রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতে সচেষ্ট জাতিসংঘ
জাতিসংঘের
শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, তারা মিয়ানমারে সহিংসতার মুখে পালিয়ে
আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিতে সফলতা অর্জন করেছে।
কিন্তু এখনো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এ শরণার্থী শিবিরে পর্যাপ্ত সেবা প্রদানে আরো
অনেক কাজ বাকি রয়েছে। বৃহসপতিবার সংস্থাটি জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শিবিরে
বসবাসরত ১ লাখ ৪৫ হাজারেরও অধিক শিশু এখন তাদের শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে
উপস্থিত থাকে। মানবাধিকার কর্মীরা ইতিমধ্যে সমগ্র শিবিরজুড়ে এ ধরনের প্রায়
১৬০০ শিক্ষাকেন্দ্র তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইগবেডার এক বিবৃতিতে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। এ বছর আমরা পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরো অধিক শিশুর জন্য এ সুযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে প্রত্যেকটা শিশুর জন্য শিক্ষার মান উন্নয়নেও আমরা নজর দিচ্ছি।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে সহিংসতার মুখে ৯ লাখ ২০ হাজারেরও অধিক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা যাদের বেশিরভাগই মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে তারা।
তাদের মধ্যে ৭ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে এসেছে। তখন বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পাশবিক দমন-পীড়ন শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র এ সহিংসতাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পাশাপাশি, জাতিসংঘের তদন্তকারী দলও মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। অগ্নিসংযোগ, যৌন নির্যাতন ও সাধারণ নাগরিক হত্যার ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্যেও মিয়ানমার প্রথম থেকেই নৃশংসতার দাবি অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।
মানবাধিকার কর্মীদের হিসেবে, সামপ্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ৬০ শতাংশই শিশু। একইসঙ্গে দারিদ্র্যপীড়িত শিবিরগুলোতে প্রতিদিনই আরো শিশুর জন্ম হচ্ছে। কক্সবাজারে ইউনিসেফের একজন শিক্ষা কর্মকর্তা ইফাত ফারহানা বলেছেন, রোহিঙ্গা শিশুদের অনেকেই গুলির আঘাত, তীব্র সহিংসতা এবং চলাচল ও সেবাপ্রাপ্তিতে বাধার কারণে মানসিকভাবে আঘাতগ্রস্ত। শারীরিক এবং শেখার অক্ষমতাও তাদের শিক্ষাদানের প্রচেষ্টাকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
এ বছর ইউনিসেফ ২ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্য শিক্ষা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য তারা তাদের শিক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫০০ তে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে, রোহিঙ্গা শিবিরে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় ইউনিসেফ তরুণদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। ইউনিসেফের হিসেবে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সের রোহিঙ্গা তরুণদের ৯৭ শতাংশই কোনো ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করছে না।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ বছর বয়সী বালিকা মিনারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর রোহিঙ্গা শিবিরের শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর নোংরা ও গরম পরিবেশের কারণে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু ইউনিসেফের নতুন পদক্ষেপের পর সে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করেছে। মিনারা জানায়, এখন শিক্ষাকেন্দ্রগুলো চমৎকার। এখানে আর কর্দমাক্ত মেঝে নেই।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইগবেডার এক বিবৃতিতে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। এ বছর আমরা পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরো অধিক শিশুর জন্য এ সুযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। একইসঙ্গে প্রত্যেকটা শিশুর জন্য শিক্ষার মান উন্নয়নেও আমরা নজর দিচ্ছি।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে সহিংসতার মুখে ৯ লাখ ২০ হাজারেরও অধিক সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা যাদের বেশিরভাগই মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে তারা।
তাদের মধ্যে ৭ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে এসেছে। তখন বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পাশবিক দমন-পীড়ন শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র এ সহিংসতাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পাশাপাশি, জাতিসংঘের তদন্তকারী দলও মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। অগ্নিসংযোগ, যৌন নির্যাতন ও সাধারণ নাগরিক হত্যার ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্যেও মিয়ানমার প্রথম থেকেই নৃশংসতার দাবি অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।
মানবাধিকার কর্মীদের হিসেবে, সামপ্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ৬০ শতাংশই শিশু। একইসঙ্গে দারিদ্র্যপীড়িত শিবিরগুলোতে প্রতিদিনই আরো শিশুর জন্ম হচ্ছে। কক্সবাজারে ইউনিসেফের একজন শিক্ষা কর্মকর্তা ইফাত ফারহানা বলেছেন, রোহিঙ্গা শিশুদের অনেকেই গুলির আঘাত, তীব্র সহিংসতা এবং চলাচল ও সেবাপ্রাপ্তিতে বাধার কারণে মানসিকভাবে আঘাতগ্রস্ত। শারীরিক এবং শেখার অক্ষমতাও তাদের শিক্ষাদানের প্রচেষ্টাকে পিছিয়ে দিচ্ছে।
এ বছর ইউনিসেফ ২ লাখ ৬০ হাজার শিশুর জন্য শিক্ষা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য তারা তাদের শিক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৫০০ তে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে, রোহিঙ্গা শিবিরে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় ইউনিসেফ তরুণদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা ও অন্যান্য প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। ইউনিসেফের হিসেবে, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সের রোহিঙ্গা তরুণদের ৯৭ শতাংশই কোনো ধরনের শিক্ষা গ্রহণ করছে না।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ বছর বয়সী বালিকা মিনারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর রোহিঙ্গা শিবিরের শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর নোংরা ও গরম পরিবেশের কারণে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু ইউনিসেফের নতুন পদক্ষেপের পর সে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করেছে। মিনারা জানায়, এখন শিক্ষাকেন্দ্রগুলো চমৎকার। এখানে আর কর্দমাক্ত মেঝে নেই।
No comments