুর সাঁতারপুল ঘুরে গিয়ে সেনাবাহিনীর ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কাছে সাঁতারুদের আর মিরপুরে না পাঠাতে সুপারিশ করেছেন বলে অভিযোগ সাঁতার ফেডারেশনের। এসব কারণেই সেনাবাহিনীর সাঁতারুদের মিরপুর ক্যাম্পে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তাদের ধারণা।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে করা অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন এসএ গেমসের দায়িত্বে থাকা ক্যাম্প কমান্ড্যান্ট এবং সাঁতার কোচ আমিরুল ইসলাম, ‘এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এখানে খাবারের মান খুবই ভালো। সাঁতারুরাও কেউ অসুস্থ নেই। তবে বিদ্যুতের একটু সমস্যা আছে। এটা তো জাতীয় সমস্যা। আর শীতকালে সব সময় গরম পানিতেই সাঁতারুরা অনুশীলন করে।’
ঈদের পর সপ্তাহখানেক পার হলেও এসব সাঁতারু ক্যাম্পে যোগ না দেওয়াতে বেশ উদ্বিগ্ন কোচ পার্ক। বিশেষ করে গত এসএ গেমসের সোনাজয়ী শাজাহান আলী রনিকে নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা তাঁর। পার্কের আক্ষেপ, ‘আপনাদের অভ্যন্তরীণ কোনো মতবিরোধ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলুন। কিন্তু আমার ছেলেদের এসবের ভেতরে না টেনে তাদের তাড়াতাড়ি ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনুন। দেশের কথা আগে ভাবুন।’ একই কথা কোচ আমিরুলেরও, ‘যেখানে একটা সোনা জিততে মাইক্রো সেকেন্ডের হিসাব করা হয়, সেখানে এক দিনের অনুশীলন ব্যাহত হলে সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। আমাদের হাতে রয়েছে মাত্র চার মাস। বাকি দিনগুলো তাই দেশের স্বার্থে, জাতীয় পতাকার স্বার্থে সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী সাঁতার কর্তৃপক্ষের অবস্থানের সমর্থনে মেজর আতিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কাল তাঁকে বারবার কল করলেও তিনি মুঠোফোন ধরেননি।
আবাসিক ক্যাম্প এবং পুল নিয়ে এই টানাপোড়েনের সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে আশা করছেন বিওএ মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ, ‘সাঁতারুদের ব্যাপারে কোচ যা বলবে সেটাই গ্রহণ করতে হবে। তার পরও বিষয়টা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করব আমরা। আশা করছি তাড়াতাড়ি সমস্যার সুরাহা হয়ে যাবে।’
ঈদের ছুটির পরই সেনাবাহিনীর শাজাহান আলী রনি, কামাল হোসেন, রেজাউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নিয়ামুল হক, সুজন আলী, বিপ্লব সরকার ও হাসান আলীর ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা কাল পর্যন্তও অনুশীলন চালিয়ে গেছেন সেনাবাহিনী সাঁতারপুলে।
কেন সেনাবাহিনীর সাঁতারুদের জাতীয় সাঁতার ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে না, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর সাঁতার দলের তত্ত্বাবধানে থাকা সেনা কর্মকর্তা মেজর আতিক জানান, সেনাবাহিনীর সাঁতারপুলের সুযোগ-সুবিধা মিরপুর সাঁতার কমপ্লেক্সের চেয়ে অনেক বেশি। মিরপুর সাঁতারপুলের আবাসিক ক্যাম্পের সাঁতারুরা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেদিক দিয়ে সেনাবাহিনীর সাঁতারুরা সেনা সাঁতারপুলেই ভালো থাকেন। অভিযোগ তালিকায় খাবারের ব্যাপারটাও যোগ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, মিরপুর আবাসিক ক্যাম্পের খাবারের মান অনুন্নত। এমনকি সেখানে শীতকালে গরম পানির ব্যবস্থা নেই। ওই কর্মকর্তা মিরপুর সাঁতারপুল ঘুরে গিয়ে সেনাবাহিনীর ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কাছে সাঁতারুদের আর মিরপুরে না পাঠাতে সুপারিশ করেছেন বলে অভিযোগ সাঁতার ফেডারেশনের। এসব কারণেই সেনাবাহিনীর সাঁতারুদের মিরপুর ক্যাম্পে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে তাদের ধারণা।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে করা অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন এসএ গেমসের দায়িত্বে থাকা ক্যাম্প কমান্ড্যান্ট এবং সাঁতার কোচ আমিরুল ইসলাম, ‘এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এখানে খাবারের মান খুবই ভালো। সাঁতারুরাও কেউ অসুস্থ নেই। তবে বিদ্যুতের একটু সমস্যা আছে। এটা তো জাতীয় সমস্যা। আর শীতকালে সব সময় গরম পানিতেই সাঁতারুরা অনুশীলন করে।’
ঈদের পর সপ্তাহখানেক পার হলেও এসব সাঁতারু ক্যাম্পে যোগ না দেওয়াতে বেশ উদ্বিগ্ন কোচ পার্ক। বিশেষ করে গত এসএ গেমসের সোনাজয়ী শাজাহান আলী রনিকে নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা তাঁর। পার্কের আক্ষেপ, ‘আপনাদের অভ্যন্তরীণ কোনো মতবিরোধ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলুন। কিন্তু আমার ছেলেদের এসবের ভেতরে না টেনে তাদের তাড়াতাড়ি ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনুন। দেশের কথা আগে ভাবুন।’ একই কথা কোচ আমিরুলেরও, ‘যেখানে একটা সোনা জিততে মাইক্রো সেকেন্ডের হিসাব করা হয়, সেখানে এক দিনের অনুশীলন ব্যাহত হলে সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। আমাদের হাতে রয়েছে মাত্র চার মাস। বাকি দিনগুলো তাই দেশের স্বার্থে, জাতীয় পতাকার স্বার্থে সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী সাঁতার কর্তৃপক্ষের অবস্থানের সমর্থনে মেজর আতিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কাল তাঁকে বারবার কল করলেও তিনি মুঠোফোন ধরেননি।
আবাসিক ক্যাম্প এবং পুল নিয়ে এই টানাপোড়েনের সুষ্ঠু সমাধান হবে বলে আশা করছেন বিওএ মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ, ‘সাঁতারুদের ব্যাপারে কোচ যা বলবে সেটাই গ্রহণ করতে হবে। তার পরও বিষয়টা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করব আমরা। আশা করছি তাড়াতাড়ি সমস্যার সুরাহা হয়ে যাবে।’
No comments