ফের বাণিজ্য দ্বৈরথে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ
ইউরোপিয়ান
ইউনিয়ন (ইইউ)-এর ৭৫০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্র। বিমান নির্মাতা দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ও
বোয়িং-এর মধ্যে ১৫ বছরের আইনি লড়াইকে কেন্দ্র করেই এই শুল্ক আরোপের প্রসঙ্গ
আসছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও) যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে
অনুমতি দিয়েছে। কার্যকর হলে ইইউ থেকে বিমানের যন্ত্রাংশ ও বিলাসবহুল
পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইইউ থেকে বলা হয়েছে, এটি হবে
একটি অপরিণামাদর্শি সিদ্ধান্ত যা বিপরীত ফল বয়ে আনবে। মূলত, এয়ারবাসকে
অবৈধ সহায়তা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে ১১০০ কোটি ডলারের
আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করতে চেয়েছিল। তবে ডব্লিউটিওর রায়ে তা কিছুটা
হ্রাস করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
তবে ডব্লিউটিও থেকে সবুজ সংকেত পেলেও দুই পক্ষই অপেক্ষা করছে আরেকটি মামলার রায়ের জন্য।
ইউরোপিয়ান কমিশনও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বোয়িংকে সহায়তা প্রদানের অভিযোগে ডব্লিউটিওতে মামলা দায়ের করেছে। আগামী বছর ওই রায় আসতে পারে।
ইউরোপিয়ান কমিশন অবশ্য বলছে উভয় পক্ষের বসে সমঝোতায় আসা উচিত। কমিশন থেকে বলা হয়েছে, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতা না করে ডব্লিউটিও-এর অনুমোদনকৃত পাল্টা পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমাদেরও সেরকম পদক্ষেপ নেওয়া ব্যতীত পথ থাকবে না।’ এয়ারবাসের প্রধান নির্বাহী জিলাওমে ফরিও সমঝোতার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, শুল্ক আরোপ করা হলে তা মুক্ত বাণিজ্যের প্রতি বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া শুধু মার্কিন এয়ারলাইনের ওপরই নয়, আমেরিকায় বহু মানুষের চাকরি, সরবরাহদাতা ও বিমান ভ্রমণকারীদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এয়ারবাস বলছে, তাদের বিমান-সম্পর্কিত ক্রয়ের ৪০ শতাংশই হয়ে থাকে মার্কিন যন্ত্রাংশ সরবরাহদাতাদের কাছ থেকে। এর ফলে ৪০টি অঙ্গরাজ্যে ২ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিনির কর্মসংস্থানে তা সহায়ক হয়েছে।
বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে অস্থিরতা বাড়ছে। স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপ যেমন ছিল, তেমনি চীনের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অবশ্য দ্রুতই ঘোষণা দিয়েছে যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করতে চায়, তাহলে ইইউ-ও একই ধরণের পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। আগামী বছরের দিকেই কিন্তু বোয়িং-এর বিরুদ্ধে ইউরোপের মামলার রায় আসবে।
যদি তেমনটাই হয়, তাহলে আটলান্টিকের উভয় পাড়ের নাগরিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত আসবে।
এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘শুল্কের আশ্রয় নিলে যুক্তরাজ্য, ইইউ বা যুক্তরাষ্ট্র- কারো স্বার্থের পক্ষে যাবে না। আমরা এয়ারবাস ও বোয়িং ইস্যুতে মার্কিন, ইইউ ও ইউরোপিয়ান অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে সমঝোতার জন্য কাজ করছি।’ ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ওই রায়ের পর বলেছেন, ইউরোপিয়ান আংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে তার দেশ দৃঢ়ভাবে জবাব দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, বোয়িং/এয়ারবাস নিয়ে দ্বন্দ্ব বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে সমাধা করাই সবচেয়ে ভালো সমাধান। কেননা, আগামী বছর ইউরোপও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করতে পারে।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত এসেছে যার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এয়ারবাস আক্রান্ত হবে। আমরা দেখবো আমেরিকানরা কী প্রতিক্রিয়া দেখাতে চায়।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির ওপর ডনাল্ড ট্রাম্প যেসব শুল্ক আরোপ করে চলছেন, তার সঙ্গে এই বিষয়টি আলাদা। ট্রাম্পের শুল্ক মূলত আরোপিত হয় ২০১৮ সালের মার্চে। তার প্রশাসন তখন স্টিল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্তের পর হুইস্কি, মোটরসাইকেল ও কমলার জুস সহ ২৮০ কোটি ডলার মূল্যের বিভিন্ন মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক প্রয়োগ করে ইইউ।
তবে ডব্লিউটিও থেকে সবুজ সংকেত পেলেও দুই পক্ষই অপেক্ষা করছে আরেকটি মামলার রায়ের জন্য।
ইউরোপিয়ান কমিশনও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বোয়িংকে সহায়তা প্রদানের অভিযোগে ডব্লিউটিওতে মামলা দায়ের করেছে। আগামী বছর ওই রায় আসতে পারে।
ইউরোপিয়ান কমিশন অবশ্য বলছে উভয় পক্ষের বসে সমঝোতায় আসা উচিত। কমিশন থেকে বলা হয়েছে, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতা না করে ডব্লিউটিও-এর অনুমোদনকৃত পাল্টা পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমাদেরও সেরকম পদক্ষেপ নেওয়া ব্যতীত পথ থাকবে না।’ এয়ারবাসের প্রধান নির্বাহী জিলাওমে ফরিও সমঝোতার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, শুল্ক আরোপ করা হলে তা মুক্ত বাণিজ্যের প্রতি বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া শুধু মার্কিন এয়ারলাইনের ওপরই নয়, আমেরিকায় বহু মানুষের চাকরি, সরবরাহদাতা ও বিমান ভ্রমণকারীদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এয়ারবাস বলছে, তাদের বিমান-সম্পর্কিত ক্রয়ের ৪০ শতাংশই হয়ে থাকে মার্কিন যন্ত্রাংশ সরবরাহদাতাদের কাছ থেকে। এর ফলে ৪০টি অঙ্গরাজ্যে ২ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিনির কর্মসংস্থানে তা সহায়ক হয়েছে।
বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ে অস্থিরতা বাড়ছে। স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপ যেমন ছিল, তেমনি চীনের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অবশ্য দ্রুতই ঘোষণা দিয়েছে যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করতে চায়, তাহলে ইইউ-ও একই ধরণের পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। আগামী বছরের দিকেই কিন্তু বোয়িং-এর বিরুদ্ধে ইউরোপের মামলার রায় আসবে।
যদি তেমনটাই হয়, তাহলে আটলান্টিকের উভয় পাড়ের নাগরিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত আসবে।
এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘শুল্কের আশ্রয় নিলে যুক্তরাজ্য, ইইউ বা যুক্তরাষ্ট্র- কারো স্বার্থের পক্ষে যাবে না। আমরা এয়ারবাস ও বোয়িং ইস্যুতে মার্কিন, ইইউ ও ইউরোপিয়ান অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে সমঝোতার জন্য কাজ করছি।’ ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ওই রায়ের পর বলেছেন, ইউরোপিয়ান আংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে তার দেশ দৃঢ়ভাবে জবাব দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, বোয়িং/এয়ারবাস নিয়ে দ্বন্দ্ব বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে সমাধা করাই সবচেয়ে ভালো সমাধান। কেননা, আগামী বছর ইউরোপও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করতে পারে।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত এসেছে যার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এয়ারবাস আক্রান্ত হবে। আমরা দেখবো আমেরিকানরা কী প্রতিক্রিয়া দেখাতে চায়।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির ওপর ডনাল্ড ট্রাম্প যেসব শুল্ক আরোপ করে চলছেন, তার সঙ্গে এই বিষয়টি আলাদা। ট্রাম্পের শুল্ক মূলত আরোপিত হয় ২০১৮ সালের মার্চে। তার প্রশাসন তখন স্টিল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্তের পর হুইস্কি, মোটরসাইকেল ও কমলার জুস সহ ২৮০ কোটি ডলার মূল্যের বিভিন্ন মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক প্রয়োগ করে ইইউ।
No comments