স্বপ্নভঙ্গ হবে ডাক্তার মু-চুন চিয়াংয়ের!
২৭
বছর বয়সী ডাক্তার মু-চুন চিয়াং। তিনি জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন
বৃটেনে। এখন তাকে বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
তাতে তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃটেন ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। তা নাহলে তাকে তার
নিজের জন্মভূমি তাইওয়ানে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এমন
অবস্থায় তিনি আইনি সহায়তা চেয়েছেন। মু-চুন চিয়াং বৃটেনে পাড়ি জমান সেই ২০০৬
সালে। তাইওয়ান থেকে তিনি কেমব্রিজে পড়তে গিয়েছিলেন।
তার আগে তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পিতামাতার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন গ্লাসগোতে। এখন ১৩ বছরের বেশি বৃটেনে থাকার পর তাকে বলা হচ্ছে দেশ ছাড়তে। তিনি নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। তা প্রত্যাখ্যান করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উল্টো তাকে বলা হয়েছে, বৃটেন ছেড়ে না গেলে তার ৬ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেয়া হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে এমন চিঠি পাওয়ার পর ডাক্তার মু-চুন চিয়াং-এর বন্ধু মিনা মেসরি তাকে বৃটেনে অবস্থানের অনুমতি দেয়ার দাবিতে একটি পিটিশন করেছেন অনলাইনে। তাতে কয়েক দিনের মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ। মু-চুন চিয়াং এখন এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ খুঁজছেন। তিনি বলেছেন, আমি জীবনের বড় অংশ কাটিয়েছি বৃটেনে। এখন আমাকে তাইওয়ানে ফেরত পাঠলে সেখানে একটি ভিন্ন পরিবেশ পাবো। তাতে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবো না। যখন বৃটেনে এসেছি তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। তাই আমি বৃটেন ছেড়ে যেতে চাই না। আমার পরিবার যদিও তাইওয়ানে, তবু আমি বৃটেনের সঙ্গে মিশে গিয়েছি। আমি এ দেশক আমার নিজের দেশ ভাবি। আমি মানুষদের সাহায্য করে আনন্দ পাই।
কেমব্রিজে জিসিএসই এবং এ-লেভেল সম্পন্ন করার পর মেডিকেল ডিগ্রি নিতে ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলে যান মু-চুন চিয়াং। তারপর তিনি লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এমএ অর্জন করেন। এ ছাড়া চেতেনহ্যাম জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড গ্লুচেস্টার রয়েল হাসপাতালে দু’বছরের ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। সম্প্রতি তিনি জিপি ট্রেনিংয়ের জন্য ফিরেছেন লিভারপুরে। পাশাপাশি এইনট্রি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে শিফটে কাজ করছেন। এতসব কাজ নিয়ে যিনি আছেন সেই ডাক্তারের ভিসা আবেদন ভুল বোঝাবুঝির জন্য প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
২০০৬ সাল থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত তিনি বৃটেনে অবস্থান করছিলেন স্টুডেন্ট ভিসায়। কিন্তু বৃটেনে থাকতে হলে তাকে একটি ওয়ার্কিং ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। তিনি জুনে এমন আবেদন করেন। এক্ষেত্রে স্পন্সর সার্টিফিকেট যোগ করেন হেলথ এডুকেশন ইংল্যান্ড থেকে। কিন্তু আগস্টের আগে পর্যন্ত তিনি এতে জটিলতা বুঝতে পারেন নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রমাণ করে যে, আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে তার ব্যাংক একাউন্টে কমপক্ষে ৯৪৫ পাউন্ড ছিল। কিন্তু তার কারেন্ট একাউন্টে এই ব্যালেন্স কমে এসে দাঁড়ায় ৯৪৫ পাউন্ডের নিচে। তিনি বলেন, তার সেভিংস একাউন্টে এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ জমা ছিল। এক্ষেত্রে তিনি শুধু নিজের কারেন্ট একাউন্টের স্টেটমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। তাতে ৯৪৫ পাউন্ডের নিচে অর্থ থাকার ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এর কয়েকদিনের মধ্যে তিনি তার সেভিংস ব্যাংকের স্টেটমেন্ট নিয়ে আপিল করেন। কিন্তু কোনো কাজ হয় নি। ফলে ২৭ শে সেপ্টেম্বর তাকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেয়া হয়। বলা হয়, ৭ দিনের মধ্যে নিজের দেশে ফিরে যেতে হবে তাকে।
তার আগে তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পিতামাতার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন গ্লাসগোতে। এখন ১৩ বছরের বেশি বৃটেনে থাকার পর তাকে বলা হচ্ছে দেশ ছাড়তে। তিনি নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। তা প্রত্যাখ্যান করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উল্টো তাকে বলা হয়েছে, বৃটেন ছেড়ে না গেলে তার ৬ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এ খবর দেয়া হয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে এমন চিঠি পাওয়ার পর ডাক্তার মু-চুন চিয়াং-এর বন্ধু মিনা মেসরি তাকে বৃটেনে অবস্থানের অনুমতি দেয়ার দাবিতে একটি পিটিশন করেছেন অনলাইনে। তাতে কয়েক দিনের মধ্যে স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ। মু-চুন চিয়াং এখন এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ খুঁজছেন। তিনি বলেছেন, আমি জীবনের বড় অংশ কাটিয়েছি বৃটেনে। এখন আমাকে তাইওয়ানে ফেরত পাঠলে সেখানে একটি ভিন্ন পরিবেশ পাবো। তাতে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবো না। যখন বৃটেনে এসেছি তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। তাই আমি বৃটেন ছেড়ে যেতে চাই না। আমার পরিবার যদিও তাইওয়ানে, তবু আমি বৃটেনের সঙ্গে মিশে গিয়েছি। আমি এ দেশক আমার নিজের দেশ ভাবি। আমি মানুষদের সাহায্য করে আনন্দ পাই।
কেমব্রিজে জিসিএসই এবং এ-লেভেল সম্পন্ন করার পর মেডিকেল ডিগ্রি নিতে ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলে যান মু-চুন চিয়াং। তারপর তিনি লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এমএ অর্জন করেন। এ ছাড়া চেতেনহ্যাম জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড গ্লুচেস্টার রয়েল হাসপাতালে দু’বছরের ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। সম্প্রতি তিনি জিপি ট্রেনিংয়ের জন্য ফিরেছেন লিভারপুরে। পাশাপাশি এইনট্রি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে শিফটে কাজ করছেন। এতসব কাজ নিয়ে যিনি আছেন সেই ডাক্তারের ভিসা আবেদন ভুল বোঝাবুঝির জন্য প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
২০০৬ সাল থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত তিনি বৃটেনে অবস্থান করছিলেন স্টুডেন্ট ভিসায়। কিন্তু বৃটেনে থাকতে হলে তাকে একটি ওয়ার্কিং ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। তিনি জুনে এমন আবেদন করেন। এক্ষেত্রে স্পন্সর সার্টিফিকেট যোগ করেন হেলথ এডুকেশন ইংল্যান্ড থেকে। কিন্তু আগস্টের আগে পর্যন্ত তিনি এতে জটিলতা বুঝতে পারেন নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রমাণ করে যে, আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে তার ব্যাংক একাউন্টে কমপক্ষে ৯৪৫ পাউন্ড ছিল। কিন্তু তার কারেন্ট একাউন্টে এই ব্যালেন্স কমে এসে দাঁড়ায় ৯৪৫ পাউন্ডের নিচে। তিনি বলেন, তার সেভিংস একাউন্টে এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ জমা ছিল। এক্ষেত্রে তিনি শুধু নিজের কারেন্ট একাউন্টের স্টেটমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। তাতে ৯৪৫ পাউন্ডের নিচে অর্থ থাকার ফলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এর কয়েকদিনের মধ্যে তিনি তার সেভিংস ব্যাংকের স্টেটমেন্ট নিয়ে আপিল করেন। কিন্তু কোনো কাজ হয় নি। ফলে ২৭ শে সেপ্টেম্বর তাকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেয়া হয়। বলা হয়, ৭ দিনের মধ্যে নিজের দেশে ফিরে যেতে হবে তাকে।
No comments