আলাউদ্দিনকেও বাঁচানো গেল না
নির্মম।
নিষ্ঠুর। অমানবিক। হৃদয়বিদারক। একের পর এক ঘটনা। আর প্রাণহানি। অকালে ঝরছে
বহু প্রাণ। বাসের রেষারেষিতে রাজধানীতে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না।
প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত নতুন ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে হানিফ
ফ্লাইওভারের উপরে একটি বাসের চাকা চলে যায় এক যুবকের বুকের উপর দিয়ে। তিনি
ছিলেন ঢাকা ট্রিবিউনের সিনিয়র বিজ্ঞাপন নির্বাহী নাজিম উদ্দিন। শ্রাবণ
পরিবহনের ওই বাসটি আরেক বাসের সঙ্গে রেষারেষি করার সময় নাজিমের
মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ছিটকে পড়ে যান। ঠিক তখনই ওই বাসটি চলে
যায় নাজিমের বুকের উপর দিয়ে। পথচারীরা নাজিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাজিমের মৃত্যুর
শোকে যখন পুরো রাজধানী শোকার্ত সেদিন রাতেই আসে আরেক মৃত্যুর খবর। একই
ফ্লাইওভারে ১২ই মে সকালে ওয়ারির জয় কালী মন্দির এলাকায় তারাবো বাসের চাপায়
পা থেঁতলে যায় কমিউনিটি পুলিশের সদস্য আলাউদ্দিন সুমনের। ৪০ বছর বয়সী
সুমনের বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে থেঁতলে যায়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে
নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে তাকে ভর্তি করা হয়
জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখানে তার অবস্থার
অবনতি হলে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত
১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কমিউনিটি পুলিশের সদস্য সুমনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার নিতাইপুরে। তিনি নিতাইপুরের আবু তাহেরের ছেলে। স্ত্রী ঝুমুর আক্তার ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকতেন নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়ে। ঘটনার পরপরই ওয়ারী থানা পুলিশ তারাবো বাসের চালক ইকবাল হোসেনকে আটক করে আদালতে পাঠায়। নিহতের ভাই সালাউদ্দিন পলাশ বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে হানিফ ফ্লাইওভারে কমিউনিটি পুলিশ সদস্য হিসাবে কাজ করছিলেন। ঘটনার দিন সকালে দায়িত্ব পালনকালে ফ্লাইওভারে ওয়ারী এলাকার ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল হোটেল বরাবর ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা তারাবো পরিবহনের একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসের চাকা তার বাঁ পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে তার পায়ের তালু ও আঙ্গুল থেঁতলে যায়।
বাসের রেষারেষিতে রাজধানীতে একের পর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত রেষারেষি বন্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। কিছু দিন আগে এই ফ্লাইওভারেই গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসের চালক চাকায় পিষ্ট করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী রাসেল সরকারকে। বাস চাপায় তার একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগে কাওরান বাজারে দুই বাসের চাপায় হাত হারানোর পর মারা যান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেন। তার মৃত্যু নাড়া দেয় দেশজুড়ে। দিনের পর দিন এভাবে বহু প্রাণ চলে যাওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক যেন নড়ছে না। নেয়া হচ্ছে না দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ। বাস চালকদের এমন বেপরোয়া মনোভাবে অনেকেই রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। পর পর অনেক ঘটনায় নাড়া দিয়েছে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের। তারপরে শুভ বুদ্ধির উদয় হচ্ছে না প্রাণঘাতী ওইসব বাস চালকদের। যাদের রেষারেষিতে শুধু প্রাণই নয় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার।
কমিউনিটি পুলিশের সদস্য সুমনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার নিতাইপুরে। তিনি নিতাইপুরের আবু তাহেরের ছেলে। স্ত্রী ঝুমুর আক্তার ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে তিনি থাকতেন নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়ে। ঘটনার পরপরই ওয়ারী থানা পুলিশ তারাবো বাসের চালক ইকবাল হোসেনকে আটক করে আদালতে পাঠায়। নিহতের ভাই সালাউদ্দিন পলাশ বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে হানিফ ফ্লাইওভারে কমিউনিটি পুলিশ সদস্য হিসাবে কাজ করছিলেন। ঘটনার দিন সকালে দায়িত্ব পালনকালে ফ্লাইওভারে ওয়ারী এলাকার ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল হোটেল বরাবর ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা তারাবো পরিবহনের একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসের চাকা তার বাঁ পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে তার পায়ের তালু ও আঙ্গুল থেঁতলে যায়।
বাসের রেষারেষিতে রাজধানীতে একের পর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত রেষারেষি বন্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না। কিছু দিন আগে এই ফ্লাইওভারেই গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাসের চালক চাকায় পিষ্ট করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী রাসেল সরকারকে। বাস চাপায় তার একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগে কাওরান বাজারে দুই বাসের চাপায় হাত হারানোর পর মারা যান তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেন। তার মৃত্যু নাড়া দেয় দেশজুড়ে। দিনের পর দিন এভাবে বহু প্রাণ চলে যাওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক যেন নড়ছে না। নেয়া হচ্ছে না দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ। বাস চালকদের এমন বেপরোয়া মনোভাবে অনেকেই রাস্তায় নামতে ভয় পাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। পর পর অনেক ঘটনায় নাড়া দিয়েছে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের। তারপরে শুভ বুদ্ধির উদয় হচ্ছে না প্রাণঘাতী ওইসব বাস চালকদের। যাদের রেষারেষিতে শুধু প্রাণই নয় নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার।
No comments