৭ বছর বন্ধ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়াম: আ'লীগ নেতাদের দখলের দ্বন্দ্ব by আমিনুল ইসলাম লিটন
এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের মাঝে। এদিকে খেলাধুলা বা বড় ধরনের কোন প্রতিযোগিতার আয়োজন না থাকলেও ক্রীড়া সংস্থার খরচ থেমে নেই। ২০১৪ সালের ১০ই মে থেকে ২০২৪ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্রীড়া সংস্থার জনতা ব্যাংকে জমা হয় মোট ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের ২২শে সেপ্টম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। অন্যদিকে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকে ক্রীড়া সংস্থার আরেকটা অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের ১০ই জুন একটিতে ২ লাখ ও আর একটিতে ৪ লাখ দু’টি চেকের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এই টাকা কোন খাতে ব্যয় দেখিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে তার হিসাব জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নেই। দীর্ঘদিন আভ্যন্তরীণ অডিট না হওয়ায় ক্রীড়া খাতে বেশুমার লুটপাট হয়েছে এমন অভিযোগও তুলেছেন এলাকার খেলোয়াড়রা। ঝিমিয়ে পড়া ঝিনাইদহের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে জেলার সাবেক ফুটবলার ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আহসান উদ্দীন আফাঙ্গীর জানান, ক্রীড়া সংস্থার নেতৃত্ব পেশাদার খেলোয়াড়দের হাতে ফিরে না আসা পর্যন্ত এই মাঠে প্রাণবন্ত পরিবেশ আর ফিরে আসবে না। ঝিনাইদহবাসীর প্রাণের দাবি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন দিয়ে খেলার পরিবেশ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটি গঠন হলে কেবল জেলা ক্রীড়ায় প্রাণ ফিরতে পারে। এ জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম চলে গেলে আশা করা যায় ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়াম আবারো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। আবারো এই মাঠে খেলোয়াড়দের পদচারণা শুরু হবে।
No comments