রাশিয়ার বিরুদ্ধে ৯৩ যুদ্ধবন্দি হত্যার অভিযোগ ইউক্রেনের
এতে বলা হয়, প্রধান কৌসুলির কার্যালয়ের যে দপ্তর সশস্ত্র সংগ্রাম সংশ্লিষ্ট অপরাধের তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে, সে দপ্তরের প্রধান ইউরিই বেলৌসভ ৪ অক্টোবর টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক ওই সংখ্যাটি জানিয়েছেন। ইউক্রেনের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলকে একীভূত করেছে এমন একটি নেটওয়ার্ক হলো ইয়েদাইনাই নোভাইনি। এই নেটওয়ার্ককে বেলস বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যা করা হয়েছে এমন ৯৩ জন যুদ্ধবন্দির বিষয়ে এখন আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।’
বেলৌসভ জানান, এসব হত্যার ৮০ শতাংশই এ বছরের ঘটনা। তবে গত বছরের নভেম্বর থেকে এ ধরনের হত্যার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে, যখন আমাদের দেশের যুদ্ধবন্দিদের প্রতি রুশ সেনাসদস্যদের মনোভাবে নেতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়।
দপ্তরের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত একটি সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী ডনেটস্ক অঞ্চলের পোকরোভস্ক জেলার মাইকোলায়িভকা ও সুখিই ইয়ার গ্রামের কাছাকাছি জায়গায় রুশ বাহিনী সম্প্রতি ১৬ জন ‘যুদ্ধবন্দিকে’ হত্যা করেছে।
বেশ কয়েকটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় একটি জায়গা থেকে রুশ সেনাদের হাতে সদ্য আটক ইউক্রেনীয় সেনারা বের হয়ে আসছেন। ভিডিওর পরের অংশটি দেখে মনে হয়েছে, বন্দিদেরকে সারিবদ্ধ করে দাঁড়া করানোর পর রাশিয়ার সেনারা তাদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে। তারপর ভিডিওতে দেখা যায় রুশ সেনারা এগিয়ে এসে যারা শুধু আহত হয়েছিলেন, তাদেরকে আবারও কাছে থেকে মেশিনগান দিয়ে গুলি করছে। তবে এই ভিডিওগুলোর সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, আত্মসমর্পণ করা সেনাদের হত্যা করা যুদ্ধাপরাধের শামিল। ইউক্রেনের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার দ্যমিত্রো লুবিনেৎস জানান, তিনি জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি, উভয়ের সঙ্গে এই মৃত্যুর বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। এসব ঘটনায় জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের সময় বন্দিদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা যাবে ও যাবে না, তা নির্ধারণ করা হয়।
No comments