শুরু হলো শারদীয়া দুর্গোৎসব by সুদীপ অধিকারী
নীল-সাদা
আকাশ, ভোরের আবছা কুয়াশা, শ্বেতশুভ্র কাশফুলের দোলা, বাতাসে শিউলী ফুলের
ঘ্রাণ। প্রকৃতির এ শোভনীয় রূপের মোহনীয় সজ্জায়ই জানান দিচ্ছে শরতের আগমনী
বার্তা। সাথে নিয়ে এসেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া
দুর্গাপূজা। দুষ্টের বিনাশ ও সৃষ্টের পালন করতে বছর ঘুরে আবারও
দুর্গতিনাশিনী দশভুজা ‘দেবী দুর্গা’ এসেছেন আমাদের মাঝে।
আজ পবিত্র ষষ্ঠি তিথিতে অশ্বমেথ বৃক্ষের পূজার মাধ্যমে আবাহন করা হবে দেবী দুর্গার। ঢাক-ঢোল আর কাঁসার বাদ্যে দেবীর বোধন পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। সপ্তমী তিথিতে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণ সঞ্চার করা হয় দেবীর মৃন্ময়ীতে। পরদিন মহা অষ্টমী তিথিতে সনাতনী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সকলে দেবীকে দেয়া হবে পুষ্পাঞ্জলি।
এই দিনই হবে সন্ধীপূজা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হবে কুমারী পূজা। শাস্ত্রমতে, এদিন পূজিত কুমারী কন্যার নামকরণ করা হয় ‘উমা’। ভক্তদের মতে, এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। মূলত নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা। নবমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর মহা প্রসাদ বিতরণ করা হবে। সর্বশেষ দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। আর দেবীর এই আগমনকে ঘিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানী শহর ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের পূজা সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর বনানী দুর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারও প্রস্তুত করা হয়েছে মহামায়া দেবী দুর্গাসহ লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। বাহারি সব রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে এসব প্রতিমা। রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা আর নানা রঙের ডিজাইনের কাঠামো দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো পূজাঙ্গন। গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের যুগপূর্তি উপলক্ষে এবার দুর্গোৎসবকে ঘিরে থাকছে বিশেষ আয়োজন। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শুধাংশু কুমার দাস জানান, প্রতিবারের ন্যায় এবারো বনানী মাঠে শারদীয় উৎসব তথা দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে, ২০০৮ সাল থেকে আয়োজিত এই শারদীয় সমপ্রীতির ১২ বছর উপলক্ষে এবার বিশেষ আড়ম্বরের সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। ৪ঠা অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এ ছাড়াও মন্ত্রী, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ওইদিনই প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ থেকে ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত সন্ধ্যার পর আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। থাকবে সন্ধ্যারতি, ধূনচী নাচ। উদ্বোধনী দিনে ১২ জন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এরই মধ্যে দেবী দর্শনের জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হয়েছে।
এদিকে মিরপুর রোডস্থ কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরো একটি দুর্গাপূজা। রাস্তার দু’পাশসহ দুর্গাপূজাকে ঘিরে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জায় সেজেছে পুরো কলাবাগান এলাকা। দিনের আলোয় মোহনীয় রূপ ছড়ানো পূজামণ্ডপটি রাতেও আলোকচ্ছটা ছড়াচ্ছে পুরো এলাকায়। পূজাকে ঘিরে এখানেও বিশাল প্যান্ডেল করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। এরই মাঝে প্রতিমা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।
খামারবাড়ী কৃষি ইনস্টিটিউটের দুর্গাপূজা মণ্ডপেও একই চিত্র। খামারবাড়ী মোড়েও আলোকসজ্জা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্রবেশদ্বার। রাস্তার দু’ধার সাজানো হয়েছে লাল-নীল বাতি দিয়ে। নারী-পুরুষ উভয় দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমা আবার রেখে দেয়া হয় বছরজুড়ে। তাই এখানকার প্রতিমা তৈরিতে একটু বেশিই নজর দেয়া হয়। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রতিমার রঙ-তুলির আঁচড়। ত্রিশূল, চক্র, ঢাল-তলোয়ারসহ নানা অস্ত্রে সজ্জিত করা হয়েছে দশভূজা দেবী দুর্গাকে। জমকালো সাজে সাজানো হয়েছে পুরো ঢাকেশ্বরী মন্দিরের অন্দরবাহির।
এদিকে রামকৃষ্ণ মিশন, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, শাঁখারী বাজার, পশ্চিম ধানমন্ডির দুর্গা মন্দির, আখড়া মন্দির, ফার্মগেট, বনশ্রীসহ রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও জমকালোভাবে আয়োজন করা হয়েছে দেবী দুর্গাপূজা। পঞ্জিকা মতে জানা গেছে, এবার মা আসছেন ঘোটকে বা ঘোড়ায় চেপে। দশমীর দিন তিনি কৈলাশে ফিরেও যাবেন ঘোড়ায় চেপে। অর্থাৎ এই বছরে দেবীর আগমন ও গমন ঘোটকে। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতেরা বলছেন, দেবীর ঘোড়ায় আগমন ও গমন মর্ত্যবাসীর জন্য মোটেই শুভকর নয়।
পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। সারা দেশে ৩১ হাজার একশ’টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রাজধানীতে ২৩৭টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চলছে। যা আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি। তবে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে থাকছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। এছাড়া রাজধানী রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, বনানী মাঠ, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, কলাবাগান মাঠ এবং সিদ্ধেশ্বরী পূজামণ্ডপসহ দেশের বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে চণ্ডীপাঠ, দেবীর আবাহনী সংগীত, ধর্মীয় আলোচনা সভা এবং ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান আয়োজন থাকবে। তিনি আরো বলেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মন্দিরের পাশাপাশি সারা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সারা দেশে ৫ই অক্টোবর থেকে মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে তিন লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
আজ পবিত্র ষষ্ঠি তিথিতে অশ্বমেথ বৃক্ষের পূজার মাধ্যমে আবাহন করা হবে দেবী দুর্গার। ঢাক-ঢোল আর কাঁসার বাদ্যে দেবীর বোধন পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। সপ্তমী তিথিতে চক্ষুদানের মধ্য দিয়ে প্রাণ সঞ্চার করা হয় দেবীর মৃন্ময়ীতে। পরদিন মহা অষ্টমী তিথিতে সনাতনী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ সকলে দেবীকে দেয়া হবে পুষ্পাঞ্জলি।
এই দিনই হবে সন্ধীপূজা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করে হবে কুমারী পূজা। শাস্ত্রমতে, এদিন পূজিত কুমারী কন্যার নামকরণ করা হয় ‘উমা’। ভক্তদের মতে, এটি একাধারে ঈশ্বরের উপাসনা, মানববন্দনা আর নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। মূলত নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বর আরাধনাই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা। নবমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর মহা প্রসাদ বিতরণ করা হবে। সর্বশেষ দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। আর দেবীর এই আগমনকে ঘিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজধানী শহর ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের পূজা সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর বনানী দুর্গা মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারও প্রস্তুত করা হয়েছে মহামায়া দেবী দুর্গাসহ লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশসহ বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা। বাহারি সব রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে এসব প্রতিমা। রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা আর নানা রঙের ডিজাইনের কাঠামো দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো পূজাঙ্গন। গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের যুগপূর্তি উপলক্ষে এবার দুর্গোৎসবকে ঘিরে থাকছে বিশেষ আয়োজন। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শুধাংশু কুমার দাস জানান, প্রতিবারের ন্যায় এবারো বনানী মাঠে শারদীয় উৎসব তথা দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে, ২০০৮ সাল থেকে আয়োজিত এই শারদীয় সমপ্রীতির ১২ বছর উপলক্ষে এবার বিশেষ আড়ম্বরের সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। ৪ঠা অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। এ ছাড়াও মন্ত্রী, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ওইদিনই প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ থেকে ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত সন্ধ্যার পর আলোচনা অনুষ্ঠান, প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে। থাকবে সন্ধ্যারতি, ধূনচী নাচ। উদ্বোধনী দিনে ১২ জন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। এরই মধ্যে দেবী দর্শনের জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হয়েছে।
এদিকে মিরপুর রোডস্থ কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরো একটি দুর্গাপূজা। রাস্তার দু’পাশসহ দুর্গাপূজাকে ঘিরে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জায় সেজেছে পুরো কলাবাগান এলাকা। দিনের আলোয় মোহনীয় রূপ ছড়ানো পূজামণ্ডপটি রাতেও আলোকচ্ছটা ছড়াচ্ছে পুরো এলাকায়। পূজাকে ঘিরে এখানেও বিশাল প্যান্ডেল করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। এরই মাঝে প্রতিমা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।
খামারবাড়ী কৃষি ইনস্টিটিউটের দুর্গাপূজা মণ্ডপেও একই চিত্র। খামারবাড়ী মোড়েও আলোকসজ্জা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্রবেশদ্বার। রাস্তার দু’ধার সাজানো হয়েছে লাল-নীল বাতি দিয়ে। নারী-পুরুষ উভয় দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমা আবার রেখে দেয়া হয় বছরজুড়ে। তাই এখানকার প্রতিমা তৈরিতে একটু বেশিই নজর দেয়া হয়। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রতিমার রঙ-তুলির আঁচড়। ত্রিশূল, চক্র, ঢাল-তলোয়ারসহ নানা অস্ত্রে সজ্জিত করা হয়েছে দশভূজা দেবী দুর্গাকে। জমকালো সাজে সাজানো হয়েছে পুরো ঢাকেশ্বরী মন্দিরের অন্দরবাহির।
এদিকে রামকৃষ্ণ মিশন, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, শাঁখারী বাজার, পশ্চিম ধানমন্ডির দুর্গা মন্দির, আখড়া মন্দির, ফার্মগেট, বনশ্রীসহ রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও জমকালোভাবে আয়োজন করা হয়েছে দেবী দুর্গাপূজা। পঞ্জিকা মতে জানা গেছে, এবার মা আসছেন ঘোটকে বা ঘোড়ায় চেপে। দশমীর দিন তিনি কৈলাশে ফিরেও যাবেন ঘোড়ায় চেপে। অর্থাৎ এই বছরে দেবীর আগমন ও গমন ঘোটকে। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতেরা বলছেন, দেবীর ঘোড়ায় আগমন ও গমন মর্ত্যবাসীর জন্য মোটেই শুভকর নয়।
পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। সারা দেশে ৩১ হাজার একশ’টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রাজধানীতে ২৩৭টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি চলছে। যা আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি। তবে এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ঢাকেশ্বরী মন্দিরে থাকছে বর্ণাঢ্য আয়োজন। এছাড়া রাজধানী রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, বনানী মাঠ, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, কলাবাগান মাঠ এবং সিদ্ধেশ্বরী পূজামণ্ডপসহ দেশের বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে চণ্ডীপাঠ, দেবীর আবাহনী সংগীত, ধর্মীয় আলোচনা সভা এবং ভক্তিমূলক গানের অনুষ্ঠান আয়োজন থাকবে। তিনি আরো বলেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মন্দিরের পাশাপাশি সারা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সারা দেশে ৫ই অক্টোবর থেকে মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে তিন লাখ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
No comments