নরপিশাচ পিতা!
পাকিস্তানের
রাওয়ালপিন্ডিতে এক নরপিশাচ পিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে
তারই মেয়ে (১৬) এনেছে ধর্ষণের অভিযোগ। এতে ওই বালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে
পড়েছে। এমনটা সে টের পাওয়ার পর উপায়ান্তর না দেখে সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ
হয়েছে। তার অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ বুধবার পিতা নামের ওই নরপিশাচকে
গ্রেপ্তার করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
ওই বালিকার অভিযোগ, গত এক বছরে বার বার তাকে ধর্ষণ করেছে তার পিতা। কিন্তু তার গর্ভে সন্তান এসেছে এটা টের পাওয়ার পর দিশা হারিয়ে ফেলে সে।
পুলিশে এফআরআই করে। তাতে বলা হয়েছে, নির্যাতিত মেয়েটি ওই ব্যক্তির ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। মেয়েটির রয়েছে আরো দুটি বোন ও তিনটি ভাই। পরিবারটির বসবাস রাওয়ালপিন্ডির গিরজা রোডে। অভিযুক্ত পিতা কাছাকাছি একটি ইটভাটার শ্রমিক। তার নিষ্ঠুরতা ও নির্যাতনের অভিযোগে মেয়েটির মা পালিয়ে চলে গিয়েছেন পেশোয়ারে। এরপর তার পিতার নির্যাতন নেমে আসে বড় ভাইয়ের ওপর। তাকেও প্রহার করতে থাকে তার পিতা। এক পর্যায়ে সে ভাইবোনগুলোকে নির্যাতিত বালিকার কাছে রেখে চলে যায় পেশোয়ারে। এসব ভাইবোনের সবাই তার ছোট। এ অবস্থায় নির্যাতিত ওই বালিকার দিকে চোখ পড়ে তার পিতার।
পুলিশের কাছে দেয়া বিবৃতিতে ওই বালিকা বলেছে, সে আমাকে প্রহার করতো। গত বছর বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে। যখন তাকে আমি থামার জন্য অনুরোধ করতাম, তাকে বলতাম আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবো, তখন সে আমাকে হুমকি দিতো। বলতো, আমার মায়ের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করেছে আমার সঙ্গেও সেই একই রকম ব্যবহার করবে। আমাকে হত্যা করবে।
ডন নিউজ টিভিকে ওই বালিকা বলেছে, তাদের আদি নিবাস পেশোয়ার। সেখান থেকে তারা গিয়ে বসবাস করছে রাওয়ালপিন্ডিতে। তার কথায়, ছোট ভাইবোনগুলোকে দেখাশোনার জন্য ছিলাম আমি একা। কিন্তু আমার পিতা সব নিষ্ঠুরতার সীমা অতিক্রম করেছে। তাই আমি পুলিশের কাছে এসেছি আমাকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে।
সদর বাইরুনি পুলিশ স্টেশনের ডিএসপি ফারহান আসলাম বলেন, ওই বালিকার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে, সে অন্তঃসত্ত্বা। প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা গেছে যে, তাকে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ করা হতো। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর সব সত্য বেরিয়ে আসবে। বোঝা যাবে ধর্ষক কে তার পিতা নাকি অন্য কেউ।
ওদিকে গ্রেপ্তার করা ওই ব্যক্তিকে শুক্রবার আদালতে তোলার কথা রয়েছে। আর মেয়েটিকে রাখা হয়েছে নারী পুলিশদের তত্ত্বাবধানে।
ওই বালিকার অভিযোগ, গত এক বছরে বার বার তাকে ধর্ষণ করেছে তার পিতা। কিন্তু তার গর্ভে সন্তান এসেছে এটা টের পাওয়ার পর দিশা হারিয়ে ফেলে সে।
পুলিশে এফআরআই করে। তাতে বলা হয়েছে, নির্যাতিত মেয়েটি ওই ব্যক্তির ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। মেয়েটির রয়েছে আরো দুটি বোন ও তিনটি ভাই। পরিবারটির বসবাস রাওয়ালপিন্ডির গিরজা রোডে। অভিযুক্ত পিতা কাছাকাছি একটি ইটভাটার শ্রমিক। তার নিষ্ঠুরতা ও নির্যাতনের অভিযোগে মেয়েটির মা পালিয়ে চলে গিয়েছেন পেশোয়ারে। এরপর তার পিতার নির্যাতন নেমে আসে বড় ভাইয়ের ওপর। তাকেও প্রহার করতে থাকে তার পিতা। এক পর্যায়ে সে ভাইবোনগুলোকে নির্যাতিত বালিকার কাছে রেখে চলে যায় পেশোয়ারে। এসব ভাইবোনের সবাই তার ছোট। এ অবস্থায় নির্যাতিত ওই বালিকার দিকে চোখ পড়ে তার পিতার।
পুলিশের কাছে দেয়া বিবৃতিতে ওই বালিকা বলেছে, সে আমাকে প্রহার করতো। গত বছর বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে। যখন তাকে আমি থামার জন্য অনুরোধ করতাম, তাকে বলতাম আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবো, তখন সে আমাকে হুমকি দিতো। বলতো, আমার মায়ের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করেছে আমার সঙ্গেও সেই একই রকম ব্যবহার করবে। আমাকে হত্যা করবে।
ডন নিউজ টিভিকে ওই বালিকা বলেছে, তাদের আদি নিবাস পেশোয়ার। সেখান থেকে তারা গিয়ে বসবাস করছে রাওয়ালপিন্ডিতে। তার কথায়, ছোট ভাইবোনগুলোকে দেখাশোনার জন্য ছিলাম আমি একা। কিন্তু আমার পিতা সব নিষ্ঠুরতার সীমা অতিক্রম করেছে। তাই আমি পুলিশের কাছে এসেছি আমাকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে।
সদর বাইরুনি পুলিশ স্টেশনের ডিএসপি ফারহান আসলাম বলেন, ওই বালিকার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে, সে অন্তঃসত্ত্বা। প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা গেছে যে, তাকে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ করা হতো। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর সব সত্য বেরিয়ে আসবে। বোঝা যাবে ধর্ষক কে তার পিতা নাকি অন্য কেউ।
ওদিকে গ্রেপ্তার করা ওই ব্যক্তিকে শুক্রবার আদালতে তোলার কথা রয়েছে। আর মেয়েটিকে রাখা হয়েছে নারী পুলিশদের তত্ত্বাবধানে।
No comments