ভয়াবহ গ্যাং ইয়াকুজা: নিজের মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে যাদের অন্ধকার জগত
জাপানের
ভয়াবহ এক গ্যাং জাপান’স ইয়াকুজা। এ চক্রটি এতটাই দুর্ধর্ষ যে তারা নিজেদের
কিশোরী মেয়ে, স্ত্রীদের দিয়ে দেহব্যবসা পর্যন্ত করাতে দ্বিধাবোধ করে না।
কখনো তারা গণহত্যা চালায়। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবসা করে। এমনই এক
অন্ধকার জগতের কাহিনী ফুটে উঠেছে লন্ডনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন
সংস্করণে। সেখানে শোকো টেনডো নামের একজন যুবতীর কাহিনী দিয়ে শুরু করা
হয়েছে। তার পিতা হিরোইয়াসু টেনডো ওই চক্রটির একজন সদস্য। শোকো টেনডোর শরীরে
এখনও প্রহারের চিহ্ন।
তাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর আঁচড় এখনো তার গায়ে। শোকো টেনডো যখন টিনেজার তখনই এক জীর্ণশীর্ণ হোটেলরুমে তাকে ধর্ষণ করেছে তার পিতারই অপরাধচক্রের সহযোগীরা। এই ধারা অব্যাহত ছিল। তাকে যৌন দাসী হতে বাধ্য করে তার পিতা। এভাবে ৫ বছর চলেছে। তারপর সেখান থেকে পালিয়েছেন শোকো টেনডো।
জাপান’স ইয়াকুজা গ্যাংয়ের রয়েছে ৩৫০০০ শক্তিশালী সদস্য। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করে না। তবে সম্প্রতি মনে হচ্ছিল তাদের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু এ সপ্তাহে টোকিওর এক বিনোদন এলাকায় এই চক্রের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কয়েক ডজন পর্যটকের সামনে। এ দৃশ্য দেখে পর্যটকরা ভীত শঙ্কিত হয়ে ওঠেন।
ইয়াকুজা অপরাধী চক্রের কাছে নিজের মেয়ে বা স্ত্রীর কোনো মর্যাদা নেই। স্ত্রী বা নিজের মেয়েকেও মাঝে মাঝে তারা পতিতা বানিয়ে ফেলে। এসব নিয়ে নিজের স্মৃতিকথা লিখেছেন শোকো টেনডো। এতে তিনি বলেছেন, শোকো টেনডোকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করার অনুমতি দিয়েছে তার অপরাধী পিতা। ওইসব ধর্ষক অন্য কেউ নয়। তারা তার পিতা হিরোইয়াসুর সহযোগী। হোটেল রুমে তাকে রক্তাক্ত করে ফেলে যেতো ওইসব অপরাধী। শরীরে থাকতো থেঁতলে যাওয়া দাগ। এর ফলে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন শোকো টেনডো। এ সময় তাকে নিয়মিতভাবে ওই মাদক তাকে সরবরাহ করতো ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ছাড়া শোকো টেনডোকে ভয়াবহভাবে প্রহার করতো ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। এতে তার হাড় ভেঙে যেত। শোকো টেনডো বলেছেন, যখনই কোনো নতুন পুরুষ আসতো আমার কাছে প্রতিবারই মনে করতাম সে বুঝি একটু ভিন্ন হবে। কিন্তু না। তাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন নেই।
শোকো টেনডোর বয়স এখন ৫০ এর কোটায়। তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করে শরীরের ক্ষতগুলো ঢেকে ফেলেছেন। তবে এখনও তার শরীরে ও মনের ভিতর রয়ে গেছে দগদগে ঘা।
মনে করা হয় ইয়াকুজারা জাপানে যৌন বাণিজ্য চালু করেছে। সেখানে তারা ভিসা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের প্রলুব্ধ করে নিয়ে যায়। তারপর তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে ঋণ শোধের জন্য পতিতাপল্লীতে কাজ করতে বাধ্য করে।
এক জরিপে দেখা গেছে, জাপানের শতকরা ৫০ ভাগ পুরুষ যৌন সুবিধা নেয়ার জন্য অর্থ খরচ করেছেন। শতকরা ৭৫ ভাগ জুনিয়র ও হাই স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মধ্যবয়সী পুরুষের শিকারে পরিণত হয়েছে। এসব কাজের জন্য যে পতিতাপল্লী এ নেটওয়ার্কের তা শুধু জাপানেই সীমাবদ্ধ এমন নয়। এর বিস্তার ঘটেছে কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনেও। এসব দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী উড়ে যান ‘সেক্স পার্টি’তে যোগ দেয়ার জন্য।
এখন পর্যন্ত ইয়াকুজা গোষ্ঠীতে একজন মাত্র নারী নেত্রীর খবর পাওয়া গেছে। তার নাম ফুমিকো টাওকা। তার স্বামী কাজুও টাওকা ছিলেন গ্যাং। তিনিও এ ব্যবসা করতেন। তিনি তারা যাওয়ার পর গ্যাংয়ের হাল ধরেন ফুমিকো। ১৯৮৪ সালে তিনি এ ব্যবসা চালানোর জন্য একজন পুরুষকে নিয়োজিত করেন। তার আগে পর্যন্ত তিনিই চালাতেন সব।
(বাকি অংশ আগামীকাল)
তাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। এর আঁচড় এখনো তার গায়ে। শোকো টেনডো যখন টিনেজার তখনই এক জীর্ণশীর্ণ হোটেলরুমে তাকে ধর্ষণ করেছে তার পিতারই অপরাধচক্রের সহযোগীরা। এই ধারা অব্যাহত ছিল। তাকে যৌন দাসী হতে বাধ্য করে তার পিতা। এভাবে ৫ বছর চলেছে। তারপর সেখান থেকে পালিয়েছেন শোকো টেনডো।
জাপান’স ইয়াকুজা গ্যাংয়ের রয়েছে ৩৫০০০ শক্তিশালী সদস্য। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করে না। তবে সম্প্রতি মনে হচ্ছিল তাদের সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু এ সপ্তাহে টোকিওর এক বিনোদন এলাকায় এই চক্রের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কয়েক ডজন পর্যটকের সামনে। এ দৃশ্য দেখে পর্যটকরা ভীত শঙ্কিত হয়ে ওঠেন।
ইয়াকুজা অপরাধী চক্রের কাছে নিজের মেয়ে বা স্ত্রীর কোনো মর্যাদা নেই। স্ত্রী বা নিজের মেয়েকেও মাঝে মাঝে তারা পতিতা বানিয়ে ফেলে। এসব নিয়ে নিজের স্মৃতিকথা লিখেছেন শোকো টেনডো। এতে তিনি বলেছেন, শোকো টেনডোকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করার অনুমতি দিয়েছে তার অপরাধী পিতা। ওইসব ধর্ষক অন্য কেউ নয়। তারা তার পিতা হিরোইয়াসুর সহযোগী। হোটেল রুমে তাকে রক্তাক্ত করে ফেলে যেতো ওইসব অপরাধী। শরীরে থাকতো থেঁতলে যাওয়া দাগ। এর ফলে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন শোকো টেনডো। এ সময় তাকে নিয়মিতভাবে ওই মাদক তাকে সরবরাহ করতো ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ছাড়া শোকো টেনডোকে ভয়াবহভাবে প্রহার করতো ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। এতে তার হাড় ভেঙে যেত। শোকো টেনডো বলেছেন, যখনই কোনো নতুন পুরুষ আসতো আমার কাছে প্রতিবারই মনে করতাম সে বুঝি একটু ভিন্ন হবে। কিন্তু না। তাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন নেই।
শোকো টেনডোর বয়স এখন ৫০ এর কোটায়। তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করে শরীরের ক্ষতগুলো ঢেকে ফেলেছেন। তবে এখনও তার শরীরে ও মনের ভিতর রয়ে গেছে দগদগে ঘা।
মনে করা হয় ইয়াকুজারা জাপানে যৌন বাণিজ্য চালু করেছে। সেখানে তারা ভিসা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের প্রলুব্ধ করে নিয়ে যায়। তারপর তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে ঋণ শোধের জন্য পতিতাপল্লীতে কাজ করতে বাধ্য করে।
এক জরিপে দেখা গেছে, জাপানের শতকরা ৫০ ভাগ পুরুষ যৌন সুবিধা নেয়ার জন্য অর্থ খরচ করেছেন। শতকরা ৭৫ ভাগ জুনিয়র ও হাই স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মধ্যবয়সী পুরুষের শিকারে পরিণত হয়েছে। এসব কাজের জন্য যে পতিতাপল্লী এ নেটওয়ার্কের তা শুধু জাপানেই সীমাবদ্ধ এমন নয়। এর বিস্তার ঘটেছে কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনেও। এসব দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশী উড়ে যান ‘সেক্স পার্টি’তে যোগ দেয়ার জন্য।
এখন পর্যন্ত ইয়াকুজা গোষ্ঠীতে একজন মাত্র নারী নেত্রীর খবর পাওয়া গেছে। তার নাম ফুমিকো টাওকা। তার স্বামী কাজুও টাওকা ছিলেন গ্যাং। তিনিও এ ব্যবসা করতেন। তিনি তারা যাওয়ার পর গ্যাংয়ের হাল ধরেন ফুমিকো। ১৯৮৪ সালে তিনি এ ব্যবসা চালানোর জন্য একজন পুরুষকে নিয়োজিত করেন। তার আগে পর্যন্ত তিনিই চালাতেন সব।
(বাকি অংশ আগামীকাল)
No comments