হামাস-ইসরাইল সংঘাতের এক বছর পূর্ণ আজ, ভালো নেই গাজাবাসী
এতে বলা হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুঁতেরা বলেছেন- ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকারী সংগঠন হামাসের হামলায় সেদিন যে সকল আত্মা ‘ক্ষতবিক্ষত’ হয়েছিল তাদের সকলেকে স্মরণ করছি যারা সেদিন নিহত এবং ‘সহিংসতার’ শিকার হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আজ বিশ্ব ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য কণ্ঠস্বর জোরালো করার সময় এসেছে। এসময় তিনি হামাসের সমালোচনা করেন। এছাড়া জিম্মি আটকের ফলে হামাসের নিন্দাও জানিয়েছেন। জতিসংঘের প্রধান উল্লেখ করেছেন যে, ৭ই অক্টোবর থেকে মর্মান্তিক সহিংসতা ও রক্তপাত শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এক বছর আগে শুরু হওয়ার পর যে যুদ্ধ চলছে তা জীবনকে ছিন্নভিন্ন করে চলেছে। যাতে গাজার ফিলিস্তিনিদের এবং এখন লেবাননের জনগণের জন্য গভীর মানবিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন জিম্মিদের মুক্তির সময়। বন্দুক নামানোর সময়। এই অঞ্চলকে যে দুর্ভোগ গ্রাস করেছে তা শেষ করার সময়। শান্তি, আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের সময়।
তিনি ইসরাইল, ফিলিস্তিন এবং ওই অঞ্চলের সকল দেশকে শান্তি ও মর্যাদার সাথে এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধার সাথে বসবাস করতে সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রস্তাবকে লঙ্ঘন করে ইসরাইল গত ৭ই অক্টোবর থেকে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রেখেছে। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যার বেশির ভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরাইলের হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৭ হাজার মানুষ। ইসরাইলের হামলার ফলে গাজার প্রায় সকল বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খাদ্যহীন মানবেতর সময় পার করছে গাজার শিশু এবং নারীরা। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে একটি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য উভয়পক্ষকে রাজি করাতে বিস্তর চেষ্টাও করা হয়েছে। কিন্তু হামাস এবং ইসরাইলের কোনো পক্ষই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো মেনে চলতে সম্মত হয়নি।
No comments