ইয়েমেন ও সোমালিয়া এখন আল-কায়েদার নতুন ঘাঁটি
যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পিছু হটে আল-কায়েদা বর্তমানে ইয়েমেনকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে। ইয়েমেনে আল-কায়েদার উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এখন হুমকির সম্মুখীন। একজন উচ্চপদস্থ মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গত বুধবার এ কথা বলেন।
সিনেটের এক শুনানিতে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সন্ত্রাস প্রতিরোধ কেন্দ্রের মহাপরিচালক মাইকেল লিটার বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে অব্যাহত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আল-কায়েদা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানি ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ অভিযান ত্বরান্বিত হওয়ায় আল-কায়েদার এত দিনের ঘাঁটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ তাদের জন্য নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। সে কারণে তারা ইয়েমেনের মাটিতে তাদের কার্যক্রম কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইয়েমেনে আল-কায়েদার অব্যাহত উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মাইকেল লিটার আরও বলেন, ইয়েমেনে আল-কায়েদার শক্তি বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। গত আগস্টে সৌদি আরবের সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফের ওপর বোমা হামলার পরিকল্পনা ইয়েমেনে করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সেই হামলায় নায়েফ অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
আল-কায়েদা বর্তমানে ইয়েমেন ছাড়াও সোমালিয়ার ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ‘শেবাব’-এর সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তুলে নানা রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরিকল্পনা করছে বলে মাইকেল লিটার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শেবাব সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণদের তাদের দলে অন্তর্ভুক্তির জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে যাচ্ছে। যেসব সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ সোমালিয়াতে বিভিন্ন কাজে যাচ্ছে, তাদের সোমালিয়ার জাতীয় স্বার্থের কথা বলে বিভ্রান্ত করে শেবাব দলভুক্ত করার চেষ্টা করছে।
আল-কায়েদা ইয়েমেন, সোমালিয়া ছাড়াও আফ্রিকার মালি, মৌরিতানিয়া প্রভৃতি দেশে নতুন নতুন ঘাঁটি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
সিনেটের এক শুনানিতে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সন্ত্রাস প্রতিরোধ কেন্দ্রের মহাপরিচালক মাইকেল লিটার বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে অব্যাহত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আল-কায়েদা দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানি ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ অভিযান ত্বরান্বিত হওয়ায় আল-কায়েদার এত দিনের ঘাঁটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ তাদের জন্য নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। সে কারণে তারা ইয়েমেনের মাটিতে তাদের কার্যক্রম কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইয়েমেনে আল-কায়েদার অব্যাহত উপস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মাইকেল লিটার আরও বলেন, ইয়েমেনে আল-কায়েদার শক্তি বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। গত আগস্টে সৌদি আরবের সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফের ওপর বোমা হামলার পরিকল্পনা ইয়েমেনে করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। সেই হামলায় নায়েফ অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
আল-কায়েদা বর্তমানে ইয়েমেন ছাড়াও সোমালিয়ার ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ‘শেবাব’-এর সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তুলে নানা রকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরিকল্পনা করছে বলে মাইকেল লিটার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শেবাব সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণদের তাদের দলে অন্তর্ভুক্তির জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে যাচ্ছে। যেসব সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন তরুণ সোমালিয়াতে বিভিন্ন কাজে যাচ্ছে, তাদের সোমালিয়ার জাতীয় স্বার্থের কথা বলে বিভ্রান্ত করে শেবাব দলভুক্ত করার চেষ্টা করছে।
আল-কায়েদা ইয়েমেন, সোমালিয়া ছাড়াও আফ্রিকার মালি, মৌরিতানিয়া প্রভৃতি দেশে নতুন নতুন ঘাঁটি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
No comments