ভেনিজুয়েলায় বিরোধী নেতার নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা: যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রাশিয়ার হুঁশিয়ারি
লাতিন
আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে। দেশটির
সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ভবিষ্যৎ
নিয়ে এক অস্থির পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতা হুয়ান
গাইডো নিজেকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করায় এ সংকট
আরো তীব্র হয়েছে। গাইডোর এমন ঘোষণাকে অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করেছে
মাদুরো সরকার। একই সঙ্গে তাকে জেল দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে
অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, গত বছর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হয়। পশ্চিমা বহু দেশ নির্বাচিত সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
তারপরও ১০ই জানুয়ারি নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেন নিকোলাস মাদুরো। তবে ঘটনাটি আরো প্যাঁচ খায় বুধবার যখন হুয়ান গাইডো তার নেতাকর্মী সমর্থকদের সামনে নিজে নিজেই শপথ নিয়ে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তখন। আর তাকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন মাদুরো। পাশাপাশি তার দেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের ভেনিজুয়েলা ছেড়ে যেতে সময় দেন ৭২ ঘণ্টা। মাদুরো বলেন, তারা চায় ভেনিজুয়েলা ওয়াশিংটন থেকে পরিচালিত হোক। আমাদের উপরে অনেক হস্তক্ষেপ হয়েছে। এখন এটি বন্ধ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিরোধী নেতা হুয়ান গাইডো নিজ দলীয় সমর্থকদের বলেন, আমরা এই দখলদারিত্বের পতন ঘটিয়ে ছাড়বো। আমরা জানি একদিন এর পরিণতি আসবেই। এরপর তিনি গ্রেপ্তারের ভয়ে অজানা স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ভেনিজুয়েলার সংবিধান বলে, প্রেসিডেন্টের পদ যদি শূন্য বলে নির্দিষ্ট হয় তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে একটি নতুন নির্বাচন আহ্বান করতে হবে।
রাশিয়ার হুঁশিয়ারি
এদিকে, ভেনিজুয়েলায় যে কোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। গতকাল ভেনিজুয়েলার কাছের মিত্র রাশিয়া এ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, মস্কো যেকোনো সময় ভেনিজুয়েলার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তার পাশে দাঁড়াবে। পাশাপাশি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের স্পষ্টভাবে জানা উচিত আমরা এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে তাদেরকে সাবধান করছি। আমরা মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কর্মকাণ্ড লাতিন আমেরিকার উন্নয়নের যে ভিত্তি তাতে বিপর্যস্ত করবে। রিয়াবকভ মাদুরোর নাম উচ্চারণ না করলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, ভেনিজুয়েলার বর্তমান সরকারকে রক্ষায় সচেষ্ট রাশিয়া। তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে সমর্থন করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।
এর আগে গত মাসে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম দুই রুশ বোম্বার যুদ্ধবিমান ভেনিজুয়েলায় পাঠানো হয়েছে। দেশটির নির্বাচিত সরকারের প্রতি রুশ সমর্থনের অংশ হিসেবেই এ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মাদুরোকে ইরান, তুরস্ক, মেক্সিকো ও বলিভিয়ার সমর্থন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বৃহস্পতিবার বলেছেন, তেহরান ভেনিজুয়েলার বৈধ সরকারকে সমর্থন করছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের প্রয়াস, অবৈধ কোনো পদক্ষেপ বা জনগণের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার মুখে ইরানের এ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সংহতি ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেফ এরদোগান। তিনি গতকাল মাদুরোর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। টেলিফোন সংলাপের সময়ে তিনি মাদুরোর উদ্দেশ্যে বলেন, মাদুরো আমার ভাই। দৃঢ় অবস্থান নিন, আমরা আপনার পাশে আছি। এ ছাড়া ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর কঠোর নিন্দা করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু। এ ছাড়া টুইটারে এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন হ্যাশট্যাগ টুইট করেছেন।
মাদুরোকে সমর্থন দিয়েছে বলিভিয়াও। মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান মোরালেস। সমর্থন জানিয়ে করেছেন টুইটও। এতে তিনি লিখেছেন, ভেনেজুয়েলার জনগণ ও নিকোলাস মাদুরো’র প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। ভেনেজুয়েলা সাম্রাজ্যবাদীদের মোকাবেলা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার জনগণ আর মার্কিনিদের আঙ্গিনায় পরিণত হবে না। পাশাপাশি মেক্সিকো’র প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জেসাস রামিরেজ কিউভাসও মাদুরোর প্রতি তার দেশের স্বীকৃতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, গত বছর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন হয়। পশ্চিমা বহু দেশ নির্বাচিত সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
তারপরও ১০ই জানুয়ারি নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করেন নিকোলাস মাদুরো। তবে ঘটনাটি আরো প্যাঁচ খায় বুধবার যখন হুয়ান গাইডো তার নেতাকর্মী সমর্থকদের সামনে নিজে নিজেই শপথ নিয়ে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তখন। আর তাকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন মাদুরো। পাশাপাশি তার দেশে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের ভেনিজুয়েলা ছেড়ে যেতে সময় দেন ৭২ ঘণ্টা। মাদুরো বলেন, তারা চায় ভেনিজুয়েলা ওয়াশিংটন থেকে পরিচালিত হোক। আমাদের উপরে অনেক হস্তক্ষেপ হয়েছে। এখন এটি বন্ধ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিরোধী নেতা হুয়ান গাইডো নিজ দলীয় সমর্থকদের বলেন, আমরা এই দখলদারিত্বের পতন ঘটিয়ে ছাড়বো। আমরা জানি একদিন এর পরিণতি আসবেই। এরপর তিনি গ্রেপ্তারের ভয়ে অজানা স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ভেনিজুয়েলার সংবিধান বলে, প্রেসিডেন্টের পদ যদি শূন্য বলে নির্দিষ্ট হয় তাহলে ৩০ দিনের মধ্যে একটি নতুন নির্বাচন আহ্বান করতে হবে।
রাশিয়ার হুঁশিয়ারি
এদিকে, ভেনিজুয়েলায় যে কোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠিন ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। গতকাল ভেনিজুয়েলার কাছের মিত্র রাশিয়া এ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, মস্কো যেকোনো সময় ভেনিজুয়েলার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তার পাশে দাঁড়াবে। পাশাপাশি দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের স্পষ্টভাবে জানা উচিত আমরা এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে তাদেরকে সাবধান করছি। আমরা মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কর্মকাণ্ড লাতিন আমেরিকার উন্নয়নের যে ভিত্তি তাতে বিপর্যস্ত করবে। রিয়াবকভ মাদুরোর নাম উচ্চারণ না করলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, ভেনিজুয়েলার বর্তমান সরকারকে রক্ষায় সচেষ্ট রাশিয়া। তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে সমর্থন করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।
এর আগে গত মাসে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম দুই রুশ বোম্বার যুদ্ধবিমান ভেনিজুয়েলায় পাঠানো হয়েছে। দেশটির নির্বাচিত সরকারের প্রতি রুশ সমর্থনের অংশ হিসেবেই এ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মাদুরোকে ইরান, তুরস্ক, মেক্সিকো ও বলিভিয়ার সমর্থন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বৃহস্পতিবার বলেছেন, তেহরান ভেনিজুয়েলার বৈধ সরকারকে সমর্থন করছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের প্রয়াস, অবৈধ কোনো পদক্ষেপ বা জনগণের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার মুখে ইরানের এ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সংহতি ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেফ এরদোগান। তিনি গতকাল মাদুরোর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এ সময় তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। টেলিফোন সংলাপের সময়ে তিনি মাদুরোর উদ্দেশ্যে বলেন, মাদুরো আমার ভাই। দৃঢ় অবস্থান নিন, আমরা আপনার পাশে আছি। এ ছাড়া ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর কঠোর নিন্দা করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু। এ ছাড়া টুইটারে এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন হ্যাশট্যাগ টুইট করেছেন।
মাদুরোকে সমর্থন দিয়েছে বলিভিয়াও। মাদুরোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান মোরালেস। সমর্থন জানিয়ে করেছেন টুইটও। এতে তিনি লিখেছেন, ভেনেজুয়েলার জনগণ ও নিকোলাস মাদুরো’র প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। ভেনেজুয়েলা সাম্রাজ্যবাদীদের মোকাবেলা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ আমেরিকার জনগণ আর মার্কিনিদের আঙ্গিনায় পরিণত হবে না। পাশাপাশি মেক্সিকো’র প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জেসাস রামিরেজ কিউভাসও মাদুরোর প্রতি তার দেশের স্বীকৃতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
No comments